সরবরাহ ঠিক রাখতে অচল পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো আবার সচল করা এবং পরবর্তী প্রজন্মের রিঅ্যাক্টর তৈরির ঘোষণা দিয়েছেন জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা। ইউক্রেন সংকট ও জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধিতে বিশ্বব্যাপী জনমত এবং সরকারি নীতি কীভাবে বদলে গেছে, সেটাই যেন স্পষ্ট হয়ে উঠেছে জাপানের এই সিদ্ধান্তে। ২০১১ সালে প্রবল ভূমিকম্প ও সুনামির আঘাতে ফুকুশিমা দাইচি বিদ্যুৎকেন্দ্রে ভয়াবহ বিপর্যয়ের পর থেকে জাপানের বেশিরভাগ পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ রাখা হয়। বুধবার ফুমিও কিশিদা সাংবাদিকদের বলেছেন, তিনি টেকসই জ্বালানি ও পারমাণবিক বিদ্যুৎ সরবরাহ সম্পর্কে জনমত অর্জনসহ বছরের শেষ নাগাদ দৃঢ় পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন। তথাকথিত ‘সবুজ রূপান্তর’-এর একটি পরিকল্পনা তৈরির জন্য বুধবার বৈঠক করেছেন জাপানের সরকারি কর্মকর্তারা। তাদের অনেকেই পারমাণবিক বিদ্যুৎকে এই ‘সবুজ রূপান্তরের’ অন্যতম উপাদান হিসেবে দেখছেন। ফুকুশিমা বিপর্যয়ের পর পারমাণবিক বিদ্যুতের তীব্র বিরোধিতা করেছিল জাপানের জনগণ। তবে সাম্প্রতিক জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধি এবং উষ্ণ গ্রীষ্মে বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের তাগিদে তাদের মতও অনেকটা বদলে গেছে। গত মাসে জাপান সরকার বলেছিল, তারা শীতকালে বিদ্যুৎ সংকট এড়াতে আরও পারমাণবিক চুল্লি ফের চালুর পরিকল্পনা করছে। রয়টার্স।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন