চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ওয়াং ওয়েন পিন গতকাল (বুধবার) বেইজিংয়ে এক নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেন, তার দেশ ও দক্ষিণ কোরিয়া পর্যায়ক্রমে ‘থাড সমস্যা’ সমাধান করছে।
প্রেস ব্রিফিংয়ে জনৈক সাংবাদিকের এক প্রাসঙ্গিক প্রশ্নের জবাবে মুখপাত্র বলেন, যুক্তরাষ্ট্র দক্ষিণ কোরিয়ায় ‘থাড ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা’ মোতায়েন করে চীনের কৌশলগত নিরাপত্তার প্রতি হুমকি সৃষ্টি করেছিল। চীন বিষয়টি সিউলের কাছে তুলে ধরে। এরপর দুই পক্ষ আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে ধীরে ধীরে এই ইস্যুটির সুষ্ঠু সমাধান করছে।
মুখপাত্র বলেন, চীন ও দক্ষিণ কোরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রীদ্বয়ের বৈঠকে থাড ইস্যুতে গভীরভাবে মতবিনিময় হয়েছে; দু’পক্ষই নিজ নিজ অবস্থান ব্যাখ্যা করেছে। এতে পারস্পরিক বোঝাপড়া বেড়েছে। উভয় পক্ষ একে অপরের ন্যায্য উদ্বেগকে গুরুত্ব দিতে, বিচক্ষণতার সাথে এই সমস্যা মোকাবিলা করতে একমত হয়েছে।
চীনের রাষ্ট্রীয় কাউন্সিলার ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই সম্প্রতি শানতুং প্রদেশের ছিংতাও শহরে দক্ষিণ কোরিয়ার সফররত পররাষ্ট্রমন্ত্রী পার্ক জিনের সাথে আলোচনাকালে বলেন, দু’দেশের সম্পর্ক নানান পরীক্ষা ও সংকটের মধ্য দিয়ে গেছে এবং এ সম্পর্ক আরও পরিপক্ক, স্বাধীন ও স্থিতিশীল হওয়া প্রয়োজন।
তিনি বলেন, চীন ও দক্ষিণ কোরিয়ার উচিত দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে বাইরের হস্তক্ষেপ থেকে বাঁচানো, একে অপরের স্বাধীনতাকে বাইরের হস্তক্ষেপ থেকে বাঁচাতে সচেষ্ট থাকা, একে অপরের ভালো প্রতিবেশী ও বন্ধু হওয়া, এবং একে অপরের মূল উদ্বেগগুলোকে আমলে নেওয়া। দু’দেশের সম্পর্কে উন্মুক্ততা ও জয়-জয় পরিস্থিতি বিরাজ করা উচিত। একে অপরের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করা থেকে দু’দেশকে বিরত থাকতে হবে। তা ছাড়া, দু’দেশের উচিত বহুপাক্ষিকতা মেনে চলা এবং জাতিসংঘ সনদের উদ্দেশ্য ও নীতি মেনে চলা।
আলোচনায় পার্ক জিন বলেন, তার দেশ দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার ৩০তম বার্ষিকীকে একে অপরকে সম্মান করার, সমতা ও পারস্পরিক সুবিধা প্রচার করার, পারস্পরিক আস্থা বৃদ্ধির, এবং উন্মুক্ত ও অন্তর্ভুক্তিমূলক সহযোগিতার সুযোগ হিসাবে গ্রহণ করতে ইচ্ছুক। এতে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আরও পরিপক্ক ও স্বাস্থ্যকর হবে। সূত্র: সিআরআই।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন