ইসরাইল এবং ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী ইসলামিক জিহাদ একটি যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করেছে। এর মাধ্যমে তিন দিন পরে গাজায় বোমাবর্ষণ করা থামিয়েছে ইসরাইল, যাতে ১৫ শিশু সহ কমপক্ষে ৪৪ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে।
শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত ইসরাইলি বিমান হামলা এবং ফিলিস্তিনি রকেট হামলার ঝড় সত্ত্বেও রোববার স্থানীয় সময় রাত সাড়ে ১১ টায় যুদ্ধবিরতি শুরু হয়। যদিও উভয় পক্ষই যুদ্ধ থামাতে সম্মত হয়েছিল, প্রত্যেকে একে অপরকে সতর্ক করেছে যে, তারা যে কোনও সহিংসতার বিরুদ্ধে শক্তি প্রয়োগ করবে। গাজা সিটি থেকে আল জাজিরার সাফওয়াত আল-কাহলুত বলেছেন, ‘এ যুদ্ধবিরতি চলছে।’
তিনি জানান, ‘স্থানীয় সরকারী অফিসগুলি ঘোষণা করেছে যে, তারা জনসাধারণের জন্য তাদের দরজা আবার খুলবে, যখন বিশ্ববিদ্যালয়গুলিও ঘোষণা করেছে যে তারা শিক্ষার্থীদের জন্য আবার খুলবে। গাজার পৌরসভা এবং অন্যান্য পৌরসভাগুলিও ঘোষণা করেছে যে তারা ধ্বংসস্তূপ অপসারণের জন্য তাদের সরঞ্জাম পাঠাবে এবং ধ্বংসের প্রাথমিক মূল্যায়ন করার চেষ্টা করবে।’
এক বিবৃতিতে ফিলিস্তিনি গোষ্ঠী জানায়, মিশরের সক্রিয় উদ্যোগে ইসরাইলের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। ইসরাইল পিআইজে’র দুই বন্দীকে মুক্তি দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্টের কার্যালয় মিশরের চেষ্টার জন্য ধন্যবাদ জানিয়েছে। মিশরের প্রেসিডেন্ট ফাত্তাহ আল-সিসির সমর্থনের প্রশংসা করে আব্বাস বলেন, ফিলিস্তিনি জনগণের দুঃখ প্রশমনে মিশর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।
ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের বিবৃতিতেও পিআইজে’র সঙ্গে যুদ্ধবিরতি চুক্তির স্বীকৃতি দেয়া হয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়, পিআইজে চুক্তি লঙ্ঘন করলে ইসরাইলও প্রতিক্রিয়া দেখাবে। সূত্র: আল-জাজিরা।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন