সরকারের বিরুদ্ধে বিএনপির আন্দোলন গড়ে তোলার প্রক্রিয়াকে ষড়যন্ত্র হিসেবে দেখছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতারা। এ জন্য ষড়যন্ত্র এখনও অব্যাহত রয়েছে মন্তব্য করে দেশবাসীকে ঐক্যবদ্ধ ও সতর্ক থাকতে আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ নেতারা। শেখ হাসিনার সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করার জন্য কিছু অপশক্তি মাঠে নেমেছে বলেও তারা মন্তব্য করেছেন। গতকাল শুক্রবার জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক উপ-কমিটি আয়োজিত আলোচনা সভায় দলের কেন্দ্রীয় নেতারা এ আহ্বান জানান। বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলির সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানের অনুচর জিয়াউর রহমানকে ঢুকিয়ে দিয়ে, খন্দকার মোশতাকদের ঢুকিয়ে দিয়ে আমাদের স্বাধীনতাকে বিপন্ন করতে চেয়েছিল। ব্যর্থ হয়ে স্বাধীনতাত্তোর বাংলাদেশে তারা ষড়যন্ত্র শুরু করে। সেদিন আমাদের দলের ভেতরে অস্থিরতা ছিল, সেই অস্থিরতা শুভফল বয়ে আনেনি। জেনারেল জিয়াউর রহমানরা বাংলাদেশের স্বাধীনতা মানতে পারেনি। সেসময় মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তির মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করা হয়েছিল। শেখ হাসিনা, আওয়ামী লীগকে ক্ষমতাচ্যুত করার জন্য জনগণের মাঝে বিভ্রান্ত সৃষ্টি করছে। গতকাল একটি হরতাল পালন হয়ে গেল বাংলাদেশে। কেউ টের পেল না। রাস্তায় যানজট। আমাদেরকে খুব সর্তক হতে হবে। ওরা আবার নেমেছে। ওরা বাংলাদেশকে বিশ্বের দরবারে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে দেবে না। সে কারণে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেবরা নেমেছে। তারা পাকিস্তানি প্রেসক্রিপশনে চলছে। এদের বিষয়ে সর্তক থাকতে হবে। জনগণের সঙ্গে সম্পৃক্ত বাড়াতে হবে।
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর সেদিন হালবিহীন নৌকা পরিচালনার আত্মিক ও মানসিক শক্তি কেউ দেখাতে পারেনি। আওয়ামী লীগের কর্মীরা কখনও মাথা নোয়ায় না। কর্মীরাই এসে হাল ধরে এটা তারা বার বার প্রমাণ দিয়েছেন। শেখ হাসিনা দেশে ফেরার পর থেকেই তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হচ্ছে। এই ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, সেদিন কেন আমরা কার্যকর প্রতিরোধ, প্রতিবাদ গড়ে তুলতে পারলাম না; রাজপথে আন্দোলন করতে পারলাম না -সেই ব্যর্থতা নিয়েও আমাদের কথা বলতে হবে। এ ব্যর্থতার দায় আমাদের নিতে হবে। ষড়যন্ত্র থেমে যায়নি, আজ যখন বাংলাদেশ শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এগিয়ে যাচ্ছে, পদ্মা সেতু উদ্বোধন হয়েছে। যাদের মাথা গোঁজার ঠাই নেই, সেই গৃহহীন মানুষদের ঘর দেওয়া হচ্ছে মানুষরে কল্যাণে সরকার কাজ করে যাচ্ছে। সেই মূহুর্তে সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হচ্ছে। তারা আবার মাঠে নেমেছে।
আলোচনা সভায় মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা বলেন, বিজয়ের আনন্দ ক্ষণস্থায়ী, পরাজয়ের গ্লানি চিরস্থায়ী। এই পরাজয়ের গ্লানি মোচন করা, অসা¤প্রদায়িক বাংলাদেশ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধ্বংস করার জন্য ৭১ এর পরাজিত শক্তি জাতির পিতাকে হত্যা করে।
আলোচনা সভায় আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক উপ-কমিটির চেয়ারম্যান ও উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য অধ্যাপক সুলতানা শফির সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য দেন দলের মহিলা বিষয়ক সম্পাদক ও উপ-কমিটির সদস্য সচিব মেহের আফরোজ চুমকি, কেন্দ্রীয় সদস্য মারুফা আক্তার পপি, মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাহমুদা কৃক প্রমুখ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন