গবেষণা সংস্থা রিস্ট্যাড এনার্জির একজন সিনিয়র বিশ্লেষক ফ্যাবিয়ান রনিনজেনের মতে, ইউরোপের জ্বালানি সঙ্কট ‘ভীতিকর’ আকার নিয়েছে এবং সমস্যাগুলো এটিকে আরও খারাপের দিকে নিয়ে যাচ্ছে৷
‘সঙ্কটের স্কেলে এক থেকে দশের মধ্যে আমি সম্ভবত এতে আট দেব,’ রনিনজেন ইনসাইডারকে বলেছেন, ‘আমি মনে করি এ মুহুর্তে সমস্যাটি খুবই গুরুতর।’ রাশিয়ার ইউক্রেনে অভিযানের মাধ্যমে ইউরোপের জ্বালানি সঙ্কট শুরু হয়েছে এবং পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার কারণে সমস্যাটি আরও গভীর হয়েছে। এই শীতে জার্মানি, ফ্রান্স এবং অন্যান্যদের সরবরাহের ঘাটতি নিয়ে উদ্বেগ রয়েছে৷
নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে স্পষ্ট প্রতিশোধ হিসেবে, রাশিয়া নর্ড স্ট্রিম ১ পাইপলাইনের মাধ্যমে ইউরোপে প্রাকৃতিক-গ্যাসের প্রবাহ কমিয়েছে মাত্র ২০ শতাংশ, তারা দামও বাড়িয়েছে। রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন জ্বালানি জায়ান্ট গ্যাজপ্রম বলেছে যে, ইউরোপীয় প্রাকৃতিক-গ্যাসের দাম এই শীতকালে আরও ৬০ শতাংশ বাড়তে পারে কারণ এই অঞ্চলে রপ্তানি আরও কমেছে।
রয়টার্সের মতে, পাইকারি প্রাকৃতিক গ্যাসের দাম, ইউরোপীয় বেঞ্চমার্ক অনুযায়ি ২০২২ সালের বসন্তে প্রতি মেগাওয়াট ঘন্টায় প্রায় ৩৩৫ ইউরো বা ৩৪১ ডলারের রেকর্ড উচ্চতায় পৌঁছেছে। বর্তমানে দাম কমে ২২৫ ইউরো প্রতি মেগাওয়াটে স্থির হয়েছে। তারপরেও এটি ২০২২ এর শুরু থেকে প্রায় ৩০০ শতাংশ বেশি।
নরওয়ে, ফ্রান্স, এবং জার্মানিতে রাশিয়ার জ্বালানি-সম্পর্কিত সমস্যাগুলিকে আরও খারাপ করে তুলছে৷ ‘গত কয়েক সপ্তাহ ধরে, ক্রমবর্ধমান হারে পরিস্থিতি খারাপ হচ্ছে,’ রনিনজেন বলেছিলেন। ইউরোপ হল প্রাকৃতিক-গ্যাসের জন্য মস্কোর সবচেয়ে বড় গ্রাহক। ইতিমধ্যে সরবরাহ কমেছে ও দাম বেড়েছে। সরবরাহ বন্ধ করে দিলে রাশিয়া ইউরোপকে গভীর মন্দার দিকে নিয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা রয়েছে। সূত্র: বিজনেস ইনসাউডার।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন