শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

সুশাসনে জিরো টলারেন্স নেবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক

গভর্নরের সংবাদ সম্মেলন

অর্থনৈতিক রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৪ আগস্ট, ২০২২, ৮:০৫ পিএম | আপডেট : ৮:০৮ পিএম, ৪ আগস্ট, ২০২২

# অনিয়ম অনুসন্ধানে ব্যাংক পরিদর্শনে জোর দেবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক
# অর্থ পাচার বন্ধসহ বাজারে টাকার জোগান বাড়াতে নজর
# সরকারি বন্ড লেনদেন চালুর আশা করছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক
# দুর্বল ১০ ব্যাংককে সবল করার উদ্যোগ

ব্যাংক বহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানে যে অনাস্থা তৈরি হয়েছে তা ব্যাংকখাতে দেখতে চায় না বাংলাদেশ ব্যাংক। ফলে অনিয়ম আর অব্যবস্থাপনা অনুসন্ধানে ব্যাংক পরিদর্শনে জোর দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। ইতোমধ্যে চিহ্নিত করা হয়েছে দুর্বল ১০টি ব্যাংক। বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, আমাদের লক্ষ্য, ব্যাংকগুলোকে অর্থনৈতিকভাবে শক্তিশালী করা। ব্যাংকের সুশাসনের ব্যাপারে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের জিরো টলারেন্স নীতি বহাল বলে জানিয়েছেন গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার। তিনি বলেন, মার্চের তুলনায় সাড়ে ২৬ শতাংশ কমেছে ঋণপত্র খোলা, বিপরীতে বেড়েছে রফতানি ও প্রবাসী আয়। নিম্নমুখী মূল্যস্ফীতিও। আর এতে আগামী দুই মাসের মধ্যে অর্থনৈতিক চাপ অনেকাংশেই কেটে যাবে বলে আশা করছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এছাড়া অর্থ পাচার বন্ধসহ বাজারে টাকার জোগান বাড়াতে নজর রাখা হচ্ছে। একই সঙ্গে পুঁজিবাজারের সেকেন্ডারি মার্কেটে ‘বন্ড’ নেওয়ার জন্য সব ধরনের প্রস্ততি নেওয়া হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় ব্যাংকে এক সংবাদ এসব কথা বলেন গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার। গত ১২ জুলাই দায়িত্ব নেয়ার পর এটিই তার প্রথম সংবাদ সম্মেলন।

মূলত বৈশ্বিক অনিশ্চয়তার কারণে মূল্যস্ফীতি ও মুদ্রা বিনিময় হার নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশ ব্যাংকের নেয়া পদক্ষেপগুলো জানাতে গণমাধ্যমের মুখোমুখি হন তিনি। দেশের অর্থনীতি চাপে আছে কি না এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, আমাদের সবচেয়ে বড় চাপ ইমপোর্ট। মূল্যস্ফীতিও বড় চ্যালেঞ্জ। তবে আগামী দু-তিন মাসের মধ্যে ভালো অবস্থানে যাবে।

করোনার সংক্রমণ থেকে বের হওয়ার পর বিশ্ব অর্থনীতিতে মূল্যস্ফীতির যে সমস্যা দেখা দেয়, সেটি প্রকট করেছে ইউক্রেন যুদ্ধ। গত ২৪ ফেব্রুয়ারি দেশটিতে রাশিয়ার হামলার পর পশ্চিমা দেশগুলোর পদক্ষেপে তেতে ওঠে জ্বালানির বাজারও। রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞার পর জ্বালানি তেল ও গ্যাসের দরে ঊর্ধ্বগতি, খাদ্যপণ্যের সরবরাহ কমে গিয়ে বিশ্বে তৈরি হয় নতুন সঙ্কট। এতে উন্নত, উন্নয়নশীল, স্বল্পোন্নত সব দেশেই দেখা দেয় ব্যাপক প্রভাব, যার বাইরে নয় বাংলাদেশও। গত এক যুগের স্থিতিশীল ও ঊর্ধ্বমুখী বাংলাদেশের অর্থনীতিতে চাপ স্পষ্ট। ক্রমবর্ধমান আমদানি ব্যয় মেটাতে গিয়ে কমছে রিজার্ভ, ডলারের বিপরীতে টাকার দরপতন মূল্যস্ফীতিতে আরও বাড়িয়ে দিচ্ছে। সেই সঙ্গে গ্যাস আমদানি না করতে সরকারের সিদ্ধান্তে ফিরে এসেছে এক যুগ আগের লোডশেডিং। তবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক নানা পদক্ষেপে আমদানি সীমিত করার পদক্ষেপের সুফলও মিলছে। আমদানি ব্যয় কমে আসছে। সেই সঙ্গে বাড়ছে রেমিট্যান্স ও রফতানি।

গভর্নর বলেন, বিশ্ব মন্দার জেরে অভ্যন্তরীণ অর্থনীতির চাপ কমাতে বাজারে চাহিদা নিয়ন্ত্রণ, ডলারসহ টাকার সরবরাহ বৃদ্ধির মাধ্যমে শক্তিশালী অর্থনীতির ভিতটা গড়েছেন তিনি। আর এতেই আমদানিতে ঋণপত্র খোলা কমে দাঁড়িয়েছে ৬ বিলিয়নে, বিপরীতে প্রবাসী আয় ও রফতানি বেড়ে সব মিলিয়ে ৬ দশমিক ১ বিলিয়ন ছাড়িয়ছে। তিনি বলেন, আগামী দুই মাসের মধ্যে কমবে মূল্যস্ফীতিও। কেননা অর্থ পাচার বন্ধসহ বাজারে টাকার জোগান বাড়াতে নজর রেখেছেন তিনি।

গভর্নরের কাছে প্রশ্ন ছিল আমদানির সময় ওভার ইনভয়েসিংয়ের মাধ্যমে অর্থ পাচার হচ্ছে কি না। উত্তরে তিনি বলেন, ট্রেড ইনভয়েসিংয়ের মাধ্যমে টাকা বের হয়ে যাচ্ছে-এমন প্রচারণা আলোচনায় আছে। কিন্তু এ ব্যাপারে সঠিক কোনো তথ্য আমাদের বা কারও কাছে নেই। তিনি জানান, ৩ মিলিয়ন ডলারের বেশি ঋণপত্র খোলার ক্ষেত্রে ২৪ ঘণ্টা আগে বাংলাদেশ ব্যাংকের সিস্টেমে আপলোড করতে হয়। এ ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের একটি দল এটা পর্যবেক্ষণ করছে। কোনো ঋণপত্র সন্দেহজনক মনে হলে সেটা বন্ধ করে দেয়া হচ্ছে। অন্য এক প্রশ্নে গভর্নর বলেন, তিনি মনে করেন ব্যাংকগুলোর দীর্ঘমেয়াদে ঋণ বিতরণ খেলাপি ঋণ বাড়ার অন্যতম কারণ।

র‌্যাঙ্কিং পর্যালোচনা করে ১০ দুর্বল ব্যাংককে ‘সবল করতে’ উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন নতুন গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার। গভর্নর বলেন, কোনো ব্যাংক বন্ধ হোক সেটা আমরা চাই না। এ জন্য র‌্যাঙ্কিং পর্যালোচনা করে ১০টি ব্যাংককে আলাদা করেছি। আমরা চাই তারা দুর্বল থেকে সবল হোক, ব্যবসা করুক। খেলাপি ঋণ বেশি, মূলধন ঘাটতি, ঋণ-আমানত অনুপাত এবং প্রভিশনিং বা নিরাপত্তা সঞ্চিতির পরিমাণ বিবেচনায় নিয়ে ১০টি দুর্বল ব্যাংক চিহ্নিত করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। ব্যাংকগুলোর নাম প্রকাশ না করে তিনি বলেন, আমি দুর্বল ব্যাংকগুলোর নাম বলতে চাই না। তবে পত্রপত্রিকায় ইতোমধ্যে তাদের নাম এসেছে।
তবে বাংলাদেশ ব্যাংকের একটি সূত্র মতে, ১০টি দুর্বল ব্যাংক হচ্ছে-বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক, রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক, আইসিবি ইসলামী ব্যাংক, বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক অব পাকিস্তান, পদ্মা ব্যাংক, এবি ব্যাংক, বেসিক ব্যাংক ও জনতা ব্যাংক। গভর্নর বলেন, আমাদের লক্ষ্য, ব্যাংকগুলোকে অর্থনৈতিকভাবে শক্তিশালী করা। ব্যাংকের সুশাসনের ব্যাপারে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের জিরো টলারেন্স নীতি বহাল। দুর্বল ১০টি ব্যাংকের মধ্যে প্রথমটির সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষকে স্বাধীনভাবে কাজ করতে দিতে হবে। ব্যাংক ম্যানেজমেন্টের কাজে পর্ষদ কোনো হস্তক্ষেপ করবে না। এখানে চাপ বলে কিছু নেই। আইনের মধ্যে থেকে কাজ করছে কি না সেটাই প্রধান।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ঋণ ব্যবস্থাপনায় ব্যাংক সিদ্ধান্তের বাস্তবায়ন সংক্রান্ত বিষয়ে স্বচ্ছতা এবং জবাবদিহি নিশ্চিতে ঋণ পুনঃতফসিলীকরণ ও পুনর্গঠন সংক্রান্ত মাস্টার সার্কুলার জারি হয়েছে। এ সার্কুলারের বর্ণিত শর্ত মোতাবেক ব্যাংকগুলো নিজেরাই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারবে, যা আগে অনেকটা অস্বচ্ছ এবং অসমভাবে করা হতো। ব্যাংকিং ব্যবস্থায় অপেক্ষাকৃত দুর্বল ব্যাংক চিহ্নিত করতে চারটি চলক বিবেচনায় নেয়া হয়েছে। শ্রেণীকৃত ঋণের মাত্রা, মূলধন পর্যাপ্ততা, ঋণ-আমানত অনুপাত এবং প্রভিশনিংয়ের পরিমাণের ওপর ভিত্তি করে ১০টি দুর্বল ব্যাংক চিহ্নিত করা হয়েছে। দুর্বল ব্যাংকগুলোর সমস্যা সমাধানে বাংলাদেশ ব্যাংক ‘ওয়ান-টু-ওয়ান’ আলোচনা শুরু করছে। বিশেষ এ উদ্যোগে ব্যাংকগুলো তিন বছর মেয়াদি বিজনেস প্ল্যান দেবে, যার ক্রমঅগ্রগতি পর্যবেক্ষণ করবেন বাংলাদেশ ব্যাংকের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা।

গভর্নর মনে করেন দেশের পুঁজিবাজার যত দূর যাওয়ার কথা ছিল, সেটা পারেনি। আর এ ক্ষেত্রে পুঁজিবাজার উন্নয়নে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসিকে প্রয়োজনীয় সব ধরনের সহযোগিতা দেবেন তিনি। আজ সংবাদ সম্মেলন চলাকালে এমন একটি সার্কুলার জারি হয়, যা গত এক যুগ ধরে দাবি করে আসছিলেন পুঁজিবাজারের বিনিয়োগকারীরা। কেন্দ্রীয় ব্যাংক সিদ্ধান্ত নিয়েছে পুঁজিবাজারে ব্যাংকের যে বিনিয়োগসীমা গণনা করা হয়, সেটির হিসাব করা হবে শেয়ারের ক্রয়মূল্যে। এতদিন তা শেয়ারের বাজারমূল্য অথবা ক্রয়মূল্যের মধ্যে যেটি বেশি, সেটির ভিত্তিতে এই বিনিয়োগসীমা হিসাব করা হতো। এই নীতিতে এক্সপোজার লিমিট হিসাব করায় বাজারে বিক্রয়চাপ দেখা দিত। কোনো ব্যাংক তার বিনিয়োগসীমার মধ্যে শেয়ার কিনলে সেটির দর বেড়ে গিয়ে সীমা অতিক্রম করে গেলেই তা বিক্রি করে দিতে হয়। এতে বাজারে বিক্রির চাপ তৈরি হয়। আর ব্যাংক যেহেতু বড় অঙ্কের বিনিয়োগ করে তাই বিক্রির চাপটাও বেশি থাকে। বাংলাদেশের পুঁজিবাজারে ব্যক্তিশ্রেণির বিনিয়োগকারীর প্রাধান্য বেশি। ব্যাংকের বিক্রয় চাপ তারা সামাল দিতে পারে না।
গভর্নর বলেন, পুঁজিবাজারের উন্নয়নে বাংলাদেশ সিকিউরিটিস অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) ভালো কাজ করছে। এজন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে যেসব নীতি সহায়তা দেয়া প্রয়োজন, সেটা আমরা দিয়ে যাব। পুঁজিবাজারে ব্যাংকের এক্সপোজারের সংজ্ঞা নিয়ে গত ১০/১২ বছর ধরে যে সমস্যা চলছে সেটা এখন সমাধান হয়ে গেছে। বিএসইসি চেয়ারম্যান প্রফেসর শিবলী রুবাইয়াত-উল ইসলামের মতো বন্ড মার্কেটকে চাঙা করার আগ্রহের কথাও বলেন গভর্নর রউফ তালুকদার।

তিনি বলেন, পুঁজিবাজারের দুটো দিক আছে। একটা হলো ইক্যুইটি সাইড, আর একটা হলো ডেট সাইড। ইক্যুইটি সাইডকে আমরা পুঁজিবাজার বলি, এখানে আমরা সবাই কাজ করি। এটাই আমাদের বিনিয়োগের বড় জায়গা। কিন্তু যেটা হলো ডেট সাইড সেখানে বন্ড মার্কেটটা সেভাবে উন্নত হয়নি। আমি গভর্নর হওয়ার পরে বিএসইসি চেয়ারম্যান আমার সঙ্গে দেখা করতে আসলে তাতে আমি বলেছি বন্ড মার্কেটটাকে কেন আপনারা শক্তিশালী করছেন না? আমি অর্থসচিব থাকার সময়েও তাকে এই প্রশ্ন করেছিলাম। আমাদের দেশে বন্ড মার্কেট একবারেই অনুপস্থিত। কিন্তু এই বন্ড মার্কেটটা যদি কার্যকর হয়, বর্তমানে সরকারি বন্ডগুলো সেকেন্ডারি মার্কেটে নিয়ে যাচ্ছি। এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক একটা ফ্ল্যাটফর্ম তৈরি করে ফেলেছে। ইতোমধ্যে এর সব প্রক্রিয়া শেষ। খুব শিগগিরই এর আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু হবে। তখন সরকারি বন্ডগুলো সেকেন্ডারি মার্কেটে বিক্রি হবে। শেয়ারের যেহেতু সেকেন্ডারি মার্কেট নেই, এই বন্ডের সেকেন্ডারি মার্কেটটাকে প্রাণবন্ত করতে হবে। এবং ভালো ভালো বন্ড নিয়ে আসতে হবে। বন্ডগুলো যদি সম্পদশালী হয় এবং গ্রহণযোগ্য হয় তাহলে মানষের বন্ডের প্রতি আস্থা তৈরি হবে।

গভর্নর মনে করেন বন্ড মার্কেট বড় হলে ব্যাংকের খেলাপি ঋণের সমস্যারও সমাধান হবে। তিনি মনে করেন, ব্যাংকগুলো দীর্ঘমেয়াদে ঋণ বিতরণ করে বলেই খেলাপি তৈরি হয়। দেশে বন্ড মার্কেট না থাকায় ব্যাংকগুলোকে বাধ্য হয়ে দীর্ঘমেয়াদি ঋণ বিতরণ করতে হচ্ছে। তিনি বলেন, শক্তিশালী বন্ড মার্কেট তৈরি হলে দীর্ঘমেয়াদী ঋণের সমস্যা দূর হবে। বিনিয়োগকারীরা তাদের প্রয়োজনীয় দীর্ঘমেয়াদী ঋণ বন্ড মার্কেট থেকে তুলবে। আর ব্যাংকগুলো তখন কেবল স্বল্পমেয়াদি ঋণ বিতরণ করতে পারবে। এটা যদি করতে পারে তাহলে আগামী কয়েক বছরের মধ্যে ব্যাংকের খেলাপি ঋণও কমে আসবে।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর আহমেদ জামাল, কাজী ছাইদুর রহমান, আবু ফরাহ মো. নাছের, এ কে এম সাজেদুর রহমান খান, বিএফআইইউ প্রধান মাসুদ বিশ্বাস, নির্বাহী পরিচালক ও প্রধান অর্থনীতিবিদ হাবিবুর রহমান, নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. সিরাজুল ইসলাম ও সহকারী মুখপাত্র জি এম আবুল কালাম আজাদসহ কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তারা।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন