লক্ষ্মীপুর-৪ রামগতি-কমলনগর আসনের সংসদ সদস্য ও বিকল্পধারা বাংলাদেশের মহাসচিব মেজর (অবঃ)আব্দুল মান্নান ও তার স্ত্রী উম্মে কুলসুম মান্নান (এমডি) এবং দুই পরিচালকের বিরুদ্ধে চট্টগ্রামে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়। গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির সংবাদ সোসাল মিডিয়ায় প্রচার হলে মেজর মান্নানের নির্বাচনী এলাকা লক্ষ্মীপুর-৪ রামগতি-কমলনগর আসনের প্রায় দুইশতাধিক ফেসবুক আইডি থেকে আলহামদুলিল্লাহ বলে ফলাও করে এই সংবাদটি প্রচার করেন এলাকাবাসী। উপজেলা আওয়ামীলীগ-যুবলীগ সহ এলাকার প্রায় দুই শতাধিক ফেসবুক আইডি থেকে মেজর মান্নানের গ্রেফতারী পরওয়ানার খবর প্রচার করা হয়। এতে তার কঠোর সমালোচনা করে নানান ধরনের পোস্ট করেন তারা।
২০১৮ সালের নির্বাচনে মহাজোটের সমর্থন নিয়ে মেজর আবদুল মান্নান নৌকা মার্কা প্রতিকে নির্বাচন করে লক্ষ্মীপুর-৪ আসন থেকে এমপি হন।
এই বিষয় নিয়ে রামগতি-কমলনগরের প্রায় ১০ জন ফেসবুক আইডির এডমিনের সাথে কথা হয় এই প্রতিবেদকের। তারা জানান জানান,
রামগতি-কমলনগরের প্রধান সমস্যা মেঘনানদীর ভাঙন থেকে দু-উপজেলাকে রক্ষা করা।এই প্রতিশ্রুতি দিয়ে তিনি এ আসন থেকে এমপি হন। প্রায় ৪ বছর অতিবাহিত হলেও নদী বাঁধ নির্মাণ প্রকল্পটি এখন প্রায় অনিশ্চিত হয়ে পড়ায় রামগতি-কমলনগরের সাড়ে সাত লাখ মানুষ মেজর (অবঃ)আবদুল মান্নানের উপর ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেন। তার আমলে নদীর তীর রক্ষা বাঁধ নির্মাণ হওয়ার সম্ভাবনা নেই। এবং এলাকায় তেমন উন্নয়ন না করার অভিযোগে এলাকাবাসী তার বিরুদ্ধে একাধিকবার প্রতিবাদ সভা ও মানববন্ধনও পালন করে আসছেন। মেজর মান্নান এমপির এই ৪ বছরে এলাকায় এসে নদী বাঁধ ইস্যুতে একেক সময় একেক কথা বলে বার বার সমালোচিত হন। আগামী নির্বাচনে মেজর মান্নান যাতে এ আসন থেকে মনোনয়ন না পায় সেজন্য তারা দলের হাইকমান্ডের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
জানাজায়,ঢাকা ব্যাংক চট্টগ্রামের জুবলি রোড শাখা কর্তৃক দায়েরকৃত মোট ২৪ (চব্বিশ) কোটি টাকা চেক ডিজঅনারের তিনটি মামলায়
(গত বৃহস্পতিবার ২৫ আগষ্ট) আসামিরা কেউ আদালতে উপস্থিত না থাকায় প্রথম মেট্রোপপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত জুয়েল দেব তাদের বিরুদ্ধে এই গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।
এ বিষয়ে মেজর (অবঃ) আবদুল মান্নানের ০১৮৪১৪৫৫০০০ মুঠোফোনে একাধিকবার চেষ্টা করেও তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন