বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

আনারকলি ওএসডি, মামলা

জাকার্তায় বাংলাদেশি কূটনীতিকের মাদক কেলেঙ্কারি

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৭ আগস্ট, ২০২২, ১২:০০ এএম

নিষিদ্ধ মাদক ‘মারিজুয়ানা’ কাণ্ডে জাকার্তা থেকে প্রত্যাহার হওয়া বাংলাদেশি কূটনীতিক কাজী আনারকলির বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পেয়েছে সরকারি তদন্ত কমিটি। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, গত সপ্তাহে পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেনের কাছে রিপোর্ট জমা দেন তদন্ত কমিটির প্রধান মন্ত্রণালয়ের সচিব (পূর্ব) মাশফি বিনতে শামস।

মন্ত্রণালয়ের প্রশাসন অনুবিভাগ সূত্র জানিয়েছে, তদন্ত রিপোর্ট পাওয়ার পর কাজী আনারকলিকে বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) করা হয়েছে। আগেই তার ছুটি বাতিল হয়েছিল। তদন্ত কমিটির সুপারিশ এবং পররাষ্ট্র সচিবের নির্দেশনা মতে মন্ত্রণালয়ের লিগ্যাল উইং তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা দায়ের করেছে।

কূটনীতিক আনারকলি পররাষ্ট্র ক্যাডারের ২০ ব্যাচের কর্মকর্তা। কাজী আনারকলি ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তায় বাংলাদেশের উপ-রাষ্ট্রদূত ছিলেন। ওই দেশটির মাদক নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ তার বাসায় মাদক পাওয়ার পর প্রায় ২৪ ঘণ্টা তাকে ‘ডিটেনশন সেন্টারে’ আটক রাখা হয়েছিল। নাইজেরিয়ান বন্ধু ব্যবসায়ী উইলিয়াম ইরোমেসিলি বেনেডিক্ট ওসিগবেমকে নিয়ে তিনি জাকার্তায় বসবাস করতেন। অভিযোগ উঠেছে নাইজেরিয়ার এক ব্যক্তির সাথে তিনি লিভ টুগেদার করতেন। এরপর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কাজী আনারকলিকে প্রত্যাহার করে ঢাকায় ফিরিয়ে আনে ও প্রাথমিক তদন্ত শুরু করে। ওই তদন্ত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। এদিকে, আনারকলির বাসায় ইন্দোনেশিয়ান মাদক নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের অভিযানের বিস্তারিত ঢাকাকে জানিয়েছে জাকার্তা। ইন্দোনেশিয়ার রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, দক্ষিণ জাকার্তার বিশাল ওই অ্যাপার্টমেন্ট টাওয়ারে আরো অনেকে পরিবার পরিজন নিয়ে বসবাস করলেও সেদিন কেবল বাংলাদেশি কূটনীতিক আনারকলির বাসাতে অপারেশন চালানো হয়। বাংলাদেশের উপ-রাষ্ট্রদূত কাজী আনারকলির কাছ থেকেই মাদক উদ্ধার হয়েছে, তার বয়ফ্রেন্ডের কাছ থেকে নয়। ডোপ টেস্টে তথা আনারকলির ইউরিন টেস্টে এটা নিশ্চিত হওয়া গেছে, তিনি প্রায়শই মারিজুয়ানা সেবন করেন।

আরো জানানো হয়েছে, মাদক নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের অভিযানের ঠিক আগে আগেই তিনি নিষিদ্ধ মাদক মারিজুয়ানা গ্রহণ করেছেন বলে সেই টেস্টে প্রমাণ মিলেছে।

কূটনৈতিক দায়িত্ব থেকে আনারকলিকে ফেরত আনার ঘটনা এবারই প্রথম নয়। এর আগে গৃহকর্মী নিখোঁজের ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যানজেলেস থেকেও তাকে ফেরত আনা হয়েছিল। মার্কিন সরকারের বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যেই তাকে ফিরিয়ে এনেছিলো সরকার।

তথ্য পাচার তথা বাংলাদেশের জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে পররাষ্ট্র ক্যাডারের কোনো কর্মকর্তার বিদেশি বিয়ে বারণ। বিশেষ পরিস্থিতিতে বিয়ে করতে হলে অবশ্যই উপযুক্ত কারণ ব্যাখ্যা করে সরকারের আগাম অনুমতি নিতে হয়। তবে ‘লিভ টুগেদারের’ কোনো অনুমোদন দেওয়া হয় না।

এর আগে গত বুধবার জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে আবারও কঠোর অবস্থানের কথা জানানো হয়।

বৈঠকের আলোচ্যসূচিতে না থাকলেও কাজী আনারকলির বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ নিয়ে আলোচনা করে সংসদীয় কমিটি। বৈঠক শেষে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সভাপতি মুহাম্মদ ফারুক খান সাংবাদিকদের বলেন, ইন্দোনেশিয়া থেকে ফিরিয়ে আনা ওই কূটনীতিকের বিষয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। যে অভিযোগ, তা দেশের ভাবমূর্তির সঙ্গে সম্পৃক্ত।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (1)
salman ১৭ আগস্ট, ২০২২, ১:৪৬ এএম says : 0
Desh er Sunam nosto kai ai NOS*a k ak ta Boro Size e BEGU* dhoreye daw
Total Reply(0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন