বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

রাজধানীতে ভয়াবহ যানজট

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২২ আগস্ট, ২০২২, ১২:০৩ এএম

ভোগান্তির যানজটে দুর্বিষহ জীবনকাটে রাজধানীবাসীর। এই ভয়াবহ যানজট এখন প্রতিদিনের সমস্যায় দাঁড়িয়েছে। নগরীর প্রধান সড়কগুলো থেকে শুরু করে অলিগলির রাস্তায়ও দেখা দেয় তীব্র যানজট।

গতকাল সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবসে যানজটের তীব্রতা ভয়াবহ আকার ধারন করে। একারণে সকাল থেকেই ভোগান্তিতে পড়েন ঢকাবাসী। এছাড়াও যানজটের পাশাপাশি তীব্র গরমে অতিষ্ট হয়ে পড়েছেন নগরবাসী। যানজট ও গরম দুইই যেন বাস যাত্রীদের কাহিল করে ফেলেছে। রাস্তায় যেকোন গণপরিবহনে উঠলেই দেখা গেছে একই স্থানে বসে আছে। দীর্ঘক্ষণ বসে থাকার পর একটু একটু সামনে আগায়। এভাবে চলতে চলতে যাত্রীদের বাসে ২০ মিনিটের পথ যেতে সময় লাগছে ২ থেকে আড়াই ঘণ্টা। অফিসগামী যাত্রী, স্কুল-কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থীসহ সাধারণ মানুষকে হেঁটে গন্তব্যে যেতে দেখা যায়। অসহনীয় গরমে গণপরিবহনগুলোয় দেখা মিলছে মারাত্মক অব্যবস্থাপনা। ধারণ ক্ষমতার দ্বিগুণ, তিনগুণ যাত্রী পরিবহন করছে বাস চালকরা। সড়কের অব্যবস্থাপনায় প্রতিনিয়ত যানজট সৃষ্টি হচ্ছে।

গতকাল রোববার রাজধানীর গুলিস্তান, পল্টন, মতিঝিল, কাকরাইল, মৎস্যভবন, শাহবাগ, বাংলামোটর, কারওয়ান বাজার, বিজয় সরণি, মহাখালী, রামপুরা, বাড্ডা, সায়েদাবাদ, যাত্রাবাড়ি, ও বিমানবন্দর এলাকা ঘুরে দেখা যায়, রাস্তায় ব্যক্তিগত গাড়িসহ গণপরিবহন খুবই ধীরগতিতে চলছে। কোথাও কোথাও এক সিগনালেই আটকে থাকে ৪০ থেকে ৫০ মিনিট পর্যন্ত। এরপর কয়েক মিনিট চলার পর আবারও আটকা পড়ে জটে। একই অবস্থা ছিল ধানমন্ডি, কলাবাগান, সায়েন্সল্যাব, মোহাম্মদপুর ও আসাদগেট এলাকাতেও। এছাড়া ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় হতাহতদের স্মরণে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে নানা কর্মসূচির আয়োজন করেছে আওয়ামী লীগ। এ কারণে আশপাশের সড়কে যানচলাচল কিছুটা সীমিত করা হয়েছে। এতে ওই এলাকা এবং আশপাশের এলাকার সড়কে যানজট তৈরি হয়। অন্যান্য সড়কেও এর প্রভাব পড়ে।

বাস যাত্রী আনিস কবির বলেন, বাসা থেকে বের হয়ে গলির রাস্তা দিয়ে রিকশার জ্যাম ঢেলে বড় রাস্তায় আসি। রিকশা থেকে নেমে দেখি সড়কেও তীব্র যনজট। রাস্তায় বাসের সারি দাঁড়িয়ে আছে। এমন অবস্থায় বাসে উঠার আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছি। তবুও জরুরি প্রয়োজনে গন্তব্যে যেতে হবে তাই বাসে উঠে বসে আছি।

মানিকনগর থেকে বাড্ডা নতুনবাজারের উদ্দেশ্যে বাসে উঠেন তরিকুল। তিনি বলেন, বাসে উঠার পর বাস কমলাপুর হয়ে খিঁলগাও ফ্লাইওভারের উপর দিয়ে মালিবাগ বাজারের আগে থেমে যায়। সামনের যানজটের অবস্থা দেখে রাইদা পরিবহনের চালক বাস বন্ধ করে দিয়ে বসে থাকেন। অনেক যাত্রী যানজট বেমি থাকার কারণে বাস থেকে নেমে চলে যান। কিন্তু দূরের যাত্রীরা বসে থাকেন। একটু একটু করে যানজট ঢেলে রামপুরা গিয়ে আবার যানজটে পড়ে। এভাবেই নতুন বাজার যেতে সকাল ৮ টায় বাসে উঠে সাড়ে ১০ টায় পৌঁছাতে হয়।

বাস চালকরা বলেন, কয়েকটি রুট বন্ধ থাকার কারণে যানজট বেশি। এছাড়াও অফিস খোলার দিন অন্য দিনের চেয়ে একটু বেশিই থাকে যানজট। যানজটে বসে থাকলে যাত্রীদের কষ্টের পাশাপাশি আমাদের কষ্ট হয়।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) ট্রাফিক মতিঝিল বিভাগের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার তারেক আহমেদ বলেন, গ্রেনেড হামলায় হতাহতদের স্মরণে আয়োজিত কর্মসূচির বিষয়টি অবহিত করে যান চলাচল সীমিত করা হবে বলে আগেই জানানো হয়। ভিভিআইপি মুভমেন্টের কারণে সাড়ে ১২টা পর্যন্ত যানচলাচল সীমিত করা হয়েছিল। কোনো কোনো স্থানে নিয়ন্ত্রণও করা হয়। তবে পরে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে।#

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন