বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

আরাফাত রহমান কোকোর ৫৩তম জন্মদিনে কবর জিয়ারত ও দোয়া

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৪ আগস্ট, ২০২২, ১২:০০ এএম

বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বিএনপি চেয়ারপারসন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার কনিষ্ঠ পুত্র আরাফাত রহমান কোকোর ৫৩তম জন্মদিন উপলক্ষে গতকাল রাজধানীর বনানীতে কবরে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন বিএনপির নেতাকর্মীরা। ১৯৭০ সালের এইদিনে আরাফাত রহমান কোকো জন্মগ্রহণ করেন।

এ সময় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আরাফাত রহমান কোকো একজন ক্রীড়ামোদি, ক্রীড়া সংগঠক ছিলেন। তিনি রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন না। তিনি অতি অল্প সময়ের মধ্যে দেশের ক্রিকেটের উনড়বয়ন-অগ্রগতির ভিত্তি স্থাপন করেছিলেন। শুধু ক্রিকেট নয়, তিনি ক্রীড়ার সব প্রতিষ্ঠানের উনড়বয়নের জন্য চেষ্টা করেছেন।
রাজনৈতিক পরিবারে জন্ম হলেও আরাফাত রহমান কোকো রাজনীতিক হিসেবে নয়, একজন ব্যবসায়ী হিসেবেই বেশি পরিচিত ছিলেন। ব্যবসা, ক্রীড়া ও সামাজিক-সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডেই নিজেকে সর্বদা নিয়োজিত রেখেছিলেন। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সন্তান হয়েও তার মধ্যে কোনো অহঙ্কার ছিল না। একজন সাধারণ মানুষের মতো তিনি জীবনযাপন করতেন।
মিতবাক, সজ্জন এবং সাদাসিধে জীবনযাপন করতেন কোকো। একজন সাবেক প্রেসিডেন্ট এবং প্রধানমন্ত্রীর ছেলে হয়েও নব্বইর দশকে তিনি বাকিতে মোটরসাইকেলের তেল কিনতেন। অবিশ্বাস্য মনে হতেই পারে। এছাড়া তিনি মাঝেমধ্যেই খেলনা আর চকলেট নিয়ে পথশিশুদের কাছে ‘সারপ্রাইজ’ হিসেবে হাজির হতেন। তাদের সাথে ক্রিকেট খেলতেন। মালয়েশিয়াতে অবস্থানকালেও তিনি খুবই সাদাসিধে জীবনযাপন করতেন। একটি দুই বেডের ভাড়া বাসায় স্ত্রী ও দুই মেয়েকে নিয়ে থাকতেন। নিজেই প্রতিদিন দুই মেয়েকে স্কুলে নিয়ে যেতেন এবং নিয়ে আসতেন। বিনয়ী ও প্রচারবিমুখ কোকোর চরম শত্রুরাও তার ব্যক্তিরা সমালোচনা করেননি।
μিকেটপ্রেমী হিসেবে বাংলাদেশের μিকেটের উনড়বয়নে তিনি ছুটে বেরিয়েছিলেন শহর থেকে গ্রামে। বাংলাদেশ μিকেট বোর্ডের (বিসিবি) উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য হিসেবে ২০০৩ সালে কাজ শুরু করেছিলেন তিনি। সেই সাথে বিসিবির একজন সদস্যও ছিলেন। ডেভেলপমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান হিসেবে ক্রিকেটের উনড়বয়নের জন্য যে কর্মসূচি শুরু করেছিলেন তিনি বর্তমানে তার সুফল পাচ্ছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। জাতীয় পর্যায়ে ক্রিকেট খেলোয়াড় তৈরি করার জন্য μিকেটকে জেলা থেকে শুরু করে উপজেলা-গ্রাম পর্যায়ে ছড়িয়ে দিয়েছিলেন তিনি। তাছাড়া তিনি মোহামেডান ক্লাবের এক্সিকিউটিভ কমিটির কালচারাল সেক্রেটারি ছিলেন। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সাথে যুক্ত হওয়ার পর μিকেটের অনেক উনড়বয়ন করেছেন। ক্রিকেটের উনড়বয়নের জন্য যা যা করার তাই করেছেন। ক্রীড়া সংগঠক ও শিল্পোদ্যোক্তা হিসেবেই পরিচিত ছিলেন। তিনি বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি), মোহামেডান স্পোর্টং ক্লাব ও সিটি ক্লাবের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।
কোকোকে ১/১১-এর সেনাসমর্থিত মইন-ফখরুদ্দীন সরকারের সময় মা বেগম খালেদা জিয়ার সাথে ২০০৭ সালের ৩ সেপ্টেম্বর গ্রেফতার হন। ২০০৮ সালের ১৭ জুলাই জামিনে মুক্তি পেয়ে চিকিৎসার জন্য সপরিবারে থাইল্যান্ডে যান। সেখান থেকে তিনি মালয়েশিয়ায় চলে যান। এরপর থেকে তিনি স্ত্রী ও দু কন্যাসহ মালয়েশিয়াতেই অবস্থান করছিলেন। ২০১৫ সালের ২৪ জানুয়ারি তিনি ইন্তেকাল করেন।
এদিকে, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী, বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার কনিষ্ঠ সন্তান বিশিষ্ট ক্রীড়া সংগঠক মরহুম আরাফাত রহমান কোকো’র ৫৩তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে বিএনপি চেয়ারপার্সনের গুলশানের রাজনৈতিক কার্যালয়ে দোয়া ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হয়।
গতকাল শুক্রবার বিএনপি ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণের উদ্যোগে আয়োজিত দোয়া মাহফিলে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, ড. আব্দুল মঈন খান, বেগম সেলিমা রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল নোমান, ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর, আলতাফ হোসেন চোধুরী, আব্দুল আউয়াল মিন্টু, আমান উল্যাহ আমান, আব্দুস সালাম, ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, খায়রুল কবীর খোকন, শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, জহির উদ্দিন স্বপন, নাজিম উদ্দিন আলম, শ্যামা ওবায়েদ, রিয়াজ উদ্দিন নসু, শিরিন সুলতানা, হেলেন জেরিন খান, নেওয়াজ হালিমা আরলি, হায়দার আলী লেলিন, আমিনুল হক, সুলতান সালাহ উদ্দিন টুকু, মোস্তাফিজুর রহমান, মোনায়েম মুনড়বা, আব্দুল কাদের ভূঁইয়া জুয়েল, শহীদুল ইসলাম বাবুল, আব্দুর রহীম, গোলাম সারওয়ার, সাইফুল ইসলাম ফিরোজ, কাজী রওনাকুল ইসলাম শ্রাবণ, সাইফ মাহমুদ জুয়েলসহ বিভিনড়ব স্তরের বিপুল সংখ্যক নেতা-কর্মী দোয়া ও মিলাদ মাহফিলে অংশ নেয়। দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন ওলামা দলের সদস্য সচিব প্রিন্সিপাল মাওলানা নজরুল ইসলাম। এ উপলক্ষে দিনব্যাপী পবিত্র কোরআন খতম করা হয়।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন