নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু এবং জেলখানা হত্যার নেপথ্য নায়কদের খুঁজে বের করার লক্ষ্যে কমিশন গঠনে দেশবাসী উন্মুখ। নেপথ্য নায়কদের মুখোশ উন্মোচন হওয়া জরুরী।
আজ শুক্রবার টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদতবার্ষিকী উপলক্ষ্যে মন্ত্রণালয়ের সচিব, চট্টগ্রাম বন্দরের চেয়ারম্যানসহ দফতর ও সংস্থা প্রধানদের সাথে নিয়ে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে সাংবাদিকদের প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন। পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে তিনি নিরবে দাঁড়িয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর পলাতক খুনিদের দেশে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করা হচ্ছে। বঙ্গবন্ধুর হত্যার বিচার হবেনা- সেটি আইন করে বন্ধ করেছিলেন জিয়াউর রহমান। খুনিদের রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতা ও আশ্রয়-প্রশ্রয় দিয়েছেন জিয়া, এরশাদ ও খালেদা জিয়া। ১৯৯৬ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে ইনডেমনিটি এ্যাক্ট বাতিল করে বঙ্গবন্ধুর খুনিদের বিচার কার্যক্রম শুরু করেন। ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত বিএনপি জামাত জোট সে বিচারের কোন কার্যক্রম গ্রহণ করেনি বরং তারা আমাদের ওপর গ্রেনেড ও বোমা হামলা করেছে।
এসময় অন্যান্যের মধ্যে মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোস্তফা কামাল, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল এম শাহজাহান, মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল মোহাম্মদ মুসা, পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল মোহাম্মদ সোহায়েল, বিআইডব্লিউটিসি’র চেয়ারম্যান আহমদ শামীম আল রাজী, বিআইডব্লিউটিএ’র চেয়ারম্যান কমডোর গোলাম সাদেক, বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কমডোর এস এম মনিরুজ্জামান, নৌপরিবহন অধিদফতরের মহাপরিচালক কমডোর মো. নিজামুল হক, বাংলাদেশ স্থল বন্দর কর্তৃপক্ষের সদস্য (ট্রাফিক) মো. জাহাঙ্গীর কবির উপস্থিত ছিলেন।
পরে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় বঙ্গবন্ধুসহ ১৫ আগস্টের শহীদদের রুহের মাগফিরাত কামনা ও দেশ এবং জাতির অগ্রগতি কামনা করে দোয়া করা হয়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন