কেরালার একটি কোঝিকোড দায়রা আদালত বলেছে, কোনো মহিলা যদি ‘যৌন উত্তেজক পোশাক’ পরে থাকে তবে যৌন হয়রানির অপরাধ প্রাথমিকভাবে আমলযোগ্য হতে পারে না। যৌন হয়রানির মামলায় লেখক ও সামাজিক কর্মী সিভিক চন্দ্রনকে আগাম জামিন দেওয়ার সময় এ আদেশ দেওয়া হয়। এটি ৭৪ বছর বয়সী চন্দ্রনের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় যৌন নির্যাতনের মামলা। চন্দ্রন জামিনের আবেদনের সঙ্গে ওই মহিলার ছবিও জমা দিয়েছিলেন।
দায়রা জজ এস কৃষ্ণন কুমার বলেছেন, ‘অভিযুক্তের জামিন আবেদনের সাথে সংযুক্ত ছবিগুলো দেখায় যে, প্রকৃত অভিযোগকারী নিজেই যেসব পোশাক পরে ছিলেন তা ছিল যৌন উত্তেজক। তাই ৩৫৪এ ধারা প্রাথমিকভাবে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে যাবে না’।
আদালত আরো পর্যবেক্ষণে বলেছে যে, বিশ্বাস করা কঠিন যে, একজন শারীরিকভাবে প্রতিবন্ধী প্রবীণ নাগরিক জোর করে অভিযোগকারীকে তার কোলে বসতে বলতে পারেন।
আদালত বলেছে, ‘এটা বিশ্বাস করা যায় না যে, একজন ৭৪ বছর বয়সী শারীরিকভাবে প্রতিবন্ধী ব্যক্তি জোর করে অভিযোগকারীকে তার কোলে বসিয়েছে এবং শারীরিক সম্পর্কের কথা স্বীকার করার পরেও তার শারীরিক ক্ষতি করেছে। ৩০ বছর বয়সী অভিযোগকারীর যৌন হয়রানি কী তা সম্পর্কে আরো ভাল ধারণা রয়েছে’। অভিযোগ দায়েরে বিলম্ব নিয়েও আদালত সন্দেহ প্রকাশ করেছে।
আদালত বলেছে, ‘ঘটনার ছয় মাস পর অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। অভিযোগকারীকে ব্যাখ্যা করতে হবে, কেন অভিযোগ নথিভুক্ত করতে এত বিলম্ব হয়েছিল’।
২০২ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি তরুণ লেখক অভিযোগকারী কোঝিকোড়ের নন্দী বিচে চন্দ্রান আয়োজিত একটি শিবিরে যোগ দিয়েছিলেন। ঘটনাটি শেষ হলে চন্দ্রন অভিযোগকারীর হাত ধরে জোরপূর্বক নির্জন স্থানে নিয়ে যান। সেখানে তিনি তাকে তার কোলে শুয়ে থাকতে বলেন আর তিনি তার স্তন টিপেছিলেন এবং তার বিনয়ের সুযোগ নেয়ার চেষ্টা করেছিলেন। অভিযোগকারী ভারতীয় দণ্ডবিধির ধারা ৩৫৪এ(২) অধীনে একটি মামলা নথিভুক্ত করেছেন।
চন্দ্রনের পক্ষে উপস্থিত আইনজীবীরা যুক্তি দেন যে, এটি তার মক্কেলের বিরুদ্ধে একটি মিথ্যা এবং বানোয়াট মামলা। তিনি আরো যুক্তি দেন যে, ঘটনার অভিযোগে কেউ অংশ নেয়নি বা ঘটনার এমন কোনো ঘটনা উত্থাপন করেনি। সূত্র : সিয়াসাত ডেইলি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন