শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সারা বাংলার খবর

মহাসড়ক নৈরাজ্যে ও অবরোধের ঘটনায় সীতাকুণ্ডে ২০০ জনের বিরুদ্ধে ৬ মামলা

সীতাকুণ্ড(চট্টগ্রাম)উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২৪ আগস্ট, ২০২২, ৮:৩৭ পিএম

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ফৌজদারহাট লিংক রোডে অবরোধ ও নৈরাজ্য সৃষ্টির অভিযোগে সীতাকুণ্ড মডেল থানায় ২শ’ জনের বিরুদ্ধে পৃথক ৬টি মামলা দায়ের করা হয়েছে । সড়কে যানবাহন ভাঙচুর, ককটেল বিষ্ফোরণ, পুলিশের উপর হামলা ও সরকারি কাজে বাধা, সড়ক অবরোধ করে দুর্ভোগ সৃষ্টি,দানের অভিযোগে এসব মামলা দায়ের করেন থানা পুলিশ । এদিকে বুধবার সকালে জঙ্গল সলিমপুরে যান জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা, জেলা পুলিশ ও সিএমপির সদস্যবৃন্দ। তাদের উপস্থিতিতে ঐ এলাকায় ১৫টি সিসি ক্যামেরা স্থাপন, দুটি নিরাপত্তার চৌকি স্থাপনসহ ইত্যাদি কাজ শুরু হয় সেখানে। তবে এদিন কোনরকম বিশৃঙ্খলা করেনি জঙ্গল সলিমপুরবাসী। থানা সূত্রে জানা যায়(২৩ আগষ্ট)মঙ্গলবার বিদ্যুৎ ও পানির দাবীতে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের বায়েজিদ সংযোগ সড়কে ৬ ঘন্টা অবরোধ করে জঙ্গল সলিমপুরবাসী। এসময় আন্দোলনের সুযোগ দেয় জঙ্গল সলিমপুরের ১নং ওয়ার্ড আলীনগরের বাসিন্দা শামছুল হকের ছেলে জেলে থাকা সন্ত্রাসী ইয়াছিন মিয়ার ভাই মোঃ ফারুক (৪০)। তার নেতৃত্বে কাউছার (২৭), নুর ইসলাম (৫০), মোখলেস (৪৫), আবুল হোসেন (৩৮) আনোয়ার (৪২)সহ আরো ১৪০-১৫০ জন দুস্কৃতিকারী সড়কে অবরোধে যোগ দেয় । তারা আন্দোলনকে সামনে রেখে সেখানে নিজেদের সন্ত্রাসীদের ঢুকিয়ে দিয়ে আন্দোলনকে সহিংস রুপ দিয়ে তা ভিন্নখাতে প্রবাহের চেষ্টা করে । যার ফলে তারা অবরোধের নামে দুর্ভোগ সৃষ্টি করে, নির্বিচারে যানবাহন ভাঙচুর, ককটেল বিষ্ফোরণ, পুলিশের উপর ইটপাটকেল ছোঁড়া ও নাশকতার পরিকল্পনা করে এবং সরকারি কাজে বাধা সৃষ্টিকরে।আর এসব কারণেই ঘটনার দিন(২৩ আগষ্ট ) মঙ্গলবার রাতেই পুলিশের পক্ষ থেকে উপরোক্ত ব্যক্তিরাসহ সুনির্দ্বিষ্ট ৪৫ জন ও অজ্ঞাত আরো ১৪০-১৫০জনের বিরুদ্ধে পৃথক ৬টি মামলা দায়ের করা হয়। এদিকে সীতাকুণ্ড মডেল থানার ওসি মোঃ আবুল কালাম আজাদ ও পরিদর্শক (তদন্ত) সুমন বণিক বলেন, জঙ্গল সলিমপুরবাসী আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ও প্রশাসনের কোন কথায় কর্ণপাত করছিলো না। এক পর্যায়ে প্রশাসনের উপর চড়াও হয় । আর নানান ঘটনায় আমরা থানায় মামলা দায়ের করি। জঙ্গল সলিমপুরের আলীনগরে জেলা প্রশাসনের চলামান অভিযানে ক্ষুব্ধ হয়ে আলীনগরের সন্ত্রাসী ইয়াছিন বাহিনীর প্রধান ইয়াছিনের ভাই ফারুক পানি-বিদ্যুতের দাবীর আন্দোলনের সুযোগে সেখানে নিজেদের সন্ত্রাসী বাহিনীকে ঢুকিয়ে দেয়। অধিকার আধায়ের আন্দোলন না হয়ে প্রতিশোধের আন্দোলনে রুপ নেয় মহাসড়কে। ফারুকের বাহিনী সাধারণ মানুষকে উত্তেজিত করে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করে ব্যাপক জান-মালের ক্ষতি সাধনের পরিকল্পনা করে। এক পর্যায়ে প্রশাসনের উপর চড়াও হয় তারা। যার ফলে প্রশাসন এ্যাকশনে গেলে তারা নাশকতামূলক আচরণ শুরু করে । এসব ঘটনা নিয়ন্ত্রনে আমাদেরকেও ফাঁকাগুলি, লাঠি চার্জ ও টিয়ারগ্যাস নিক্ষেপ করতে হয় পুলিশকে। এদিকে সীতাকুণ্ড সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ আশরাফুল আলম ইনকিলাবকে বলেন,সরকারের উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ আলীনগর ও জঙ্গল সলিমপুরে চলমান রয়েছে। এরই মধ্যে মঙ্গলবার কিছু দুস্কৃতিকারীর প্ররোচনায় সড়ক অবরোধ ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সাথে সংঘর্ষে জড়িয়ে পরে। ২৪ আগষ্ট বুধবার আমরা ও ( জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা), জেলা পুলিশ, চট্টগ্রাম মেট্টো পলিটন পুলিশসহ জঙ্গল সলিমপুরে অবস্থান করেছি। এখানে আমরা ১৫টি সিসি ক্যামেরা স্থাপন ও দুটি নিরাপত্তা চৌকি নির্মাণের কাজ শুরু করা হয়েছে। এছাড়া ভারি যানবাহন চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করতে রোড ব্লোকেজ নির্মাণের কাজ শুরু করেছি। আর বর্তমানে ঐ এলাকাগুলোর প্রতি সরকারের সার্বক্ষনিক নজরদারি প্রয়োজনে সেখানে সিসি ক্যামেরা স্থাপন ও নিরাপত্তা চৌকিগুলো করা হচ্ছে । তিনি আরো বলেন, গুরুত্বপূর্ণ কর্ণফুলি গ্যাস লাইন রয়েছে এই এলাকায়। এসব লাইনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবং পাহাড় কাটার যন্ত্রপানি, স্কেবেটরসহ অন্যান্য ভারি যানবাহন যেন আর যেন জঙ্গল সলিমপুরের ভেতরে প্রবেশ করতে না পারে সেজন্য এসব রোড ব্লোকেজ নির্মাণ করা হচ্ছে । পর্যায়ক্রমে সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী অন্যান্য কাজও চলমান থাকবে ।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন