বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

ঠাকুরগাঁওয়ে স্কুলের দু’পাশে পুকুর

ঠাকুরগাঁও জেলা সংবাদদাতা : | প্রকাশের সময় : ৮ আগস্ট, ২০২২, ১২:০৪ এএম

ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলার ঝাড়বাড়ী মোহাম্মদপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দুই পাশে পুকুর থাকায় শিক্ষার্থীরা জীবন ঝুঁকি নিয়ে পাঠগ্রহণ করছে। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, প্রাথমিক বিদ্যালয়টিতে কর্মরত শিক্ষক আছেন পাঁচজন। শিক্ষার্থীও প্রায় দেড় শতাধিক। কিন্তু শিক্ষার্থীদের জন্য নেই পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা। প্রতিদিন বিদ্যালয় চলাকালীন সময়ে শিক্ষার্থীদের নিয়ে শিক্ষকসহ অভিভাবকরা থাকেন নানা দুশ্চিন্তায়। কারণ বিদ্যালয়ের দুই পাশে রয়েছে অনিরাপদ দু’টি পুকুর।
শিশুরা পানিতে চলতে বেশি পছন্দ করে সে জন্য বিদ্যালয়ের পাশে পুকুরের দিকে শিক্ষকসহ অভিভাবকদের নজর রাখতে হয় সব সময়। কারণ একটু অসচেতনতায় ঘটে যেতে পারে বড় ধরণের দুর্ঘটনা।
বিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, ওই এলাকায় ৬৭ শতক জমি নিয়ে ১৯৯২ সালে বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয়। বিদ্যালয়ের সামনের অংশে দুই পাশে মালিকানায় দুইটি পুকুর থাকায় বিশেষ করে বর্ষা মৌসুমে শিশুদের নিয়ে শিক্ষকসহ অভিভাবকরা থাকেন দুশ্চিন্তায় । দ্বিতীয় শ্রেণীর সাথী, তৃতীয় শ্রেণীর পারভেজ, পঞ্চম শ্রেণীর সিয়াম জানান, বিদ্যালয়ের মাঠ না থাকায় খেলাধূলা করতে পারে না তারা। বিদ্যালয়ের দুই পাশে পুকুর থাকায় স্যাররা শ্রেণীকক্ষ থেকে বাহির হতে দেয় না। কারণ সাঁতার না জানা শিশুদের জন্য পদে পদে রয়েছে বিপদ।
ঝাড়বাড়ী মোহাম্মদপুর সরকারি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রেজাউল হক জানান, ছয় মাস পুকুরে পানি থাকে, বিশেষ করে বর্ষাকালের তিন মাস খুবই ঝুঁকি থাকে শিশুদের। ওই বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক সাবিনা ইয়াসমিন বলেন, গ্রামের কাঁচা রাস্তা দিয়ে বিদ্যালয়ে আসার সময় পায়ে কাঁদা মাটি লাগলে শিশুরা পুকুরের পানিতে পরিস্কার করার জন্য নামে। ইতোপূর্বে কয়েক জন পানিতে পরে ডুবে যায় স্থানীরা দেখে তাদের উদ্ধার করে। বিদ্যালয় চলাকালীন সময়ে কোন কিছু ঘটলে এলাকার লোকজন আমাদের ছাড়বে না। সব মিলিয়ে বিদ্যালয়ের মাঠ ভরাসহ সীমানা প্রাচীর হওয়া খুবই জরুরি।
বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটির সভাপতি আব্দুর রাজ্জাক বলেন, বিদ্যালয়ের সামনের দশ শতক জায়গা অন্য জনের মালিকানা ও বিদ্যালয়ের তিন শতক জমিতে পুকুর থাকায় বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিচ্ছে। সরকারিভাবে কোন বাজেট না পাওয়ায় বিদ্যালয়ের অংশ টুকুও ভরাট করা সম্ভব হয়নি।
ঠাকুরগাঁও জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা হারুন অর রশিদ বলেন, বিদ্যালয়টি দ্রুত সময়ে পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন