ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলায় একটি হোটেল থেকে খাওয়ার অনুপযোগী (পচা) ৫০ কেজি মহিষের মাংস জব্দ করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
শনিবার (১৩ আগস্ট) ভাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আজিম উদ্দিন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে শুক্রবার (১২ আগস্ট) দিবাগত রাত ১১টার দিকে এ অভিযান পরিচালনা করেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আজিম উদ্দিন।
জানা গেছে, উপজেলার পৌর সদরের হাইওয়ের পাশে অবস্থিত হোটেল চোকদার থেকে ৫০ কেজি মহিষের পচা মাংসসহ জাহিদ হোসেন নামে এক ব্যবসায়ীকে আটক করা হয়।
পরে তাকে ১৪ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
স্থানীয়দের অভিযোগ, পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর থেকে পর্যটকদের ভিড় বাড়তে থাকে এসব এলাকায়।
অল্প দিনের ব্যবধানে একের পর এক হোটেল গড়ে উঠেছে পৌরসভার মহাসড়কের পাশে। পদ্মা সেতু দেখার পর দেশের প্রথম এক্সপ্রেসওয়ে হয়ে ভাঙ্গার গোলচত্বর দেখতে আসেন দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে শত শত ভ্রমণ পিপাসুরা। মানুষের বাড়তি চাপ থাকায় রাতদিন হোটেলগুলো খোলা রাখা হয়। প্রতিদিন গড়ে দুই থেকে তিন লক্ষাধিক টাকার বেচাকেনা হয়ে থাকে এ সব হোটেলে। কিন্তু হোটেলগুলোর মান একেবারেই নিম্নমানের। হোটেলগুলো বাইরে থেকে পরিচ্ছন্ন মনে হলেও আগন্তুকদের তারা কি খাবার পরিবেশন করেন কি পরিমাণ পকেট কাটার পাশাপাশি জীবনকে কিভাবে প্রতিনিয়ত ঝুঁকির মধ্যে ঠেলে দিচ্ছে এ কথা বলার অবকাশ রাখে না। তবে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানকারীদের জব্দ করা মহিষের নষ্ট মাংস এক অনন্য দৃষ্টান্ত।
স্থানীয়রা জানান, নষ্ট হয়ে যাওয়া মহিষের মাংস বিক্রি করার সময় দুর্গন্ধ ছড়ালে জাহিদ হোসেনকে আটক করে উপজেলা প্রশাসনকে খবর দেওয়া হয়। পরবর্তীতে উপজেলা প্রশাসন ওই ব্যক্তিকে ১৪ হাজার টাকা জরিমানা করেন।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আজিম উদ্দিন বলেন, স্থানীয়রা নষ্ট হয়ে যাওয়া মাংসসহ জাহিদ হোসেনকে আটক করে আমাদের খবর দেয়। পরে আমরা ঘটনাস্থলে যাই এবং দেখি এক ব্যক্তি বিক্রির উদ্দেশে নষ্ট হয়ে যাওয়া মাংস নিয়ে এই হোটেলে এসেছেন। পরে তাকে ১৪ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন