বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

অভ্যন্তরীণ

ভরা মৌসুমে মেঘনা নদীতে ইলিশ নেই, হতাশ জেলেরা

দৌলতখান (ভোলা) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ৭ আগস্ট, ২০২২, ১২:০৭ এএম

ইলিশের ভরা মৌসুম চলছে। কিন্তু মেঘনায় জেলেদের জালে কাঙ্খিত ইলিশ ধরা পড়ছেনা। ইলিশ না পেয়ে হতাশ জেলেরা। মেঘনা মাছ ধরে দৌলতখানের প্রায় ১৫ হাজার জেলে জীবিকা নির্বাহ করে। বৈশাখের শুরুতে মহাজনের থেকে দাদন নিয়ে জাল-নৌকা মেরামত করে জেলেরা। জ্যৈষ্ঠের শেষ দিকে নদীতে ইলিশ শিকারে পুরোদমে নামে উপজেলার কয়েক হাজার জেলে। মাছ শিকার করে মহাজনের দাদনের টাকা পরিশোধ করবে। সংসারের স্বচ্ছলতা ফিরিয়ে আনবে। আষাঢ়ের শুরু থেকে ইলিশের ভরা মৌসুম শুরু হয়। মৌসুমের দেড় মাস শেষ হলেও নদীতে ইলিশের দেখা মিলছে না। জেলেরা নদীতে দিনরাত জাল ফেলে যে পরিমাণ মাছ পায় তা বিক্রি করে খরচও উঠেনা। তাই জাল, নৌকা ফেলে অলস সময় পার করছে অনেক জেলে। কেউ কেউ পেশা বদলও করেছে। এনজিও›র ঋণের কিস্তি ও দাদনের টাকার চাপে পড়ে এলাকা ছেড়েছে শত শত জেলে।
সরেজমিনে দৌলতখানের বিভিন্ন মাছঘাটে দেখা যায়, সারি সারি জেলে নৌকা ঘাটে বাঁধা আছে। পাতারখাল ঘাটের জেলে আবদুল্লা বলেন, এসময় নদীতে প্রচুর ইলিশ ধরা পড়তো। এখন নদীতে যা মাছ পাই তা দিয়ে বাজার খরচও উঠে না। মালিক এখন নৌকা ঘাটে বেঁধে রেখেছে। কেমনে সংসার চালামু বুঝিনা। ওই ঘাটের মাছ ব্যবসায়ী হাজী কামাল জানান, নদীতে মাছ নেই। জেলেরা নদীতে গিয়ে দিনরাত পরিশ্রম করে শূন্য হাতে ঘাটে ফিরছে। এ মৌসুমে ব্যবসা খারাপ যাচ্ছে। মৌসুমও শেষের দিকে। মনে হচ্ছে এ বছর অনেক লোকসান গুনতে হবে। মৎস্যজীবী সমিতির এক নেতা বলেন, একটি প্রভাবশালী মহলের ইন্ধনে অসাধু জেলেরা মেঘনা নদীতে অবৈধ জাল দিয়ে জাটকাসহ নানা প্রজাতির মাছের রেনু ধ্বংস করছে। এছাড়া নদীতে খুঁটি পুঁতে মাছ শিকার ও ডুবো চরের কারণে সাগর থেকে নদীতে ইলিশ আসতে পারছে না।
দৌলতখান উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মাহফুজুল হাছনাইন বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে ও নদীর বুকে পলি জমে অসংখ্য ডুবোচর জেগে উঠায় নদীতে ইলিশ আসতে বাধাপ্রাপ্ত হওয়ার ফলে নদীতে ইলিশ কমে গেছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন