মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪, ০৫ চৈত্র ১৪৩০, ০৮ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

রাজনীতি থেকে বিএনপি’র বিদায় নেয়ার সময় এসেছে

বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১২ আগস্ট, ২০২২, ১২:০৩ এএম

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, নেতিবাচক রাজনীতি ও নির্বাচন-বিমুখতার জন্য বিএনপি’র রাজনীতি থেকে বিদায় নেয়ার সময় এসেছে। গতকাল বুধবার এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন।

‘আওয়ামী লীগ সরকারের বিদায় নেয়ার সময় এসেছে’ বিএনপি নেতাদের এমন বক্তব্যের জবাবে সেতুমন্ত্রী বলেন, বিএনপির ব্যর্থতা বাংলাদেশকে চরম অনিশ্চয়তা ও দুরবস্থার মুখে ঢেলে দিয়েছিল। তারা সরকার পরিচালনায় যেমন ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে, বিরোধী দল হিসেবেও চরম দায়িত্বহীনতার নজির স্থাপন করেছে। আওয়ামী লীগ সরকারের নয় বরং নেতিবাচক রাজনীতি ও নির্বাচন-বিমুখতার জন্য বিএনপির রাজনীতি থেকে বিদায় নেয়ার সময় এসেছে। তিনি আরো বলেন, বিএনপি নেতৃবৃন্দ যা বলছে, গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় নির্বাচিত একটি সরকারের বিরুদ্ধে এ ধরনের বক্তব্য শুধু সংবিধান পরিপন্থীই নয়, গণতন্ত্রের নীতিবহির্ভূতও বটে। যা গণতন্ত্রের প্রতি হুমকিস্বরূপ। আমরা দ্ব্যর্থহীন ভাষায় বলতে চাই, নির্বাচন ছাড়া ক্ষমতা পরিবর্তনের কোনো সুযোগ নেই।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগের ক্ষমতার উৎস হলো এদেশের জনগণ এবং ক্ষমতা দেয়ার মালিক মহান আল্লাহ। বিএনপির মতো জনবিচ্ছিন্ন রাজনৈতিক দলের মুখের কথায় জনগণ কখনো আস্থা রাখেনি। বিগত ১৪ বছর লাগাতারভাবে বিএনপি নেতারা এ ধরনের কথা এবং আন্দোলনের হাক-ডাক দিয়েই চলেছে। কিন্তু এদেশের জনগণ বিএনপির ডাকে সাড়া দেয়নি। কারণ জনগণ ভুলে যায়নি, বিএনপি ক্ষমতায় থাকাবস্থায় দেশবাসীকে কী ধরনের দুঃশাসন ও অপশাসনের যাঁতাকলে পিষ্ট হতে হয়েছিল।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, প্রতিদিনই বিএনপি এবং তার অঙ্গ সংগঠনসমূহ মিটিং-মিছিল, সভা-সমাবেশ করছে। অথচ তারা অভিযোগ করছে তাদের সভা-সমাবেশ করতে দেয়া হচ্ছে না; রাজনৈতিক অধিকার থেকে নাকি বঞ্চিত করা হচ্ছে। প্রকৃতপক্ষে, নিজেদের ব্যর্থতা ও নানা অপকর্মের দায় সরকারের ওপর চাপানোর অপচেষ্টা করা বিএনপির চিরাচরিত অভ্যাস। তিনি বলেন, মিথ্যার মোড়কে লুকায়িত তাদের (বিএনপি) অগণতান্ত্রিক রাজনীতির স্বরূপ জনগণের কাছে এখন স্পষ্ট। তাদের শাসন আমলেই তো দেশ মগের মুল্লুকে পরিণত হয়েছিল। ধর্মীয় উগ্রবাদ, উগ্র-সাম্প্রদায়িকতা ও জঙ্গিবাদের ভয়াবহ বিস্তার ঘটেছিল।
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, সার ও বিদ্যুতের দাবিতে আন্দোলন করায় কৃষককে গুলি করে হত্যা করা হয়েছিল। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতায় জনগণের নাভিশ্বাস উঠেছিল। সংখ্যালঘু নির্যাতনের ভয়াবহ ও নিকৃষ্টতম নজির স্থাপন করেছিল। আবারো তারা দেশকে সে অরাজকতায় ডুবিয়ে দিতে চায়। কিন্তু জনগণ বর্ণচোরা বিএনপিকে চেনে। সুতরাং সে সুযোগ জনগণ আর তাদের দেবে না।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বাংলাদেশের জনগণ সফল রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার প্রতি আস্থাশীল। কারণ, গত চার দশক শেখ হাসিনার নেতৃত্বেই বাঙালি জাতি সকল সঙ্কট ও চ্যালেঞ্জ জয় করতে সক্ষম হয়েছে এবং এদেশের জনগণের সকল স্বপ্ন বাস্তবায়িত হয়েছে। এ দেশের যা কিছু মহৎ অর্জন এবং সঙ্কট জয়ের সাফল্য তা আওয়ামী লীগের নেতৃত্বেই অর্জিত হয়েছে। তাই বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগকে কেন্দ্র করেই আবর্তিত হয় জনগণের আশা-আকাক্সক্ষা, ভরসা ও বিশ্বাস।
ওবায়দুল কাদের বলেন, দীর্ঘ দুই বছরের অধিক সময় বৈশ্বিক মহামারী করোনাভাইরাসের ভয়াবহ অভিঘাতের মধ্যেই রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক মন্দা, মূল্যস্ফীতির ঊর্ধ্বগতি, জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধিসহ নানা সঙ্কট দেখা দিয়েছে এবং আমাদের জনজীবনেও তার অনাকাঙ্খিত ঢেউ লেগেছে। আমরা বিশ্বাস করি, সকলে ধৈর্য্য ও দায়িত্বশীল আচরণ করলে অতীতের ন্যায় শেখ হাসিনার ভিশনারি ও বলিষ্ঠ নেতৃত্বে বৈশ্বিক এই সঙ্কট মোকাবেলা করতে সক্ষম হবো। জয় আমাদের হবেই।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন