বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

প্রত্যেক মানুষের গায়ে জামা-কাপড় আছে

ডিআরইউতে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১১ আগস্ট, ২০২২, ১২:০০ এএম

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, গ্রাম-গঞ্জের কোন মানুষ না খেয়ে নেই। প্রত্যেকটি মানুষ খেতে পারছে। প্রত্যেক মানুষের গায়ে জামা-কাপড় আছে। গ্রামের প্রায় সব রাস্তাঘাট পাকা হয়ে গেছে। প্রত্যেক গ্রামে প্রাইমারি স্কুল করা হয়েছে, ঘর না থাকলে ঘর করে দেয়া হচ্ছে। করোনা মহাসংকটের পর রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে জ্বালানি এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য বৃদ্ধি সাময়িক উল্লেখ করে এ সংকট মোকাবেলায় দেশের মানুষকে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঐকবদ্ধ্য থাকার আহ্বান জানিয়েছেন।
গতকাল বুধবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে নগর উন্নয়ন সাংবাদিক ফোরাম আয়োজিত ‹নিত্যপণ্য ও জ্বালানী তেলের মূল্য বৃদ্ধি: জনজীবনে চ্যালেঞ্জ› শীর্ষক সংলাপে তিনি এ আহবান জানান। মন্ত্রী বলেন, ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ চলমান। এই যুদ্ধের কারণে সারাবিশ্বেই এখন টালমাটাল অবস্থা। অর্থনীতি, সামাজিক অবস্থা এবং নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যসহ সবকিছু নিয়েই মানুষ আতঙ্কিত। এখন আবার তাইওয়ান-চায়ান উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। সেটির প্রভাব কিন্তু সারাবিশ্বে পড়বে। পৃথিবীতে কি হতে যাচ্ছে ভবিষ্যত বাণী করা কঠিন। ইউরোপী ইউনিয়নসহ বিশ্বের অনেক দেশ প্রয়োজনের বড় অংশ গ্যাসসহ ফুয়েলের ক্ষেত্রে রাশিয়ার উপর নির্ভরশীল। ফুয়েল উৎপাদনে প্রথম হচ্ছে ভেনিজুয়েলা, এরপর সৌদি আরব এবং তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে রাশিয়া। যুদ্ধের কারণে এসব দেশ তেল সরবরাহ করতে না পারায় সারাবিশ্বেই দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। আমাদের দেশেও এর বাহিরে নয়।
মন্ত্রী বলেন দেশের মানুষ কষ্টে থাকুক এটা বঙ্গবন্ধু কন্যা কখনোই চাননা। জাতির পিতা দেশ স্বাধীন করেছেন এদেশের মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন করে হাসি ফোটানোর জন্য। সেই লক্ষ্য পূরণে কাজ করছেন শেখ হাসিনা। তিনি আরও বলেন,
তিনি বলেন, সবক্ষেত্রে ভুর্তকি দেয়া যায় না। ভুর্তকি দিয়ে সমস্যার সমাধান করা সম্ভব নয়। সরকার কাকে ভুর্তকি দিবে? ধনীকে না গরীবকে? সবখানে ভর্তুকি দিলে অন্য খাতগুলো শৃঙ্খলা হারাবে। ভর্তুকি কোথায় দিতে হবে সরকার সেটি অ্যানালাইসিস করে তারপর দেয়। অনেক উন্নয়ন সহযোগী দেশ ও সংস্থা বিভিন্ন প্রকল্পে অর্থায়নের আগ্রহ প্রকাশ করছে। আমাদের দেশের অবস্থা এতো খারাপ হলে তারা তো আমাদের সহযোগিতা করতো না। একটি গ্রুপ বলে বাংলাদেশ নাকি শ্রীলংকা হবে। কেন হবে? শ্রীলঙ্কা কি করেছে আর আমরা কি করছি? ভয়ের কোন কারণ নেই। আমাদের একজন শেখ হাসিনা আছেন।
তিনি বলেন, মানুষের জীবনযাত্রা অব্যাহত রাখার জন্য করোনা মহাসংকটে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সম্মতি নিয়ে স্থানীয় সরকার বিভাগের আওতাধীন প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম চলমান রাখা হয়েছিলো। দেশের মানুষের কথা চিন্তা করে পূর্ব থেকেই করোনার টিকা ক্রয়াদেশ দেয়া হয়েছিল। প্রধানমন্ত্রী জানতেন টিকার ক্রাইসিস দেখা দিবে। বাংলাদেশ পৃথীবির মধ্যে করোনা মোকাবেলায় পঞ্চম স্থান অর্জনে করেছে, এশিয়াতে এক নম্বর অবস্থানে রয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতার যুদ্ধে জাতির পিতার ডাকে সাড়া দিয়ে যুদ্ধে অংশগ্রহণ করে এদেশ স্বাধীন করেছে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমাদের ৯০ শতাংশ মানুষ একাত্ম থাকলেও আমরা যে কোনো সংকট মোকাবেলা করে বিজয় অর্জন করবোই। বর্তমান সংকট বৈশ্বিক তাই সবাইকে ঐকবদ্ধ্য হয়ে কাজ করতে হবে।
নগর উন্নয়ন সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি অমিতোষ পালের সভাপতিত্বে ও সাধারন সম্পাদক সোহেল মামুনের সঞ্চালনায় সংলাপে কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সভাপতি হিসাবে গোলাম রহমান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. রুমানা হক, ঢাবির উন্নয়ন অধ্যয়ন বিভাগের অধ্যাপক রিয়াজুল হক প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন