রমনার ওসি মো:মনিরুল ইসলামের সম্পদ এবং মুক্তিযোদ্ধার বাড়ি দখলের অভিযোগ অনুসন্ধান ৩ মাসের মধ্যে শেষ করতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
গতকাল রোববার বিচারপতি মো:নজরুল ইসলাম তালুকদার এবং বিচারপতি খিজির হায়াতের ডিভিশন বেঞ্চ এ সময়সীমা বেঁধে দেন।
এর আগে মনিরুল ইসলামের বিরুদ্ধে ওঠা উভয় অভিযোগ অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে-মর্মে জানান দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আইনজীবী খুরশীদ আলম খান।
গত ৮ আগস্ট ঢাকার রমনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মনিরুল ইসলামের ৮ তলা বাড়িসহ বিপুল সম্পদ ও মুক্তিযোদ্ধার বাড়ি দখলের অভিযোগ হাইকোর্টের দৃষ্টিতে আনেন ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন।একটি জাতীয় দৈনিকে এ বিষয়ে প্রকাশিত প্রতিবেদন তুলে ধরে এ বিষয়ে হাইকোর্টের নির্দেশনা চান তিনি।এসময় দুদকের কৌঁসুলি বলেন,বিষয়টির অবশ্যই অনুসন্ধান হওয়া উচিৎ। পরে আদালতের পরামর্শে ব্যারিস্টার সায়েদুল হক সুমন দুর্নীতি দমন কমিশনে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ করেন।
দায়েরকৃত অভিযোগে উল্লেখ করা হয়,গত ৪ আগস্ট ‘ঢাকায় ওসির আটতলা বাড়িসহ বিপুল সম্পদ’ শিরোনামে এক জাতীয় দৈনিকে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়,ঢাকায় ৮তলা বাড়ি করেছেন।বানাচ্ছেন আরেকটি ডুপ্লেক্স বাড়ি। ঢাকার কেরানীগঞ্জ ও মুন্সিগঞ্জে তার রয়েছে চারটি প্লট।বাড়ি,প্লটসহ এই বিপুল সম্পদের মালিক ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) রমনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলাম।রাজধানীর মোহাম্মদপুর হাউজিং সোসাইটিতে এক বীর মুক্তিযোদ্ধার বাড়ি দখলেরও অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। সরকারি একটি সংস্থার তদন্ত প্রতিবেদনের সূত্র ধরে পত্রিকাটির অনুসন্ধানে ওসি মনিরুলের এসব অবৈধ সম্পদের সন্ধান মেলে।তবে পুলিশ সূত্র বলছে,যতটুকু তথ্য পাওয়া গেছে,তার সম্পদের পরিমাণ এর চেয়ে আরও বেশি।
পুলিশের একজন পরিদর্শক হয়ে ওসি মনিরুল কীভাবে এত সম্পদের মালিক হয়েছেন-তা নিয়ে পুলিশ বিভাগেও আলোচনা চলছে।বর্তমানে তিনি নবম গ্রেডে ২২ হাজার টাকা স্কেলে সাকল্যে সর্বোচ্চ ৫০ থেকে ৭০ হাজার টাকা বেতন পান।অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে তিনি এই সম্পদের মালিক হয়েছেন বলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা ধারণা করছেন। ১৯৯২ সালে উপ-পরিদর্শক (এসআই) পদে পুলিশের চাকরিতে যোগ দেন মনিরুল ইসলাম। ২০১২ সালে পদোন্নতি পেয়ে পুলিশ পরিদর্শক হন। ৩০ বছরের চাকরিজীবনে বেশির ভাগ সময় তিনি ঢাকা রেঞ্জে ছিলেন। তার বাড়ি রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলায়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন