বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসের (বিসিএস) মাধ্যমে ‘ক্যাডার’ নিয়োগের বিষয়ে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেছেন, নানা ক্যাডারে বিভক্ত আমলাতন্ত্রের কী প্রয়োজন? তবে সার্ভিস থাকবে। যে যার দায়িত্ব পালন করবেন। ডাক্তাররা ডাক্তারের দায়িত্ব পালন করবেন। যারা যে কাজে দক্ষ তিনি সেই কাজ করবেন। জোর করে কারো ওপর কোনো কাজ চাপিয়ে দেওয়া উচিত নয়।
মঙ্গলবার (২৩ আগস্ট) রাজধানীর ফার্মগেটে বাংলাদেশ প্রশিক্ষণ ও উন্নয়ন সমিতির (বিএসটিডি) মিলনায়তনে ‘স্ট্র্যাকচার অব ফাউন্ডেশন ট্রেইনিং কোর্স ইন বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসেস: ইটস ইভ্যালুয়েশন সিন্স ১৯৭৭’ শীর্ষক এক গবেষণা সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, বিসিএস প্রশাসন ও ইকোনমিক ক্যাডার এক হওয়ায় কাজের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। বিশেষ করে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের কাজের অনেক ক্ষতি হয়েছে। এজন্য আমাদের ক্যাডার নিয়ে চিন্তা করা প্রয়োজন।
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, একজন রাজনৈতিক ব্যক্তি হিসেবে, একজন বাঙালি ও কিউরিয়াস ব্যক্তি হিসেবে আমার কিছু অভিব্যক্তি আছে যা আমি সাহস করে বলে ফেলি। আদৌ কি ক্যাডার সিস্টেমের দরকার আছে? বিশ্বের স্বীকৃত উন্নত দেশ আমেরিকা-ইউরোপে কি এই সিস্টেম আছে? উন্নত দেশে ক্যাডার সার্ভিস না থেকে যদি ভালো পারফর্ম করে তাহলে আমরা কেন পারব না? ব্রিটিশরা কি ক্যাডার সার্ভিসে কাজ করে?
তিনি বলেন, আমি নিজেও কিন্তু ক্যাডারের মানুষ। ক্যাডারের অনেক সুযোগ-সুবিধা ভোগ করেছি। আমাদের কৃষক ও শ্রমিকের কি ক্যাডার আছে? কিন্তু তারা অনেক ভালো করছে। আমাদেরও ক্যাডার নিয়ে চিন্তা করার প্রয়োজন। এশিয়ায় প্রপার সেন্সে সিভিলাইজেশন হয় না। পাকিস্তান, ভারত ও বাংলাদেশে ক্যাডার সিস্টেম আছে ভয়ংকরভাবে।
মন্ত্রী আরও বলেন, আমি যখন সার্ভিসে ছিলাম, তখনো গ্রামে কাজ করেছি এখনো করি। ক্যাডারে যখন ছিলাম, তখন ব্যারিয়ার ছিল। এরপরে রাজনীতিতে আসি। রাজনীতির ক্ষেত্রে কিন্তু কোনো ব্যারিয়ার নেই। আমি এখন সহজে মানুষের সঙ্গে মিশতে পারি।
বিএসটিডির প্রেসিডেন্ট এম জানিবুল হকের সভাপতিত্বে সেমিনারে অংশ নেন বিএসটিডির মহাসচিব এম খায়রুল কবীর, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ড. নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ, বিএসটিডির নির্বাহী সদস্য বেগম সালেহা বেগম প্রমুখ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন