বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

ব্রেন টিউমার বাইপাস সার্জারির মতো জটিল রোগের অপারেশন দেশেই হচ্ছে : কুমিল্লায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী

কুমিল্লা থেকে স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১ সেপ্টেম্বর, ২০২২, ৪:২৫ পিএম

দেশের চিকিৎসাসেবা প্রতিষ্ঠানগুলোর অবকাঠামোগত বেশ উন্নয়ন হয়েছে মন্তব্য করে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, সরকারি হাসপাতালের পাশাপাশি বেসরকারি হাসপাতালেও সেবার মান বেড়েছে। ব্রেন টিউমার, বাইপাস সার্জারির মতো বড় ও জটিল রোগের অপারেশন দেশেই হচ্ছে। কোনো ওষুধের অভাব নেই। এছাড়াও কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে স্বাস্থ্যসেবা মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছেছে। সেখানে ৩০-৩২ ধরনের ওষুধ পাচ্ছে রোগীরা। বাংলাদেশে এখন দেড় লাখ শয্যা। প্রতিটি বড় হাসপাতালে আইসিইউ আছে। পরিবার পরিকল্পনা গ্রহণের হার যেটা এক সময় দুই ভাগও ছিল না, এটা এখন ৬৫ শতাংশ।

বৃহস্পতিবার দুপুরে কুমিল্লা সিভিল সার্জন কার্যালয়ে ছয় জেলার বিভিন্ন স্বাস্থ্য স্থাপনা ও প্রান্তিক পর্যায়ের স্বাস্থ্যকর্মীদের ল্যাপটপ বিতরণ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন মন্ত্রী।

হাসপাতাল প্রধান ও জনপ্রতিনিধিদের দায়িত্বশীলতার প্রসঙ্গ তুলে ধরে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, সাধারণ মানুষ ঠিকমতো চিকিৎসা পাচ্ছে কি না সেটি নিশ্চিতে হাসপাতালের পরিচালনা পর্ষদের মাসিক সভা নিয়মিত করতে হবে। জনপ্রতিনিধি ও হাসপাতাল প্রধানের অনেক দায়িত্ব। ডাক্তার নার্স ঠিকমতো আসে কি না সেটি দেখতে হবে। টয়লেট ও বেড ঝকঝকে থাকতে হবে। তবেই হাসপাতলে আন্তর্জাতিক মানের সেবার পরিবেশ ঠিক থাকবে। আর এটি ঠিকমতো হচ্ছে কি না সেটি দেখার দায়িত্ব হাসপাতাল পরিচালনা পর্ষদের।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, করোনা মহামারীতে স্বাস্থ্যসেবা কিছুটা ব্যাহত হলেও বর্তমানে স্বাস্থ্যসেবাকে কিভাবে আরও উন্নত করা যায়, সেই চেষ্টা করে যাচ্ছে সরকার। ইউনিয়ন থেকে মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কার্যক্রম মনিটরিংয়ে রাখা হয়েছে। মেশিন, লোকবল ঠিক আছে কি না, মানুষ সেবা পাচ্ছে কি না সেগুলো দেখা হচ্ছে।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আমাদের অবকাঠামো ও যন্ত্রপাতির অভাব নেই, কিন্তু জনবলের অভাব রযেছে। তবে গত ৫০ বছরে যেখানে ১৫ হাজার ডাক্তার নিয়েগ হয়েছে, করোনার দুই বছরে সেটি তিনগুণ বেড়েছে। নার্সও দ্বিগুণ হয়েছে। আমরা কাজ করেছি বলেই স্বাস্থ্যসেবা এগিয়ে গেছে।

করোনার টিকা প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, করোনার টিকার জন্য ৪৫ হাজার কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে। বহু দেশে বিনামূল্যে টিকা দেয়নি। টাকা দিয়ে কিনে নিতে হয়েছে। আমরা সব মানুষকে বিনামূল্যে টিকা দিয়েছি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আছেন বলেই সম্ভব হয়েছে।

এ সময় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ডিজি ডা. আবুল বাসার খুরশিদ আলম, জেলা সিভিল সার্জন মীর মোবারক হোসেনসহ জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন