বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ১৭ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

আন্তর্জাতিক সংবাদ

ভারতে হিন্দু বর্ণপ্রথার শিকার দলিত শিশু, ‘পানির পাত্র স্পর্শ করায়’ পিটিয়ে হত্যা

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৮ আগস্ট, ২০২২, ১:৪৮ পিএম

ভারতে 'পানির পাত্র স্পর্শ করায়’ কঠোর হিন্দু বর্ণপ্রথার শিকার হলো এক দলিত ছেলে। তাকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। রাজস্থান রাজ্যে নয় বছর বয়সী তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রকে তার উচ্চবর্ণের হিন্দু শিক্ষক লাঞ্ছিত করে পিটিয়ি হত্যা করেছে। শিশু ইন্দ্র মেঘওয়াল রাজস্থান জেলার সুরানা গ্রামের জালোরে সরস্বতী বিদ্যা মন্দিরে তৃতীয় শ্রেণীতে পড়ত। -বিবিসি, দ্য হিন্দু, হিন্দুস্তান টাইমস, দ্য ট্রিবিউন

ভারতের প্রান্তিক দলিত সম্প্রদায়ের নয় বছর বয়সী এক ছাত্রকে পানির পাত্র স্পর্শ করার কথিত অপরাধে তার উচ্চবর্ণের হিন্দু শিক্ষক তাকে পিটিয়ে হত্যা করেছে বলে ভারতীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে। ঘটনাটি ২০ জুলাই রাজস্থান জেলার সুরানা গ্রামের জালোরে সরস্বতী বিদ্যা মন্দির নামে একটি বেসরকারি স্কুলে ঘটে। ছেলেটিকে মারধরের অভিযোগে ৪০ বছর বয়সী শিক্ষক চাইল সিং কে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাকে হত্যার অভিযোগে এবং তফসিলি জাতি ও তফসিলি উপজাতি (অত্যাচার প্রতিরোধ) আইনের ধারায় মামলাতে অভিযুক্ত করা হয়েছে।

পুলিশ জানিয়েছে যে, নয় বছর বয়সী শিশুটিকে মারধর করার কারণ সে একটি পানীয় জলের পাত্র স্পর্শ করেছিল। পুলিশ আরও বলছে, বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। শিশুটির চাচা খিমারাম মেঘওয়াল বলেছেন, "তিনি ছেলেটিকে এত জোরে থাপ্পড় মারে যে, সে নিচে পড়ে যায়।" শিশুটির মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে পুলিশ ছেলেটির মৃত্যুর ঘটনায় অশান্তির আশঙ্কায় এলাকায় ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দেয়।

যাইহোক, দেশটিতে উচ্চবর্ণের হিন্দুরা সাধারণত ন্যায়বিচার থেকে রক্ষা পায়। কারণ, বেঁচে থাকা ব্যক্তিরা তাদের মামলা প্রত্যাহার করার জন্য চাপের কাছে মাথা নত করে। এদিকে শিশুটির পরিবার ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টার অভিযোগ করেছে পুলিশের বিরুদ্ধে। তারা দাবি করেছে যে, আহমেদাবাদের একটি হাসপাতাল থেকে শিশুটির দেহ ফিরিয়ে আনার সময় পুলিশ খিমারামের ফোন এবং শিশুটির মেডিকেল রিপোর্ট কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করেছিল।

খিমারাম আরও দাবি করেছেন যে, চাইল সিং শিশুটির চিকিৎসার জন্য পরিবারকে ০.২৫ মিলিয়ন রুপি দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিলেন। ভারতের ১.৩ বিলিয়ন জনসংখ্যার প্রায় চার-পঞ্চমাংশ হিন্দু, যারা ঐতিহ্যগতভাবে হাজার হাজার বর্ণে বিভক্ত ছিল, যাদের সদস্যপদ জন্ম দ্বারা নির্ধারিত হয়। বিভিন্ন সমরয় দলিতরা ঐতিহাসিকভাবে সহিংসতা ছাড়াও বিচ্ছিন্নতা এবং সামাজিক বয়কট সহ বিভিন্ন ধরনের বৈষম্যের সম্মুখীন হয়েছে।

তাদের শারীরিক বা সামাজিক যোগাযোগ থেকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে এবং কিছু ক্ষেত্রে, এমনকি তাদের ছায়া শ্রেণীবিভাগের উচ্চতর বর্ণের লোকদের স্পর্শ করাও নিষেধাজ্ঞার অন্তর্ভুক্ত। অনমনীয় হিন্দু বর্ণপ্রথা কিছু দলিত জাতিকে এমন পেশায় কাজ বাধ্য করে যেগুলো তথাকথিত উচ্চ বর্ণের দ্বারা অপবিত্র বলে বিবেচিত হয়। যেমন: মানুষের মলমূত্র পরিষ্কার করা এবং মৃত মানুষ ও পশুদের শেষযাত্রার কাজ করা।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (1)
jack ali ১৮ আগস্ট, ২০২২, ১০:১১ পিএম says : 0
O'Allah give us back India to us so that we will rule by Qur'an and then everybody will respect each other and all race will live in peace with human dignity with life security.
Total Reply(0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন