বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

ঘরে ঘরে জ্বর-সর্দি-কাশি

আবহাওয়ার বিরুপ প্রভাব রাজধানীর হাসপাতালগুলো বহির্বিভাগে প্রতিদিন রোগী বাড়ছে রাস্তাঘাটের শরবত খাবেন না খেয়ে পানি ফুটিয়ে খাবেন : প্রফেসর ডা. এবিএম আবদুল্লাহ তীব্র তাপদাহ মানুষকে সংক

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৭ আগস্ট, ২০২২, ১২:০৭ এএম

আষাঢ়-শ্রাবণ দুই মাস বর্ষাকাল। দেশের ষড়ঋতুর এ হিসাব এখন আর মিলছে না। এই সময়ে বৃষ্টি হওয়ার কথা থাকলেও কাঠফাটা রোদে হাঁসফাঁস অবস্থা। পাশাপাশি বৈশ্বিক জ্বালানি সঙ্কটের কারণে দেশজুড়ে চলছে লোডশেডিং। তাই দিনভর প্রচন্ড দাবদাহে বাসায় থাকা দায় হয়ে যাচ্ছে। রাস্তায় বের হলে রোদের তাপে গা পুড়ে যাচ্ছে। শ্রাবণ শেষের দিকে হলেও বৃস্টির চিরচেনা রূপের দেখা নেই বললেই চলে। হঠাৎ কয়েক ফোঁটা বৃষ্টি হলেও তার স্থায়িত্ব কয়েক মিনিট। গতকাল সারাদেশে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৪ হলেও বাতাসে আদ্রতার পরিমান ছিল ৭০ শতাংশ। দাবদাহের প্রভাবে তাই হাঁসফাঁস অবস্থা ছিল মানুষের। আবহাওয়ার বিরুপ প্রভাবের কারণে সকল বয়সী মানুষের বেড়েছে বিভিন্ন রোগব্যাধি। যার ফলে রাজধানীসহ সারাদেশের সকল হাসপাতালে বাড়ছে সর্দি-জ¦র, ডায়রিয়ার রোগী। এ ছাড়া নিউমোনিয়াসহ বিভিন্ন উপসর্গ থাকা শিশুদেরও নিয়ে আসছেন তাদের অভিভাবকরা।

সূত্র মতে, গত কিছুদিন থেকে রাজধানীতে হঠাৎ করে বাড়ছে ভাইরাস জ্বরসহ বিভিন্ন রোগব্যাধি। নগরীর বিভিন্ন এলাকায় নারী-পুরুষ ও শিশু নির্বিশেষে জ্বর, ডায়রিয়া, আমাশয়, ঠান্ডা, হাঁচি ও কাশিতে আক্রান্ত হচ্ছেন। আক্রান্তরা জানান, জ্বরের তাপমাত্রা ১০৩-১০৪ ডিগ্রি পর্যন্ত উঠানামা করছে। জ্বরের সঙ্গে কারও কারও হাত-পা ও মাথা ব্যথাও হচ্ছে।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল ও শিশু হাসপাতাল, আইসিডিডিআর,বিসহ বিভিন্ন সরকার-বেসরকারি হাসপাতালের বর্হিবিভাগে ও চিকিৎসকদের প্রাইভেট চেম্বারে জ্বরসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত রোগীর ভিড় বাড়ছে। চিকিৎসকরা বলছেন, সাধারণত ভাইরাস জ্বরে আক্রান্ত হলেও অনেকেই আতঙ্কে ডেঙ্গু জ্বর মনে করে চিকিৎসকের কাছে ছুটে আসছেন। তাদের এ আতঙ্ক অমূলক নয়, রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতালে প্রায় প্রতিদিনই ৭০/৮০ জন ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত রোগী ভর্তি হচ্ছেন। এছাড়াও অধিকাংশ রোগীই আসছেন সর্দি, কাশি ও জ্বর নিয়ে। গতকালও ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে একজনের মৃত্যু হয়েছে। পাশাপাশি ৪০ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এছাড়া প্রচন্ড দাবদাহে প্রতিদিনই বাড়ছে ডায়রিয়ার রোগী। আইসিডিডিআর,বি সূত্র জানিয়েছে, গতকালও সন্ধ্যা পর্যন্ত ৩১৭ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি আছেন। আগের দিন বৃহষ্পতিবার মধ্যরাত পর্যন্ত রোগী ভর্তি ছিল ৩৯৪ জন। প্রতিষ্ঠানটির মিডিয়া ম্যানেজার তারিফ রহমান জানান, প্রতিদিনই হাসপাতালে জ্বর-ডায়রিয়ার রোগীর ভিড় বাড়ছে।

স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মূলত আবহাওয়ার তারতম্যের কারণেই ভাইরাস জ্বরসহ বিভিন্ন রোগব্যাধি বাড়ছে। সম্প্রতি একই রকম আবহাওয়া সব সময় থাকছে না। বাতাসে আদ্রতা বেশি। এই গরম এই বৃষ্টি। আবার কখনো প্রচণ্ড রোদে জীবিকার তাগিদে মানুষ ঘরের বাইরে বের হচ্ছেন। বিশেষ করে শ্রমজীবী তৃষ্ণার্ত মানুষ রাস্তাঘাটে লেবু, আখ, কাঁচাআম, বেল ও পেপের শরবত কিনে খাচ্ছেন। যে পানি ও বরফ মিশিয়ে শরবত তৈরি হয় তা কতটুকু বিশুদ্ধ তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। আবহাওয়ার এ তারতম্যের কারণে বয়স্ক মানুষ ও শিশুরাই অধিক ঝুঁকিতে রয়েছেন।

গতকাল শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টায় ঢামেক শিশু বর্হিবিভাগে দেখা যায়, শিশু কোলে নিয়ে কয়েকজন অভিভাবক ডাক্তার দেখানোর অপেক্ষা করছেন। তাদেরই একজন রাজধানীর চানখাঁরপুলের বাসিন্দা গৃহবধূ আয়রিন বেগম। তিনি জানান, ১ জুলাই থেকে ছয় বছর বয়সি মেয়েটির বমি ও পাতলা পায়খানা। একদিন পর থেকে জ্বর। জ্বর ১০৩-১০৪ এর নিচে নামে না। জ্বর না কমায় মেয়েকে নিয়ে ডাক্তার দেখাতে এসেছেন। কর্তব্যরত চিকিৎসকরা জানালেন, গত কিছুদিন ধরে জ্বর, ঠান্ডা কাশি ও ডায়রিয়ার রোগীই বেশি আসছেন।

স্বাস্থ্য অধিদফতর সূত্র জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় রাজধানীতে ৪০ জন ডেঙ্গু জ্বরের রোগী বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এদের মধ্যে ১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ পর্যন্ত দেশে মৃত্যু হয়েছে ১০ জনের। আর ভর্তি হয়েছেন ৩ হাজার ২০ জন।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিসিন বিভাগের সাবেক ডিন প্রখ্যত মেডিসিন বিশেষজ্ঞ প্রফেসর ডা. এ বি এম আবদুল্লাহ বলেন, আবহাওয়ার তারতম্যের কারণে সম্প্রতি ভাইরাস জ্বর, ডেঙ্গু, টাইফয়েড, প্যারা টাইফয়েড ইত্যাদি রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। আক্রান্তদের বেশির ভাগেই ভাইরাস জ্বরে আক্রান্ত। গরমে বাইরে বের হলে শরীর যেন কম ঘামে সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। ঘামলে শরীর থেকে পানি বের হয়ে যায়। তাই পানি ফুটিয়ে ও পানিতে লবণ মিশিয়ে খাওয়ার পরামর্শ দেন। এছাড়া রাস্তাঘাটের শরবত না খাওয়ার পরামর্শ দেন তিনি।

সূত্র মতে, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সবচেয়ে ঝুঁকির মুখে থাকা দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ একটি। জলবায়ু পরিবর্তনের সুদূরপ্রসারী প্রভাব জনস্বাস্থ্যের ওপর বড় হুমকি হয়ে দেখা দিয়েছে। তবে মানুষের স্বাস্থ্যের ওপর এর প্রভাব সর্বত্র সমান নয়। কারণ বিভিন্ন অঞ্চলের পরিস্থিতি, সংবেদনশীলতা ও অভিযোজনের ক্ষমতা ভিন্ন। এরই মধ্যেই জলবায়ুর বিরূপ প্রভাব যে সবক্ষেত্রে পড়তে শুরু করেছে, এ বিষয়টি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও), বিশ্বব্যাংক, জাতিসংঘের শিশু তহবিলসহ (ইউনিসেফ) আন্তর্জাতিক ও দেশীয় গবেষণায় উঠে এসেছে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে বাড়ছে কার্বন ডাই-অক্সাইড আর নাইট্রাস অক্সাইডের পরিমাণ। কমছে অক্সিজেনের পরিমাণ। নষ্ট হয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশের ঋতুবৈচিত্র। সাম্প্রতিক সময়ে গ্রীষ্মকাল অনেক বেশি দীর্ঘ ও উষ্ণ হচ্ছে এবং শীতকাল হয়ে উঠছে আরো উষ্ণতর। ব্যাহত হচ্ছে স্বাভাবিক বৃষ্টিপাতের হার। কমছে মৌসুমি বৃষ্টিপাত। বাড়ছে অসময়ে ঝড়-বৃষ্টির প্রবণতা। প্রাকৃতিক ভারসাম্য ব্যাহত হওয়ার সঙ্গে বাড়ছে মাটির লবণাক্ততাও। এতে প্রতিনিয়ত নতুন নতুন রোগব্যাধির জন্ম হচ্ছে। বিভিন্ন ভাইরাস ও ছোঁয়াচে রোগ, শ্বাসযন্ত্রের রোগ, চর্মরোগ, রক্তশূন্যতা, ডায়রিয়া, কলেরা, উচ্চরক্তচাপ, হৃদরোগ, অপুষ্টি, ম্যালেরিয়া, ডেঙ্গুর মতো রোগব্যাধি বাড়ছে। বাড়ছে মানসিক রোগ ও আত্মহত্যার ঘটনা। এমন কি প্রসূতি, ভ্রুণ ও নবজাতকের স্বাস্থ্যসহ মানুষের গড় আয়ুর ক্ষেত্রেও নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব সবার ওপরই পড়ছে; তবে কম বয়সিরাই সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। নিরাপদ থাকছে না গর্ভের শিশুও।

জ্বরে আক্রান্ত হয়ে বিছানায় কাতরাচ্ছেন ৬ বছরের শিশু তাহিয়া। বাবা আবুল কালাম জানান, গত সপ্তাহে তার হঠাৎ জ্বর আসে। ফার্মেসি থেকে ওষুধ খাওয়ানোর পরও তাহিয়ার জ্বর কমেনি। পরে একটি বেসরকারি ক্লিনিকের চিকিৎসককে দেখানো হয়। কিন্তু জ্বর কমেনি। অবশ্য গত বৃহষ্পতিবার আইসিডিডিআরবি’র চিকিৎসকদের পরামর্শে ওষুধ খেয়ে শুক্রবার কিছুটা সুস্থ বলে জানান আবুল কালাম।

ওই এলাকার বিভিন্ন বাড়িতে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত ১৫ দিনে অনেকেই জ্বরে আক্রান্ত হয়েছিলেন। অনেকের পরিবারের একাধিক সদস্যই জ্বরে ভুগছেন। এ ছাড়া অনেকের ডায়রিয়াও হয়েছিল। ডাক্তারদের ব্যক্তিগত চেম্বারে আসা রোগীদের অধিকাংশই সর্দি-জ্বর নিয়ে আসছেন।

গত বৃহষ্পতিবার ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বহির্বিভাগে প্রায় ৩০০ জন রোগী জ্বর-সর্দি নিয়ে চিকিৎসা নিতে এসেছেন। গত ১৫ দিন থেকেই এ ধরণের রোগী বাড়ছে। শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বহির্বিভাগে প্রতিদিন ৬০০ থেকে ৭০০ জন রোগী বিভিন্ন রোগের চিকিৎসা নিতে আসেন। এসব রোগীর মধ্যে অধিকাংশই শুধু জ্বর নিয়ে ডাক্তার দেখাতে আসেন। মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালেও দৈনিক ৫০০ জন রোগী বহির্বিভাগে চিকিৎসা নিতে আসছেন। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানান, এখন তীব্র গরমের কারণে সর্দি-জ্বরে আক্রান্ত রোগী বেশি হচ্ছে। হাসপাতাল ছাড়াও বেসরকারি ক্লিনিক ও ডাক্তারদের ব্যক্তিগত চেম্বারেও রোগীদের সংখ্যা বাড়ছে। এরমধ্যে জ্বর-সর্দি নিয়ে আসা রোগীদের সংখ্যাই বেশি। ফার্মেসিতেও ওষুধ কিনতে জ্বর আক্রান্ত রোগীরা বেশি আসছেন।

ঘরে ঘরে সর্দি-জ্বর আর ডায়রিয়া হওয়ার কারণ হিসেবে আবহাওয়ার ভারসাম্য বিঘ্নিত হওয়াকে উল্লেখ করছেন হেলথ অ্যান্ড হোপ স্পেশালাইজড হাসপাতালের পরিচালক ও জনস্বাস্থ্যবিদ ডা. লেলিন চৌধুরী। তিনি বলেন, বর্ষা মৌসুমে এখন তীব্র রোদ ও তাপদাহ হওয়ার ফলে মানুষকে সংক্রমণ করতে পারে এমন রোগ-জীবাণু বৃদ্ধি হচ্ছে। এতে করোনা, ডেঙ্গু, সাধারণ ভাইরাসজনিত জ্বর এবং শ্বাসতন্ত্রের সংক্রমণ হচ্ছে। এছাড়া পানিবাহিত রোগ ডায়রিয়া, হেপাটাইটিস, টাইফয়েড জ্বর বেশি হচ্ছে। গরমের কারণে অনেকের রাস্তার পাশের পানি বা খাবার খেয়ে ফুড পয়জনিং, বমি কিংবা পাতলা পায়খানা হচ্ছে। সব মিলে জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সবকিছু বদলে যাচ্ছে। এতে মানুষের সঙ্গে অন্য প্রাণী, উদ্ভিদ কিংবা জড় পদার্থের ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে। এর ফলে মানুষ এসব রোগে বেশি আক্রান্ত হচ্ছে।

ঠাণ্ডা-গরম, কাশি ও জ্বর : ঋতু পরিবর্তনের সময় অনেকেই জ্বর, সর্দি-কাশিতে আক্রান্ত হয়ে পড়েন। মূলত হঠাৎ ঠাণ্ডা থেকে গরমে পরিবর্তনের কারণে এটা ঘটে। হঠাৎ গরম পড়তে শুরু করে। চিকিৎসকদের মতে, বাইরে গরম আবহাওয়া, কিন্তু অনেকের বাসা বা অফিস, গাড়িতে এসি থাকে। ফলে ঠাণ্ডা থেকে হঠাৎ গরমে যাওয়া বা গরম থেকে ঠাণ্ডার মধ্যে গেলে শরীর মানিয়ে নিতে পারে না। তাই অনেকের সর্দি কাশিতে আক্রান্ত হন, নাক দিয়ে পানি পড়তে থাকে, কারও কারও জ্বর আসে। তবে এ ধরণের সমস্যা সাধারণত কয়েকদিন পরেই ঠিক হয়ে যায় বলে জানান জনস্বাস্থ্যবিদ ডা. আয়েশা আক্তার। গরমে অসুস্থ হয়ে পড়া থেকে নিজেকে রক্ষা করতে কিছু পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। এগুলোর মধ্যে রয়েছে: রোদে বের হলে সবসময় ছাতা ও সানগ্লাস ব্যবহার, প্রচুর পরিমাণে পানি পান করা। প্রেশার বা ডায়াবেটিস না থাকলে স্যালাইন পান করা যেতে পারে। সুতির কাপড়চোপড় ও নরম জুতা পরা, ভারী ও ফাস্টফুড না খাওয়া, পুরনো ও বাসী খাবার না খাওয়া, ঘরে পানি ভর্তি বালতি রাখা, যা ঘর ঠাণ্ডা রাখবে, প্রতিদিন গোসল করা এবং কয়েকবার করে হাত, মুখ, পা ধোয়া, সানস্ক্রিন ব্যবহার করা, যা ত্বক ভালো রাখবে

প্রখ্যত মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ও প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক প্রফেসর ডা. এবিএম আবদুল্লাহ বলেন, গরমে বা তাপমাত্রা বৃদ্ধিতে মানুষ প্রধানত দু’ভাবে আক্রান্ত হয়। অতি তাপমাত্রাজনিত সমস্যা ও জীবাণু সংক্রমণজনিত রোগ। চার বছরের কম বয়সী শিশু, ৬০ বছরের বেশি বয়সী মানুষ, বেশি মোটা এবং বিভিন্ন রোগাক্রান্ত ব্যক্তি অতি তাপজনিত সমস্যার ঝুঁকিতে থাকেন। এদের মধ্যে সর্দি-কাশি এবং ভাইরাসজনিত জ্বরের প্রকোপ সবচেয়ে বেশি। দূষিত পানি ও খাদ্য থেকে কলেরার মাত্রা অনেক বেশি হতে পারে। এসব রোগ প্রতিরোধে পর্যাপ্ত এবং প্রয়োজনে প্রচুর জীবাণুমুক্ত পানি পান করতে হবে। চিনিযুক্ত পানি, কোমল পানীয় ও অতি ঠাণ্ডা পানি বর্জন করতে হবে। হালকা ও সুতি জামা পরিধান করার পাশাপাশি বেশি ঘাম হলে লবণযুক্ত শরবত, এ ক্ষেত্রে খাবার স্যালাইন খাওয়া যেতে পারে। এ ছাড়া গরমের অন্যান্য রোগ প্রতিরোধের জন্য ফুটানো এবং বিশুদ্ধ পানি পান করার কথা বলেছেন। এছাড়া ফুটপাতের খোলা জায়গার খাবার পরিহার, ধুলাবালিতে মাস্ক ব্যবহারের পরামর্শ দেন। ##

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (8)
মোঃ মনির উজ্জামান ৬ আগস্ট, ২০২২, ৭:০৬ এএম says : 0
মহান আল্লাহ তায়ালা সবাই কে শিফা দান করুন
Total Reply(0)
Afiya Islam ৬ আগস্ট, ২০২২, ৭:০৬ এএম says : 0
আবার বেড়েছে করোনা নিজেদের মধ্যে হলে বুঝা যায়।আমরা ত
Total Reply(0)
Md Kefayet Ullah ৬ আগস্ট, ২০২২, ৭:০৬ এএম says : 0
আমাদের ঘরে মানুষ ৫ জন,,, তার মধ্যেই ৩ জনের অনেক জ্বর
Total Reply(0)
Tuhin M ৬ আগস্ট, ২০২২, ৭:০৬ এএম says : 0
সব মানুষের একই অবস্থা
Total Reply(0)
MD Wasim Daly ৬ আগস্ট, ২০২২, ৭:০৭ এএম says : 0
তাই তো কোনো ওষুধের দোকানে নাপা সিরাপ এইস সিরাপ জরের কোনো ওষুধ পাওয়া জাচছে না
Total Reply(0)
MD Wasim Daly ৬ আগস্ট, ২০২২, ৭:০৭ এএম says : 0
তাই তো কোনো ওষুধের দোকানে নাপা সিরাপ এইস সিরাপ জরের কোনো ওষুধ পাওয়া জাচছে না
Total Reply(0)
Saidur Rahman Shukkur ৬ আগস্ট, ২০২২, ৭:০৮ এএম says : 0
আলহামদুলিল্লাহ আমাদের বাড়িতে এখনো কেউ আক্রান্ত হয়নি
Total Reply(0)
Lotifur Jaman ৬ আগস্ট, ২০২২, ৭:০৮ এএম says : 0
আমাদের মত গরীব অসহায় মানুষের জ্বর হলে স্থানীয় সরকারি হাসপাতালের প্যারাসিটামল ঔষধই একমাত্র ভরসা! স্থানীয় প্রশাসনের নজরদারির অভাবের মাশুল বড়লোক দিতে পারলেও, ৪০০টাকা দিয়ে একজোড়া আনারস কিনে খাওয়ার সামর্থ্য সকলে রাখে না।
Total Reply(0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন