বুধবার ১৩ নভেম্বর ২০২৪, ২৯ কার্তিক ১৪৩১, ১১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জাতীয় সংবাদ

ডাকাতি-গণধর্ষণ আতঙ্ক

মহাসড়কে দুই শতাধিক ডাকাত দলের সদস্য সক্রিয় মালিকরা বাসে প্যানিক বাটন বসাতে সম্মত নয় গণপরিবহনে সাড়ে পাঁচ বছরে ৩৫৭ ধর্ষণ, ২৭ খুন : সেভ দ্য রোড-এর প্রতিবেদন

সাখাওয়াত হোসেন | প্রকাশের সময় : ৯ আগস্ট, ২০২২, ১২:০০ এএম

মহাসড়কে একের পর এক ডাকাতি, ধর্ষণ, সঙ্ঘবদ্ধ ধর্ষণ ও শ্লীলতাহানির ঘটনায় আতঙ্কে সাধারণ মানুষ। ডাকাতির ঘটনায় কোনো প্রতিকার না থাকায় রাতের মহাসড়ক অনিরাপদ ভেবে অনেকেই যাতায়াত বন্ধ করেছেন। যানবাহনে কয়েক ঘণ্টা ধরে ডাকাতি, ধর্ষণের ঘটনায় পুলিশের যথাযথ পদক্ষেপের অভাব, বাস চালক-সহযোগীদের নিয়ম না মানা এবং আইন ভেঙে মহাসড়কের যেখানে সেখানে যাত্রী তুলে বাসযাত্রীদের জীবন ঝুঁঁকিতে ফেলছে। গত ২ আগস্ট রাতে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে ডাকাত দল ঈগল পরিবহনের একটি বাসের নিয়ন্ত্রণ নেয়। পরে যাত্রীদের সর্বস্ব কেড়ে নিয়ে দুই নারীকে সঙ্ঘবদ্ধ ধর্ষণ করে।
গত ৫ আগস্ট গভীর রাতে গাজীপুর মহানগরীর ভোগড়া বাইপাস থেকে মাওনা যাওয়ার সময় তাকওয়া পরিবহনের একটি বাসে এক নারী ধর্ষণের শিকার হন। দু’টি ঘটনায় র‌্যাব ও পুলিশ সংঘবদ্ধ ডাকাত দলের সদস্যদের গ্রেফতার করলেও সাধারণ মানুষ রাতে মহাসড়কে যাতায়াতকে কোনভাবেই আর নিরাপদ মনে করছেন না। এ নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে। এর আগে মানিকগঞ্জ, ঢাকার সাভার, টাঙ্গাইল, গাজীপুর, বরিশাল, ময়মনসিংহ ও নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে চলন্ত বাসে ধর্ষণের ঘটনা ঘটে।
আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তারা বলছেন, কয়েকটি ডাকাতির ঘটনায় নড়েচড়ে বসেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। মহাসড়কে নিরাপত্তা জোরদারে গত ৫ আগস্টও হাইওয়ে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ভার্চুয়ালি মিটিং করেছেন। মহাসড়কের রুটগুলোতে দুই শতাধিক ডাকাত দলের সদস্য সক্রিয়। চক্রটির প্রতি গ্রুপে রয়েছে ৮ থেকে ১০ জন সদস্য। এর মধ্যে ঢাকা-ময়মনসিংহ, ঢাকা-চট্টগ্রাম, ঢাকা-টাঙ্গাইল, গাবতলী-আশুলিয়া মহাসড়ক উল্লেখযোগ্য। এর মধ্যে অন্তত ২০ জনের নাম পাওয়া গেছে। তারা বিভিন্ন পেশার আড়ালে ডাকাতি করে। তাদের মধ্যে- আকবর, সাগর মিয়া, শাহিন ভাই, করিম, ইউনুস ড্রাইভার, হানিফ, মেহেদী, মনির ভাই, শফিকুল, মোস্তফা, ইব্রাহীম, রনি, মোস্তফা চাচা, আজগর আলী, সাম্বার ভাই, দেলু, ফরিদ, সবুজ, মজিদ ডাকাত ও ফারুকের তালিকা করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। গ্রেফতারের পর সহজেই জামিন নিয়ে ফের ডাকাতির ঘটনা ঘটাচ্ছে।
পুলিশের একটি সূত্র জানায়, ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের আব্দুল্লাহপুর-টঙ্গী থেকে গাজীপুর চৌরাস্তা পর্যন্ত ১২ কিলোমিটার অংশে যানজটের মধ্যে প্রায় রাতে পরিবহণে ডাকাতি ও ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ২৫টি ডাকাত গ্রুপ সক্রিয় রয়েছে। মাইক্রোবাসে যাত্রী তুলেও তারা ডাকাতি করে। এ মহাসড়কের চান্দিনা, ভবেরচর ও সোনারগাঁ অংশ এবং ফেনীর লালপুর থেকে চট্টগ্রামের সীতাকুন্ডের কুমিরা পর্যন্ত বিভিন্ন পয়েন্টে বেশিরভাগ ডাকাতির ঘটনা ঘটে।
ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে ভৈরবের কালিকাপ্রাসাদ থেকে কুলিয়ারচরের নোয়াগাঁও ছয়সূতি, দারিয়াকান্দি থেকে বাজারের মাঝামাঝি এলাকায় মালবাহী ট্রাক-কাভার্ডভ্যানে বেশি ডাকাতির ঘটনা ঘটে। একইসঙ্গে ঢাকা-রাজশাহী, ঢাকা সিলেটসহ অন্যসব অঞ্চলের মহাসড়কেও ডাকাতি-ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটছে।
হাইওয়ে পুলিশের একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা ইনকিলাবকে বলেন, হাইওয়ে পুলিশের টহল বাড়ানো, বাসগুলোতে জিপিএস ট্রেকার এবং আইপি ক্যামেরা বসিয়ে মনিটরিং করা, যাত্রীদের এনআইডি এবং মোবাইল ফোন নম্বর সংরক্ষণ, দূরপাল্লার বাসে যাত্রীদের ছবি তুলে রাখা, বাসের রুট পারমিট চেক করা, ডাকাতদের ডাটাবেজ তৈরি করা, এক রুটের বাস অন্য রুটে দেখলেই চেক করাসহ ১৮টি সুপারিশ করা হয়েছে। এছাড়া বাসে ডাকাতি ঠেকাতে নতুন এক প্রযুক্তি ব্যবহারের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম ইনকিলাবকে বলেন, বাসে ডাকাতি ও ধর্ষণের মতো ঘটনা রোধে প্যানিক বাটন বসানোর কথা থাকলেও সব বাসে এখনও তা সম্ভব হয়নি। ঢাকার কিছু কিছু বাসে এ বাটন বসানো হয়েছে। এর পেছনে যে খরচ তা বহনে বাস মালিকরা রাজি না হওয়ায় সব বাসে বসানো সম্ভব হয়নি।
তিনি আরও বলেন, ডাকাতির ক্ষেত্রে প্যানিক বাটন কাজে আসবে। কারণ ডাকাতরা যদি বাসে ওঠে তখন চালক প্যানিক বাটন চাপ দিলে খুব সহজে পুলিশের কাছে খবর চলে আসবে। তবে বাসে নারীদের শ্লীলতাহানি ও ধর্ষণের ঘটনায় অনেক সময় দেখা যায় চালক ও চালকের সহকারী জড়িত থাকে। সেক্ষেত্রে প্যানিক বাটন কাজে আসবে না। কারণ চালক তো তখন নিজেই অপরাধী, সে তো ওই বাটন চাপবে না। যেসব এলাকায় নারী শ্রমিকরা বেশি কাজ করেন সেসব এলাকার বাসের চালক ও হেলপারের ছবিসহ জীবনবৃত্তান্ত এবং বাসের নম্বর লিখে রাখতে হবে। তাহলে অপরাধীদের সহজেই শনাক্ত করা যাবে।
পুলিশ সদর দফতর সূত্রে জানা গেছে, সারাদেশে হাইওয়ে আছে ১১ হাজার ৮০৬ কিলোমিটার। ২০০৫ সাল থেকে মহাসড়কের নিরাপত্তায় কাজ করছে হাইওয়ে পুলিশ। তাদের মোট জনবল দুই হাজার ১৯২ জন। পাঁচটি অঞ্চলে ভাগ হয়ে কাজ করে। প্রতিটি অঞ্চলের দায়িত্বে একজন করে পুলিশ সুপার।
মহাসড়কে সঙ্ঘটিত কয়েকটি ডাকাতি ও ধর্ষণের ঘটনা : গত ১৭ মে রাত পৌনে ১০টার দিকে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে সাভারের নবীনগর সনো শপিং কমপ্লেক্সে সামনে চলন্ত বাসে ডাকাতির সময় এক ডাকাত সদস্যকে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করে জনতা। আহত ডাকাত সদস্য ঢাকা মেডিকেলে কলেজে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়। গত বছরের ২৮ মে সাভারের আশুলিয়ায় চলন্ত বাসে তরুণীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের চেষ্টাকালে ছয় ডাকাতকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ওই সময় চলন্ত বাসে নারীর চিৎকারে টহল পুলিশ বাসটি থামানোর পর চালক- হেলপারসহ ৬ জনকে গ্রেফতার করে। ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট বগুড়া থেকে ময়মনসিংহ যাওয়ার পথে রূপা খাতুন নামে এক তরুণীকে চলন্ত বাসে ধর্ষণের পর হত্যা করে টাঙ্গাইলের মধুপুর বন এলাকায় ফেলে যায় ডাকাতরা। রূপা বগুড়া থেকে ময়মনসিংহে যাচ্ছিলেন। একটি বহুজাতিক কোম্পানির কর্মী ছিলেন তিনি।
ডাকাত গ্রুপ : পুলিশের একটি সূত্র জানায়, দেশের বিভিন্ন এলাকায় মহাসড়কে ডাকাতিতে দুই শতাধিক গ্রুপ জড়িত। এরমধ্যে ঢাকা ও আশপাশের মহাসড়কে ১২টির বেশি গ্রুপ সক্রিয়। মহাসড়কের ডাকাত গ্রুপগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো- দিলীপ ওরফে সোহেল, আবু জাফর, মনু, সাতক্ষীরা বিপ্লব, বরিশাইল্যা বিল্লাল, কুমিল্লা, ময়মনসিংহ, হুমায়ুন, হীরা, চিটাগাইংগ্যা নুরুপ, রহিম, শহিদ, সিদ্দিক, জহির, ইসমাইল, আজম, হাবিব, মোখছেদ ও সরোয়ার গ্রুপ।
প্রতিটি গ্রুপে ১২ থেকে ২০ জন ডাকাত রয়েছে। একেকটি গ্রুপে শতাধিক অস্ত্রধারী সদস্য রয়েছে। তাদের কাছে পিস্তল, রিভলভার ও চাইনিজ কুড়ালের পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের দেশি অস্ত্রও থাকে। ডাকাতি করতে গিয়ে কেউ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে ধরা পড়লে তাকে ছাড়িয়ে আনার ব্যবস্থা করে অন্যরা।
দিনে চালকের সহকারী
টাঙ্গাইলে মহাসড়কে চলন্ত বাসে ডাকাতি ও ধর্ষণের ঘটনার মূল পরিকল্পনাকারী রতন হোসেনসহ ১০জনকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব। মাত্র ২১ বছর বয়সী রতন পেশায় বাসচালকের সহকারী (হেলপার)। দিনে বাসচালকের সহকারী হিসেবে কাজ করলেও রাতের আড়ালেই ছিল রতনের ভিন্ন রূপ। রাতে বিভিন্ন বাসে ডাকাতি করতো রতন। এর আগেও ১০টি বাসে ডাকাতির নেতৃত্ব দেয় সে। গ্রেফতার হয়ে কারাভোগও করেছে। গতকাল সোমবার কারওয়ান বাজার র‌্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান র‌্যাবের লিগ্যাল আ্যন্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।
তিনি বলেন, টাঙ্গাইলের মহাসড়কে চলন্ত বাসে ডাকাতি ও ধর্ষণের ঘটনায় জড়িত ছিল ১৩ জন। তাদের কেউ বাসের হেলপার কেউবা পোশাক কারখানায় চাকরি করে। এ ঘটনায় মূল পরিকল্পনাকারী রতনসহ ডাকাত চক্রের ১০ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব। রোববার সন্ধ্যা থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত ঢাকা, গাজীপুর ও সিরাজগঞ্জে অভিযান চালিয়ে র‌্যাব সদর দপ্তরের গোয়েন্দা শাখা, র‌্যাব-১২ ও র‌্যাব-১৪ তাদেরকে গ্রেফতার করে। বাসে ডাকাতির পরিকল্পনা থাকলেও ধর্ষণের কোনো পরিকল্পনা আগে থেকে ছিল না ডাকাতদের। গ্রেফতারকৃতরা হলো- ডাকাত চক্রের মূল পরিকল্পনাকারী রতন হোসেন (২১), মো. আলাউদ্দিন (২৪), সোহাগ মন্ডল (২০), খন্দকার মো. হাসমত আলী ওরফে দীপু (২৩), বাবু হোসেন ওরফে জুলহাস (২১), মো. জীবন (২১), আব্দুল মান্নান (২২), নাঈম সরকার (১৯), রাসেল তালুকদার (৩২) ও আসলাম তালুকদার ওরফে রায়হান (১৮)। অভিযানে তাদের কাছ থেকে ২০টি মোবাইল সেট, রুপার চুড়ি ২টি, ১৪টি সিম কার্ড ও ডাকাতিতে ব্যবহৃত একটি দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়।
র‌্যাবের লিগ্যাল আ্যন্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক বলেন, গত ২ আগস্ট দিবাগত রাত ১টায় কুষ্টিয়া থেকে নারায়ণগঞ্জগামী ঈগল এক্সপ্রেস পরিবহনের একটি বাস টাঙ্গাইল অতিক্রম করার সময় ডাকাতি ও ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। এ ডাকাতি ও ধর্ষণের ঘটনায় এক যাত্রী বাদী হয়ে মধুপুর থানায় অজ্ঞাতপরিচয় ১০/১২ জনকে আসামি করে একটি মামলা করেন। এরপর র‌্যাব জড়িতদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় নিয়ে আসার লক্ষ্যে গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করে।
ডাকাতির ছয়টি কৌশল : চক্রগুলো ডাকাতি করতে গিয়ে ছয়টি কৌশল অবলম্বন করে। এগুলোর মধ্যে রয়েছে-যাত্রীবেশে বাসে উঠে ডাকাতি, রাস্তায় গাছের গুঁড়ি ফেলে গাড়ি আটকে ডাকাতি, প্রাইভেট কারে তুলে জিম্মি করে ডাকাতি, মহাসড়কে চলন্ত গাড়ির সামনের গ্লাসে ডিম ছুড়ে মারা, ঢিল মারা, কলাগাছে কাপড় পেছিয়ে লাশের মতো বানিয়ে রাস্তায় ফেলে গাড়ি আটকিয়ে ডাকাতি।
২০১৭-২০২২ সালের ৭ আগস্ট পর্যন্ত গণপরিবহন-অন্যান্য বাহন এবং বাসস্ট্যান্ড-ট্রেন স্টেশনে নারী নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে ৪৬০১ টি, ধর্ষণ ৩৫৭ এবং খুনের শিকার হয়েছেন ২৭ জন। সেভ দ্য রোড-এর প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
সেভ দ্য রোড-এর মহাসচিব শান্তা ফারজানা উল্লেখ করেন, বাসস্ট্যান্ডগুলো স্বাস্থ্য সম্মত ও নিরাপদ না হওয়ার সুযোগকে কাজে লাগিয়ে একশ্রেণির কুরুচিপূর্ণ মানুষ নারীদের পোশাক-আশাক-চাল-চলন নিয়ে যেমন বিভিন্নভাবে কটূক্তি করেন, তেমনি নির্যাতন-নিপীড়ন করতেও পিছপা হয় না। পিছিয়ে নেই ট্রেন, লঞ্চঘাট বা বিমানবন্দরও। প্রতি ১০০ জন নারীর মধ্যে নিপীড়নের শিকার হন ৯৯ জন।
প্রতিবেদনে উঠে এসেছে গত ৫ বছর ৭ মাসে গণপরিবহণ ও বাসস্ট্যান্ডে নির্যাতন-নিপীড়নের ঘটনা ঘটেছে ৩৩১৪টি, ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে ২১৭ এবং হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছে ১৬ জন, ট্রেন স্টেশন, ট্রেন লঞ্চঘাট ও লঞ্চে ২২৯ জন নারী নির্যাতিত হয়েছেন, ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে ২৯টি এবং হত্যার শিকার হয়েছেন ৭ জন এবং প্রাইভেটকার-মাইক্রোবাস বা বাইকে ঘটেছে ৮৪১টি নির্যাতনের ঘটনা, ধর্ষিত হয়েছেন ৩৩৭ জন এবং হত্যার শিকার হয়েছেন ৪ জন।
গণপরিবহনে বাসস্ট্যান্ড ট্রেন স্টেশনসহ বিভিন্ন পথে নির্যাতন-নিপীড়ন-ধর্ষণ-খুন বন্ধের লক্ষ্যে সেভ দ্য রোড-এর পক্ষ থেকে সংশ্লিষ্টদের প্রতি ৩টি সুপারিশ করা হয়েছে- রাষ্ট্রীয়ভাবে নারীর প্রতি সর্বোচ্চ সম্মান প্রদর্শনে সকল শ্রেণি পেশার মানুষকে উদ্ভুদ্ধ করতে নারী প্রতি সম্মান শীর্ষক সচেতনতা তৈরি করা; সেখানে ধর্মীয় অনুশাসন, নীতি-আদর্শ-সভ্যতার আলোকে বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরতে হবে এবং তা বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রচার এবং প্রথম শ্রেণি থেকে স্নাতকোত্তর শ্রেণির পাঠ্যবইতে সংযুক্ত করতে হবে। মালিক-চালক-হেলপার-সুপারভাইজারসহ সংশ্লিষ্টদেরকে অবশ্যই যাত্রীদের প্রতি আচরণ প্রশিক্ষণ এবং অসদাচরণ করলে শাস্তির ঘোষণা দিতে হবে। প্রতি ৫ কিলোমিটার অন্তর পুলিশ বুথ স্থাপন, সকল সড়ক-মহাসড়ক-সেতুকে সিসিটিভি ক্যামেরার আওতায় আনা।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন