শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

রিজার্ভ পরিস্থিতি ডিসেম্বর নাগাদ স্থিতিশীল হবে

‘কিছু অর্থনীতিবিদ উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে নেতিবাচক ও মিথ্যা তথ্য দিচ্ছে’ বঙ্গবন্ধুর অর্থনীতি বাণিজ্য ভাবনা শীর্ষক সেমিনারে সালমান এফ রহমান

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৮ আগস্ট, ২০২২, ১২:০০ এএম

ডিসেম্বর নাগাদ দেশের রিজার্ভ পরিস্থিতি স্থিতিশীল হবে বলে মন্তব্য করছেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান। তিনি বলেন, ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের কারণে অস্বাভাবিকভাবে ডলারের দাম বেড়ে যাওয়ায় আমদানি ব্যয় মেটাতে বাংলাদেশকে অনেকটাই বেগ পেতে হচ্ছে। ফলে দেশের রিজার্ভে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। তবে এ সমস্যাকে অস্থায়ী উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা বলেন, ডিসেম্বর নাগাদ দেশের রিজার্ভ পরিস্থিতি স্থিতিশীল হবে।

গতকাল রোববার ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিতে (এফবিসিসিআই) বঙ্গবন্ধুর অর্থনীতি বাণিজ্য ভাবনা শীর্ষক সেমিনারে তিনি এই কথা বলেন। সালমান এফ রহমান বলেন, কিছু অর্থনীতিবিদ দেশের অর্থনীতি নিয়ে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে নেতিবাচক ও মিথ্যা তথ্য দিচ্ছে। সম্প্রতি আলী রিয়াজ নামে একজন বাংলাে শের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে অত্যন্ত ভুল তথ্য প্রকাশ করেছেন। আমরা যা সংশোধন করার চেষ্টা করছি।

তিনি বলেন, স্বাধীনতার পর থেকেই বাংলাদেশ নিয়ে একটি চক্র ষড়যন্ত্র করে আসছে। সে চক্রটি এখনও সক্রিয়। তাই সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। এসময় ব্যবসায়ী নেতাদের উদ্দেশ্য করে প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা বলেন, আপনাদের সচেতন হতে হবে, সতর্ক থাকতে হবে। বর্তমান সরকারের সময় ব্যবসায়ীদের দেয়া বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধার কথা তুলে ধরে আগামী নির্বাচনে আবারও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নির্বাচিত করতে কাজ করার আহ্বান জানান সালমান এফ রহমান।

সেমিনারে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, নিঃসন্দেহে জ্বালানির দাম বাড়ায় মানুষের কষ্ট হবে। খরচ বাড়বে। অনেকের অনেক সমস্যা হবে। কিন্তু এ কষ্ট সাময়িক। বৈশ্বিক বাস্তবতার কারণেই এই সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে। তবে আমাদের সুদিন খুব কাছে। কখনও কখনও সেই সুদিনের অপেক্ষায় একটু কষ্ট স্বীকার করতে হয়। সুদিনের অপেক্ষায় তিনি জনগণকে এই সাময়িক কষ্ট মানিয়ে নেয়ারও পরামর্শ দেন।

স্বাগত বক্তব্যে এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন বলেন, বাংলাদেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট, কৃষি উন্নয়ন, শিল্প ও বাণিজ্য সম্প্রসারণ, সংস্কৃতি, নারী জাগরণ, গ্রামীন প্রান্তিক মানুষের উন্নয়নসহ প্রতিটি ক্ষেত্রে বঙ্গবন্ধুর দর্শনকে ধারণ করে বাংলাদেশ একটি উন্নয়নশীল রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে। সমৃদ্ধ অর্থনীতি গড়তে বাণিজ্য খাতে ব্যাপক উন্নয়ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছিলেন বঙ্গবন্ধু। তারই অংশ হিসেবে বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ দেশগুলোর সাথে বাংলাদেশের রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, কারিগরি ও আন্তর্জাতিক বাণিজ্য সম্পর্ক গড়ে তোলেন।

সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. আতিউর রহমান। যুদ্ধোত্তর বাস্তবতার নিরিখে সীমিত সম্পদের সর্বোচ্চ সদ্ব্যবহার, প্রথম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনায় অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নে আপসহীন অভিযাত্রা, রাষ্ট্র নির্ভরতা থেকে ব্যক্তিখাতের বিকাশসহ বিভিন্ন দিকে বঙ্গবন্ধুর অবদান তুলে ধরেন ড. আতিউর রহমান।

ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই) সভাপতি রিজওয়ান রহমান বলেন, প্রথম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা দেশে ব্যক্তিখাতের বিকাশের ভিত্তি তৈরি করে দিয়েছে। বঙ্গবন্ধুর বার্টার পদ্ধতির কারণেই অনেক প্রতিষ্ঠানের যাত্রা শুরু হয়েছিল। অর্থনৈতিক কূটনীতিতেও বিশাল ভূমিকা রেখেছেন বঙ্গবন্ধু।

সেমিনারে প্যানেল আলোচনায় বক্তব্য রাখেন এমসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি ব্যারিস্টার নিহাদ কবির, বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনের সাবেক সদস্য মোস্তফা আবিদ খান, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক নির্বাহী পরিচালক মাহফুজুর রহমান ও সাবেক বাণিজ্য সচিব শুভাশীষ বসু প্রমুখ।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন