রোববার ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সারা বাংলার খবর

ছাত্রীদের কু প্রস্তাব, খুলনায় ৩ ঘন্টা অবরুদ্ধ প্রধান শিক্ষক, মানববন্ধন-ভাঙচুর

খুলনা ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ১০ আগস্ট, ২০২২, ৭:৪২ পিএম


খুলনার রূপসা উপজেলার ডোবা বহুমুখী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দীপ্তিশ্বর বিশ্বাস কর্তৃক দীর্ঘদিন ধরে ছাত্রীদের কুপ্রস্তাব এবং বিভিন্ন অপকর্মের প্রতিবাদে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। এ সময় বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের অবরুদ্ধ করে রাখে ও ভাঙ্গচুর চালায়। আজ বুধবার সকালে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রধান শিক্ষককে হেফাজতে নিলে পরিস্থিতি শান্ত হয়।

সাধারণ শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদেও অভিযোগে জানা গেছে, ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দীপ্তিশ্বর বিশ্বাস বিদ্যালয়ের নবম ও দশম শ্রেণীর ছাত্রীদের সাথে বিভিন্ন সময় অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন। সর্বশেষ তিনি ঋতু বৈরাগী এবং সমাপ্তি বৈরাগী নামে দুই ছাত্রীকে কুপ্রস্তাব দেন। এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে আজ বুধবার সকাল ৮টা থেকে বেলা ১১ টা পর্যন্ত প্রধান শিক্ষকসহ সকল শিক্ষককে অবরুদ্ধ করে রাখে শিক্ষার্থীরা। পরে বেলা ১২টার দিকে পুলিশের একটি দল শিক্ষকদের উদ্ধার করে ও প্রধানশিক্ষককে পুলিশ হেফাজতে নিয়ে যায়।
নবম শ্রেণীর শিক্ষার্থী নন্দিনী শীল, সুজয় বৈরাগী, রুপম মহন্ত অভিযোগ করে বলে, প্রধান শিক্ষক দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন ছাত্রীদের সাথে প্রাইভেট পড়ানোকালীন অসৌজন্যমূলক আচরণ করতেন। কয়েকদিন আগে তিনি সমাপ্তি বৈরাগী ও ঋতু বৈরাগী নামে নবম শ্রেণীর দুই ছাত্রীকে কুপ্রস্তাব দেন। এর প্রেক্ষিতে সকল ছাত্র-ছাত্রী একত্রিত হয়ে মানববন্ধন ও সমাবেশ করে।

এ ব্যাপারে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দীপ্তিস্বর বিশ্বাস জানান, ম্যানেজিং কমিটি গঠন নিয়ে সমস্যা সৃষ্টি হয়েছিল। এর পরিপ্রেক্ষিতে আমার বিরুদ্ধে একটি মহল মিথ্যা অপবাদ দিয়ে আমাকে নাজেহাল করছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুবাইয়া তাছনিম বলেন, প্রধান শিক্ষককে আমরা আইনের আওতায় এনে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করব। এ ঘটনার প্রেক্ষিতে সকাল থেকে স্কুলের সামনে শ’ শ’ অভিভাবক এসে ভিড় করেন এবং প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে নানাবিধ অভিযোগ তুলে ধরেন। বিদ্যালয়ের আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা এবং অভিভাবকরা এসময় প্রধান শিক্ষকের অপসারণ দাবি করেন। আমরা বিষয়টি দেখব।

সর্বশেষ এ রিপোর্ট লেখার সময় (রাত পৌণে ৮ টা) প্রধানশিক্ষক দীপ্তিশ্বর বিশ্বাস পুলিশ হেফাজতে রূপসা থানায় ছিলেন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন