নগরীর খালিশপুর শিশু পার্ক এলাকার একটি বাড়ি থেকে চান্দা বিশ্বাস নামে এক নারীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তার সমস্ত শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। এ মৃত্যুর ঘটনায় ওই এলাকায় রহস্যের সৃষ্টি হয়েছে। এ ঘটনায় নিহতের স্বামী চার্চ বিশ্বাসসহ দুজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, ১০ বছর আগে চান্দার প্রথম স্বামী ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। তিন বছর পর চার্চ বিশ্বাস নামে এক ব্যক্তির সাথে তার বিয়ে হয়। চার্চ ঢাকায় একটি জুস কোম্পানিতে চাকরি করতেন। বিয়ের পর থেকে আর ঢাকায় ফিরে যাননি তিনি। চার্চের সংসারে চান্দার দু’টি সন্তান হয়। বিয়ের পর থেকে তাদের মধ্যে প্রায় কলহ-বিবাদ লেগে থাকত। গত বুধবার রাতে তাদের মধ্যে আবারো ঝগড়া শুরু হয়। পরে তারা ঘুমিয়ে পড়ে। সকালে উঠে প্রতিবেশীরা দেখেন ফ্যানের সাথে চান্দা বিশ্বাসের লাশ ঝুলে রয়েছে।
চান্দার মৃত্যু সম্পর্কে জানতে চাইলে প্রথম সংসারের বড় ছেলে রাব্বি বলেন, চার্চ বিশ্বাস তার মাকে বিয়ে করার পর খুলনাতেই ইজিবাইকের ব্যবসা শুরু করেন। রাতে যখন তার মাকে চার্চ বিশ্বাস মারধর করছিল তখন ছোট ভাই নয়ন সাধারণ ডায়েরি করতে থানায় গেলে মাশিউর রহমান নামে এক অফিসার সেটি গ্রহণ করেন। পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য বললে তাকে থানা থেকে বের করে দেওয়া হয়।
খালিশপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, চান্দার মৃত্যুর খবর জানতে পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে ছুটে যায়। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। এখানে মৃতের কোন সন্তানকে জোর করে বের করে দেওয়ার ঘটনা ঘটেনি। ঘটনাস্থল থেকে মৃতের স্বামী চার্চ বিশ্বাস ও তার ভাই নয়নকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে থানায় নেওয়া হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন