শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সারা বাংলার খবর

বিয়ের বাড়িতে ২০ টাকা বকশিস নিয়ে মারামারি, বর সহ আটক ৫

ডোমার (নীলফামারী) সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২২ আগস্ট, ২০২২, ৯:৪৫ পিএম

নীলফামারীর ডোমারে বিয়ের অনুষ্ঠানে বরের পাশে বসার জায়গায় ২০ টাকা বকশিস দেওয়া-নেওয়াকে কেন্দ্র করে হট্টগোল বাঁধে দুই পক্ষের। বরপক্ষ–কনেপক্ষের হট্টগোল ও মারামারির ঘটনা ঘটেছে। ঘটনায় বর সহ ৫ জন বরযাত্রীকে আটক করে পুলিশ।

রবিবার (২১শে আগস্ট) দিবাগত রাত সাড়ে ১০টায় উপজেলার হরিণচড়া ইউনিয়নের জামাতপাড়া এলাকার আজিজুল ইসলামের মেয়ে লিমা আক্তারকে বিয়ে করতে আসে পার্শ্ববর্তী জলঢাকা উপজেলার ধর্মপাল তহশিলদারপাড়া এলাকার মৃত মজির উদ্দিনের ছেলে রবিউল ইসলাম।

এতে কনে পক্ষ বর সহ পাঁচজনকে আটক করে আজ সোমবার ভোর পাঁচটার দিকে পুলিশে খবর দিলে, পুলিশ তাদের ডোমার থানায় নিয়ে আসে এবং বিকাল ৫টায় তাদের আদালতে পাঠানো হয়।

আটককৃতরা হলেন, জলঢাকা উপজেলার ধর্মপাল তহশিলদার পাড়া এলাকার মৃত মজির উদ্দিনের ছেলে (বর) রবিউল ইসলাম (২৫), বরের চাচা মনছুর আলী (৫৫), মনছুর আলীর দুই ছেলে মঞ্জুরুল ইসলাম (২৩) ও আলীমুল ইসলাম(২০) এবং বরের নিকটাত্মীয় পার্শ্ববর্তী দেবীগঞ্জ উপজেলার সোনাহার নুল্লাপাড়া এলাকার মৃত জহুর আলীর ছেলে আল আমিন (২৮)।

প্রত্যক্ষদর্শী ও এলাকাবাসীর বরাত দিয়ে ১০নং হরিণচড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. রাসেল রানা জানান, রবিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে বরকে মালা পড়িয়ে বরণ করে নেয় কনেপক্ষ। এসময় স্টেজে বরের পাশে বসার জায়গায় বসতে বকশিস দাবী করে কনেপক্ষের লোক। বরপক্ষ ২০টাকা বকশিস দেয়। এতো কম টাকা বকশিস দেওয়ায় কনেপক্ষ নিতে অপারগতা প্রকাশ করে। বরপক্ষের লোকজন বকশিসের পরিমাণ বাড়াতে না চাইলে দুই পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে গণ্ডগোল শুরু হয় এবং মারামারিতে রূপ নেয়। দুই পক্ষকে নিয়ে সমঝোতার চেষ্টা করেও সমাধান করা সম্ভব না হলে, সোমবার ভোর পাঁচটার দিকে পুলিশ এসে বর সহ পাঁচ বরযাত্রীকে থানায় নিয়ে যায়।

কনের বাবা আজিজুল ইসলাম অভিযোগ করে জানান, বরপক্ষের লোকজন বিয়েতে এসে গণ্ডগোল ও মারামারি করেছে। আমাদের বাড়িতে এসে যদি তারা এরকম আচরণ করে। তাহলে তাদের বাড়িতে আমার মেয়ে গেলে, তার সাথে আরও খারাপ ব্যবহার করবে এবং তাকে নির্যাতন করবে বলে আমি মনে করি। বরযাত্রী আসার আগে বরপক্ষ আমার কাছ থেকে এক লক্ষ টাকা নিয়েছে। বিয়ের আয়োজনে আরো এক লক্ষ টাকা খরচ হয়েছে। আমি গরীব মানুষ। আমার জমানো সব টাকাগুলো শেষ। এখন আমার মেয়েকে নিয়ে কি করবো?

ধর্মপাল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবু তাহের জানান, বরপক্ষ সমঝোতা করে বিয়ে সম্পন্ন করার চেষ্টা করেছে। কিন্তু কনের বাবা রাজি হননি।

এবিষয়ে ডোমার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদ উন নবী জানান, বিয়েতে বর ও কনে পক্ষের মধ্যে গণ্ডগোল হলে পাঁচজনকে আটক করা হয়। তাদের সোমবার বিকালে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন