রাজধানীতে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় সিএনজি চালকসহ দু’জন নিহত ও চার জন আহত হয়েছেন।
নিহতরা হলেন, সিএনজি চালক মো. শহিদুল ইসলাম (৫২) ও অটোরিকশা যাত্রী দিনমজুর মো. মঞ্জু রহমান (৩৫)।
আহতরা হলেন, সিএনজি যাত্রী মালতি রানী (৪৫), তার ছেলে বিশ্বজিৎ (২৫), মোটরসাইকেল চালক নাফিজ ও আরোহী অমিক।
বৃহস্পতিবার রাতে রাজধানীর বনানী আর্মি স্টেডিয়ামের সামনের সড়ক এবং ডেমরা থানার শুকনা টেংরা এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। মোটরসাইকেলের আরোহী অমিককে আটক করেছে ডেমরা থানা পুলিশ।
ডিএমপি'র বনানী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. নূরে আজম মিয়া ও উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. জুবায়দুল জানান, বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ২টার দিকে বনানী আর্মি স্টেডিয়ামের সামনের সড়কে একটি অজ্ঞাত গাড়ি পেছন দিক থেকে সিএনজি চালিত অটোরিকশাকে ধাক্কা দেয়। এতে অটেরিকশাটি উল্টে গিয়ে চালকসহ তিনজন গুরুতর আহত হন। গুরুতর আহত অবস্থায় তাদেরকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় অটোরিকশা চালক মো. শহিদুল ইসলাম মারা যান। নিহত সিএনজি চালকের গ্রামের বাড়ি যশোর জেলায়।
এ ঘটনায় মালতি রানী (৪৫) ও তার ছেলে বিশ্বজিৎ (২৫) আহত হন। এদের মধ্যে মালতি রাণীর অবস্থা আশঙ্কাজনক।
ওসি নূরে আজম মিয়া বলেন, সিসি টিভির ফুটেজ দেখে গাড়িটি শনাক্তের চেষ্টা করা হচ্ছে। এঘটনায় এখন পর্যন্ত কাউকে আটক করা হয়নি। ময়না তদন্তের জন্য নিহতের মরদেহ ঢামেক মর্গে রাখা আছে।
এদিকে, ডেমরা থানা পুলিশ জানায়, বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে ডেমরার শুকনা টেংরা এলাকায় ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার সঙ্গে বিপরীত দিক থেকে আসা মোটরসাইকেলের সংঘর্ষ হয়।
সংঘর্ষের পর অটোরিকশাটি উল্টে পাশের খালে পড়ে যায়। পরে সেখান থেকে মোটরসাইকেল চালক ও অটোযাত্রীকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। রাত পৌনে ১০টার দিকে কর্তব্যরত চিকিৎসক অটোর যাত্রী মঞ্জুকে মৃত ঘোষণা করেন।
মোটরসাইকেল চালক নাফিজ হাসপাতাল থেকে পালিয়ে গেলেও মোটরসাইকেলের আরোহী অমিককে আটক করেছে পুলিশ।
নিহতের স্ত্রী আমেনা জানান, তার স্বামী পেশায় দিনমজুর। ডেমরার শুকনা টেংরা এলাকায় পরিবার নিয়ে থাকতেন মঞ্জু।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন