কনটেইনার হ্যান্ডলিংয়ের হিসেবে চট্টগ্রাম বন্দর বিশ্বের ব্যস্ততম বন্দরের তালিকায় তিন ধাপ এগিয়ে গেছে। আগের বছরে ৯ ধাপ পিছিয়ে যাওয়াকে সামাল দিয়ে ২০২১ সালের কনটেইনার পরিবহনের হিসেবে দেশের প্রধান এ সমুদ্র বন্দরের অবস্থান এখন ৬৪।
করোনা মহামারি পরিস্থিতিতে আমদানি-রফতানি কমে যাওয়া, লকডাউন ঘোষণার কারণে বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশে বাণিজ্যিক কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়া এবং বিশ্বের বিভিন্ন বন্দর বন্ধ থাকার কারণে ২০২০ সালের কনটেইনার হ্যান্ডলিংয়ের হিসেবে চট্টগ্রাম বন্দর আগের বছর থেকে নয় ধাপ পিছিয়ে গিয়েছিল।
২০২১ সালে প্রকাশিত লন্ডনভিত্তিক বন্দর বিষয়ক বিশ্বের সবচেয়ে পুরোনো সংবাদমাধ্যম লয়েডস লিস্টের বৈশ্বিক তালিকায় চট্টগ্রাম বন্দরের অবস্থান নয় ধাপ পিছিয়ে ৬৭ হয়েছিল। তবে বৃহস্পতিবার রাতে লয়েডস লিস্ট এর প্রকাশিত তালিকায় গত একদশক ধরে ক্রমাগত এগিয়ে থাকার তালিকায় থাকা চট্টগ্রাম বন্দর তার অবস্থান কিছুটা হলেও পুনরুদ্ধার করেছে। বিশ্বের বন্দরগুলোর এক বছরের কাজের গতি এবং কনটেইনার হ্যান্ডলিংয়ের হিসেব করে প্রতিবছর বিশ্বের শীর্ষ ১০০টি বন্দরের তালিকা করে লয়েডস লিস্ট। লয়েডস লিস্টে ২০১০ সালে চট্টগ্রাম বন্দরের অবস্থান ছিল ৮৮। এরপর ২০১১ সালে ৮৯তম, ২০১২ সালে ৯০তম, ২০১৩ সালে ৮৬তম, ২০১৪ সালে ৮৭তম, ২০১৫ সালে ৭৬তম, ২০১৬ সালে ৭১তম, ২০১৭ সালে ৭০তম অবস্থানে পৌঁছে চট্টগ্রাম বন্দর।
এরপর ২০১৮ সালে কনটেইনার হ্যান্ডলিং হিসেব করে ২০১৯ সালে প্রকাশিত তালিকায় বন্দরের অবস্থান ছিল ৬৪ তম। ২০১৯ সালের হিসেবে ২০২০ সালে প্রকাশিত তালিকায় চট্টগ্রাম বন্দর আরও ছয় ধাপ এগিয়ে যায়, বন্দরের অবস্থান হয় ৫৮ তম। ১৯৭৭ সালে চট্টগ্রাম বন্দরে কনটেইনার পরিবহন শুরু হয়। কনটেইনারে তৈরি পোশাক, ওষুধ, বিভিন্ন শিল্পপণ্য ও ভোগ্যপণ্য আমদানি করা হয়। আর বাংলাদেশ যেসব পণ্য রফতানি করে তার পুরোটাই কনটেইনারের মাধ্যমে। গেল অর্থ বছরে চট্টগ্রাম বন্দরে সাড়ে ৩২ লাখ টিইইউএস কনটেনাইর হ্যান্ডলিং হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন