ইসলামিক সলিডারিটি গেমসের পঞ্চম আসরে আগের দিন কম্পাউন্ড নারী দলগত ইভেন্টে সতীর্থ শ্যামলী রায় ও পুষ্পিতা জামানকে সঙ্গে নিয়ে রুপা জিতেছিলেন বাংলাদেশের রোকসানা আক্তার। কিন্তু একক ইভেন্টে ব্যর্থ হয়েছেন তিনি। গতকাল তুরস্কের কোনিয়াতে একক ইভেন্টের ব্রোঞ্জপদক ম্যাচে স্বাগতিক সুজের বেরার কাছে ১৩৬-১৩৩ পয়েন্টে হেরে যান রোকসানা।
এদিন গেমসের আরচ্যারিতে ১২টি পদক নিষ্পত্তি হয়েছে। এর মধ্যে বাংলাদেশ মাত্র একটির লড়াইয়ে ছিল। বাংলাদেশের রোকসানা প্রথম সেটেই পিছিয়ে পড়েন ৩০ স্কোরের মধ্যে ২৪ পয়েন্ট পেয়ে। যেখানে তুরস্কের আরচ্যার করেন ২৭। পরের চার সেটে দু’জনই সমান ২৮, ২৭, ২৫ ও ২৯ করে স্কোর করেন। মূলত প্রথম সেটের তিন পয়েন্ট ব্যবধানই ম্যাচের ফলাফল গড়ে দেয়। ফলে এই গেমসে বাংলাদেশের পদকের সংখ্যা আর বাড়েনি।
ইতোমধ্যে আইএসজি’র আরচ্যারি থেকে বাংলাদেশ একটি রুপা ও দু’টি ব্রোঞ্জসহ তিনটি পদক পেয়েছে। তিনটিই দলগত ইভেন্টে। ব্যক্তিগত ইভেন্টে একমাত্র পদকের লড়াইয়ে ছিলেন রোকসানা। তিনিও ব্যর্থ হলেন। দলগতে সাফল্য এলেও একক ইভেন্টে ব্যর্থ হওয়ায় নাখোশ বাংলাদেশের জার্মান কোচ মার্টিন ফ্রেডরিক, ‘দলগত ইভেন্টে আমরা পদক জিতেছি। কিন্তু ব্যর্থ হয়েছি ব্যক্তিগত ইভেন্টে। এটা খুব দুঃখজনক।’ তবে আরচ্যারির মাধ্যমে পদকের খরা ঘুচতে পেরে উচ্ছ্বসিত বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের (বিওএ) মহাসচিব সৈয়দ শাহেদ রেজা, ‘একটি ডিসিপ্লিন থেকে তিনটি পদক এসেছে। এটা আমাদের তীরন্দাজদের অর্জন। তবে স্বর্ণপদক পেলে মান আরও বাড়তো।’
এদিকে গেমসের কারাতে ডিসিপ্লিনে হতাশ করেছেন বাংলাদেশের কারাতেকারা। আগের দিন পুরুষ অনূর্ধ্ব-৬০ কেজি কুমি ইভেন্টে ইয়েমেনের প্রতিযোগীকে হারিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে উঠেও দ্বিতীয় রাউন্ডে বাদ পড়েন আল-আমিন। আর নারীদের ৫৫ কেজি ওজন শ্রেনীতে আলজেরিয়া ও ইন্দোনেশিয়ার সঙ্গে হেরে যান মারজান আক্তার প্রিয়া। এ দুইজনের পর গতকাল নারীদের -৬১ কেজি ওজন শ্রেনীতে সাউথ এশিয়ান (এসএ) গেমসে সোনা জয়ী হুমায়রা আক্তার অন্তরা ২-১ পয়েন্টে মরক্কোর কাছে হেরে বিদায় নেন। এর মধ্য দিয়ে শেষ হলো বাংলাদেশের ৫ম ইসলামিক সলিডারিটি গেমস মিশন। গেমসের এবারের আসরে লাল-সবুজরা ১১টি ডিসিপ্লিনে অংশ নিলেও কেবল আরচ্যারি থেকে এসেছে একটি রৌপ্য ও দুটি ব্রোঞ্জপদক। এই অর্জনে তেমন উচ্ছ্বসিত হওয়ার কিছু নেই।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন