ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় মা, স্ত্রী আর দুই সন্তানকে নিয়ে বসবাস করতেন শাদি খাইল। পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি ছিলেন তিনি। খুব কষ্ট করতেন সবার জন্য দু’মুঠো খাবার জোগাড় করতে। সেদিন সন্তানের জন্য দুধ কিনতে বের হয়েছিলেন তিনি। স্ত্রীকে বলে গিয়েছিলেন সে কথা। কিন্তু আর ঘরে ফেরেননি। ইসরাইলের বিমান হামলা তার প্রাণ কেড়ে নিয়েছে। নিঃস্ব করেছে পুরো পরিবারটিকে। শাদি খাইলের স্ত্রী আসমা বলেন, ‘তিনি বলেছিলেন প্লাস্টিক সংগ্রহ করে বিক্রি করবেন এবং সেই টাকা দিয়ে সন্তানের জন্য ডায়াপার ও দুধ আনবেন। তিনি আর জীবিত ফিরে আসেননি। একটি কফিনে বন্দি হয়ে এসেছিলেন।’ গত ৫ আগস্ট থেকে অবরুদ্ধ গাজায় ইসরাইলের বিমান হামলা শুরু হয়। এতে এক সপ্তাহে ৪৯ হন নিহত হন। প্রায় ২.৩ মিলিয়ন মানুষ সেখানে অবরুদ্ধ হয়ে আছেন। শাদি খাইল একটি ঘোড়ায় তার সংগ্রহ করা ভাঙা লোহালক্কর ও প্লাস্টিক বহন করে বাজারে নিয়ে যেতেন। সেগুলো প্রতিদিন প্রায় তিন ডলারে (মার্কিন) বিক্রি করতেন তিনি। ঘটনার দিন শাদি খাইল ঘোড়া নিয়েই বের হয়েছিলেন। ইসরাইলের রকেট হামলায় তার সাথে ঘোড়াটিও মারা গেছে। আসমা বলেন, ‘তিনি (শাদি) চেয়েছিলেন অন্য সবার মতো আমাকে একটি ভালো বাড়িতে রাখতে। সব সময় কথাটা বলতেন। কিন্তু তার যে নির্দিষ্ট কোনো আয় ছিল না। আরব নিউজ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন