প্রধান কোচ রাসেল ডমিঙ্গোর সঙ্গে আলাপ করছেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। ছবি: বিসিবি
তিন সংস্করণে জাতীয় দলে প্রধান কোচ রাসেল ডমিঙ্গো। সেই জায়গায় কোন বদল হয়নি। তবে প্রধান কোচ হয়েও টি-টোয়েন্টি দলের সঙ্গে আর রাখা হচ্ছে না তাকে। টি-টোয়েন্টিতে তার বদলে অন্য কাউকে প্রধান কোচও করা হয়নি। দল সামলাবেন টেকনিক্যাল পরামর্শক শ্রীধরণ শ্রীরাম। ডমিঙ্গো মনোযোগ দেবেন ওয়ানডে ও টেস্ট নিয়ে। এই আইডিয়া দক্ষিণ আফ্রিকার কোচ মেনে নিচ্ছেন খোলা মনে। তার কাছে বরং লাগছে নতুন বদল।
গতকাল কোচিং প্যানেলের সঙ্গে সভা শেষে বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন জানান, এশিয়া কাপ ও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে দলের সঙ্গে থাকছেন না ডমিঙ্গো। এই সময় তিনি ওয়ানডে ও টেস্ট ক্রিকেটারদের নিয়ে কাজ করবেন। দেখবেন জাতীয় লিগের খেলা। বিসিবি সভাপতির এমন ঘোষণার সময় পাশেই দাঁড়িয়েছিলেন তিনি। পরে গণমাধ্যমের প্রশ্নের জবাবে জানান তার নিজের কাছেও সব দিক থেকে ভালো মনে হয়েছে এই চিন্তা, ‘আমার মনে হয় এটা দারুণ আইডিয়া। এটা আমাকে ওয়ানডে ও টেস্ট নিয়ে ভাবতে সাহায্য করবে। টি-টোয়েন্টিতে আমাদের কিছু ভালো ও কিছু খারাপ ফল আছে। টি-টোয়েন্টিতে সতেজ অ্যাপ্রোচ নিয়ে আসা খারাপ আইডিয়া হবে না। এটা নিয়ে আমি খুব খোলা মনে আছি। এটা আমার দল না, এটা আমার ব্যাপার না। আমি দলের ভালোর জন্যই আছি। এটা আমাকে ৫০ ওভারের বিশ্বকাপ নিয়ে ভাবতে সাহায্য করবে। আমি গত বছর কেবল ৫ সপ্তাহ বাড়িতে ছিলাম। পরিবারও আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ। এভাবে সামলে নেওয়া কঠিন।’
পদবী আগের মতই থাকছে। বেতন-ভাতা ও সুবিধাও যা পাওয়ার কথা সেসবই পাবেন। কিন্তু কাজ কমে যাচ্ছে। পরিবারকে বাড়তি সময় দিতে পারবেন। ভঙ্গুর টি-টোয়েন্টি দলের সঙ্গে ব্যর্থতার সঙ্গী হতে হবে না। ডমিঙ্গোর জন্য ব্যাপারটা বেশ ভালোই। সামনের কয়েক মাস কেবল টি-টোয়েন্টি নিয়েই মেতে থাকবে বাংলাদেশ। এশিয়া কাপের পর নিউজিল্যান্ডে ত্রিদেশীয় সিরিজ। এরপর অস্ট্রেলিয়ায় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। ওয়ানডে টেস্ট আছে সেই ডিসেম্বরে। ডমিঙ্গো জানান পরিকল্পনা গুছিয়ে নিতে সময়ও পাওয়া যাবে বলে স্বস্তিতে তিনি, ‘টেস্ট ও ওয়ানডের আগে কিছুটা সময় পাওয়া যাবে। আমার মনে হয়ে এটা ইতিবাচক অদল-বদল। জেমি (সিডন্স) হয়ত ডেভোলাপমেন্ট ধাপে যুক্ত হবে। কোচিং স্টাফ নিয়েও আলাদা করে ভাবা যাবে। সে (সিডন্স) যখন জাতীয় দলের সঙ্গে থাকবে না তখন কে ব্যাটিং কোচ হবে সেই ধারণাও নিতে হবে আমাকে। আমি মনে করি ৫০ ওভারের বিশ্বকাপে বাংলাদেশের ভালোই সুযোগ আছে। দল ভাল খেলছে, ভালো একটা গ্রুপ আছে।’
বিসিবি সভপতি ক্রিকেটারদের মতো কোচিং স্টাফেরও বিরতির প্রয়োজনীয়তা বলেছেন। সেদিক থেকে বিরতির প্রয়োজনটা নিজেও বুঝেন ডমিঙ্গো, ‘অবশ্যই (বিরতি দরকার)। দক্ষিণ আফ্রিকায় কাটানো সময়গুলো আমাকে শিখিয়েছে যে মানসিকভাবে ফুরফুরে থাকা কতটা জরুরি।’ বিরতির সময়টায় ‘এ’ দলের হয়ে দুবাইতে সফর করবেন ডমিঙ্গো। টি-টোয়েন্টির বাইরে থাকা ক্রিকেটার তামিম ইকবাল, মুমিনুল হক, নাজমুল হোসেন শান্তদের সঙ্গে কাজ করবেন তিনি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন