হোটেল ওয়ার্ল্ড বীচ এবং আলম গেস্ট হাউসের পর এবার “সী কক্স” নামে একটি হোটেলের স্টাফ কোয়ার্টার থেকে ওই হোটেল ম্যানেজার খালেদ আশরাফ বাপ্পীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। গত শনিবার দিবাগত রাত এগারোটার দিকে হোটেল সী কক্সের স্টাফ কোয়ার্টারের একটি কক্ষ থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় তার লাশ উদ্ধার করে সহকর্মীরা তাকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করে। নিহত আশরাফ বাপ্পী পিএমখালী বাংলা বাজারস্থ নোয়াপাড়া এলাকার প্রবাসি আব্দুল গফুরের ছেলে।
এ ঘটনায় নিহতের পরিবারের সদস্যরা মুফিজ নামে এক যুবককে হাসপাতালে আটকে রেখেছে। অভিযোগ উঠেছে তার কাছে বাপ্পী প্রায় ১০ লাখ টাকা পাওনা রয়েছে। এই টাকা না দিতে মুফিজ তাকে পরিকল্পিত হত্যা করেছে।
হোটেলের এজিএম রিদুয়ান হাসান বিপু বলেন, বাপ্পী সকাল ৬টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত হোটেলে ডিউটি করেছেন। স্টাফ কোয়ার্টারে গিয়ে মূলত দুর্ঘটনাটি ঘটেছে। নিহতের মা বলেন, আত্মহত্যা করতে পারে এমন ছেলে বাপ্পী নয়। তাকে হত্যা করা হয়েছে। আমার ছেলের সাথে মুফিজ নামের এক যুবকের সাথে ব্যবসার ৮ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা লেনদেন ছিলো। দীর্ঘদিন মুফিজ টাকা ফেরত দেয়ার কথা বলে প্রতারণা করে আসছে। আমার ধারণা মুফিজ আমার ছেলেকে হত্যা করতে পারে।
এদিকে হোটেল সী কক্স এবং হোটেলের স্টাফ কোয়ার্টার পরিদর্শন করছেন র্যাব-১৫ এর সদস্যরা। কক্সবাজার সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) সেলিম উদ্দীন জানান, আমাদের পুলিশের একটি টিম রাত থেকে কাজ করছে। ময়নাতদন্তের পর বলা যাবে।
পরিবার থেকে অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে জানান তিনি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন