বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ জানিয়েছেন, বিদ্যুতের সমস্যা সমাধানে সপ্তাহের একেক দিন একেক এলাকার শিল্পকারখানা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এতে ৪৯০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সাশ্রয় হবে। আগামী সেপ্টেম্বর মাস থেকে লোডশেডিং অর্ধেকে নামিয়ে আনা হবে। বিদ্যুতের উৎপাদনও বাড়ানো হবে। গতকাল রোববার বিদ্যুৎ ভবনে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে এক বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন। প্রতিমন্ত্রী বলেন, উৎপাদন বাড়ানোর চেষ্টা চলছে। বাড়লেই অক্টোবর মাস থেকে অনেকটাই স্বাভাবিক হবে লোডশেডিং। লোডশেডিং কমাতে এলাকাভিত্তিক কারখানা বন্ধের যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে তাতে বিদ্যুৎ সাশ্রয় হবে।
এদিকে অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিকেএমইএ) সহ-সভাপতি ফজলে শামীম এহসান বলে, এলাকাভিত্তিক কারখানা বন্ধের যে সিদ্ধান্ত হয়েছে তা মেনে নিলেও মন্ত্রণালয় থেকে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের বিষয়ে কোনো নিশ্চয়তা দেওয়া হয়নি। প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে এফবিবিসিআইয়ের নেতারা বলেন, তেলের দাম বাড়ায় পণ্য সরবরাহে ব্যয় বাড়বে।
তিনি বলেন, আগামী অক্টোবর থেকে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ করা সম্ভব হবে, তখন আর লোডশেডিং থাকবে না বলে আশা করা হচ্ছে। প্রতিমন্ত্রী বলেন, আগামী মাস থেকে লোডশেডিং আরও কমবে। আমরা উৎপাদন বাড়াবো। গ্যাসের পরিমাণ বাড়িয়ে ব্যালেন্স করার চেষ্টা করবো। অক্টোবর থেকে পুরোপুরি নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুতের দিকে যেতে পারবো। সবাইকে অনুরোধ করবো, একটু ধৈর্য ধরুন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন