পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় জমি জমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষের অমানুষিক নির্যাতনে গর্ভের পাচ মাসের সন্তান (ভ্রুন) হত্যার অভিযোগে ৩ আসামীকে মঙ্গলবার জেল হাজতে প্রেরণ করেছে বিজ্ঞ আদালত। ভূক্তভোগী গুরুতর আহত হালিমা বেগমের (২৭) বোন ফাতিমা বেগম বাদী হয়ে সোমবার মঠবাড়িয়া থানায় প্রতিপক্ষের ৬ জনকে আসামী করে এ মামলাটি দায়ের করেন। হালিমা বেগম উপজেলার মধ্য তুষখালী গ্রামের আঃ ছত্তারের মেয়ে ও একই গ্রামের মনির হোসেনের স্ত্রী।
মঙ্গলবার মামলার ৩ নারী আসামী কহিনুর বেগম, সোনিয়া বেগম ও আকলিমা বেগম মঠবাড়িয়া সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিট্রেট আদালতে স্বেচ্ছায় হাজির হয়ে জামিন আবেদন করেন। কিন্তু বিজ্ঞ আদালত তাদের জামিন না মঞ্জুর করে জেল হাজতে প্রেরন করেন।
মামলা ও স্থানীয় সূত্রে জানাযায়, আহত হালিমা বেগম ও তার বোন ফাতিমা বেগম ওই গ্রামের পৈতৃক বাড়িতে ফরায়েজ জমি ও অন্য মালিকানাধীন জমি কিনে দীর্ঘদিন ধরে বসবাস করে আসছিল। হালিমার স্বামী জীবনের তাগিদে ফেনী শহরে দিনমজুরের কাজ করে। এদিকে প্রতিপক্ষ ওই গ্রামের মৃত আঃ মজিদের পুত্র আঃ রহমান গংরা দুই বোনকে উৎখাত করার জন্য বিভিন্ন সময় পায়তারা চালিয়ে আসছিল। এ ঘটনায় একাধিক মামলাও চলমান রয়েছে। গত ৮ই আগস্ট সোমবার এ জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে পাঁচ মাসের অন্তসত্বা হালিমা বেগমকে ওই রহমান গংরা এলোপাথাড়ি পিটিয়ে ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে। এ সময় তার পেটে একাধিক লাথি মারে। হালিমা বেগমকে বাঁচাতে এসে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে। সংবাদ পেয়ে মঠবাড়িয়া থানা পুলিশ গুরুতর আহত হালিমাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ ভর্তি করেন। বর্তমানে হালিমা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্্ের চিকিৎসাধীন রয়েছে।
মঠবাড়িয়া থানার ওসি মুহা, নুরুল ইসলাম বাদল মামলার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, অন্য আসামিদের গ্রেফতারে পুলিশের চেষ্টা চলছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন