শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

আন্তর্জাতিক সংবাদ

যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা ৩ বছরে ৪ লবিং ফার্মের ফসল -নাগরিক সংবর্ধনায় আইজিপি

বিশেষ সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২ সেপ্টেম্বর, ২০২২, ৭:৪৩ পিএম

যুক্তরাষ্ট্র যে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে, তার নেপথ্যে তিন বছর ধরে বাংলাদেশিদের একটি চক্রের নিয়োগ দেয়া চারটি লবিং ফার্ম কাজ করেছে। এসব বাংলাদেশি অবয়বে বাঙালি হলেও তারা প্রকৃত বাঙালি না। তারা আর্টিফিসিয়াল বাঙালি। এরা দেশ ও দেশের নাগরিকদের বিরুদ্ধে ঐতিহাসিকভাবেই ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে। গত বৃহস্পতিবার রাতে ‘যুক্তরাষ্ট্র নাগরিক কমিটি’র উদ্যোগে নিউ ইয়র্কের গুলশান ট্যারেসে এক নাগরিক সংবর্ধনায় আইজিপি ড. বেনজীর আহমেদ এসব কথা বলেন।

আওয়ামী লীগের যুক্তরাষ্ট্র ইউনিটের সভাপতি সিদ্দিকুর রহমানসহ দলটির নেতাকর্মী, ব্যবসায়ীসহ বাংলাদেশিরা সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। বাংলাদেশের পুলিশ কর্মকর্তা ও র‌্যাব কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের দেয়া নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের দাবিতে তারা স্লোগান দেন। গতকাল পুলিশ সদর দফতরের এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
আইজিপি বলেন, আজকে আমি যুক্তরাষ্ট্রে এসেছি, যুক্তরাষ্ট্রের বুকে দাঁড়িয়ে আছি। আমি এই দেশে অনেকবার এসেছি, এখানে লেখাপড়া করেছি, চাকরি করেছি। সেই যুক্তরাষ্ট্র আমাকে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। আমাকে তাদের নিষেধাজ্ঞা মোকাবিলা করতে হচ্ছে। আমি পশ্চিমা ভাবধারা ও মূল্যবোধে বিশ্বাসী একজন মানুষ। সেই মূল্যবোধটি হচ্ছে গণতন্ত্রের মূল্যবোধ। মানবিকতা ও মানবাধিকারের মূল্যবোধ। আমি তাদের স্বাধীনতায়ও বিশ্বাসী। আমি মানবিকতা ও মানবাধিকারে বিশ্বাস করি, কিন্তু আমার বিরুদ্ধেই এটা হলো।
বেনজীর আহমেদ বলেন, আমার বিরুদ্ধে অভিযোগটা কি জানেন? সেটা একটি মজার বিষয়। তারা বলছে, ২০০৯ সাল থেকে নাকি দেশে ৬০০ লোক গুম হয়েছে। র‌্যাব নাকি গুম করেছে। আমি ২০০৯ সালে র‌্যাবে ছিলাম না, আমি র‌্যাবে ২০১৫ সালে ছিলাম। যদি আমাকে ৬০০ লোকের জন্য নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়, তাহলে ওই সময় যারা ছিলেন, তাদের কী হবে? বিষয়টা কী এরকম বেটা তুই করোনি, তোর দাদা করেছে, এই জন্য তুই দায়ী?
আইজিপি বলেন, আমি এজন্য আমেরিকান সরকারকে দায়ী করবো না। কারণ হচ্ছে, এটা ষড়যন্ত্রকারীদের তিন বছরের ফসল। চারটি লবিং ফার্মকে নিয়োগ করা হয়েছে। প্রতিটি ফার্মকে ২৫ মিলিয়ন (ডলার) করে দেয়া হয়েছে। এটা একশ’ মিলিয়নের প্রজেক্ট। এই নিষেধাজ্ঞা হলো তার ফলাফল। এর সঙ্গে সত্যের কোনও সম্পর্ক নেই। আমি আমেরিকার সরকারকেও কোনও দোষ দেবো না, দায়ী করবো না। আমেরিকান নাগরিকরা তো লবিং ফার্ম নিয়োগ করেনি। কারা এই লবিং ফার্ম নিয়োগ করেছে, তা ওয়েবসাইটে লেখা রয়েছে। তারা কারা? তারা তো আমেরিকান লোক না, এখানে তারা বসবাসও করে না। তাই আমেরিকানদের বিরুদ্ধে আমার কোনও অভিযোগ নেই। বরং, আমি যেটা মনে করি, আমাদের সঙ্গে আমেরিকানদের একটা শক্তিশালী সম্পর্ক রয়েছে। তাদের নাগরিকদের সঙ্গে আমাদের নাগরিকদের সম্পর্ক রয়েছে।
তিনি বলেন, যে সময়ের কথা বলা হয়েছে, তখন আমি আমেরিকায় চাকরি করি। তাহলে তখন তারা আমাকে বের করে দিলো না কেন? ৬০০ লোক হারিয়ে গেছে, তারা কোথায়? তাদের নাম কী? তাদের ঠিকানা কী? তাদের কবর কোথায়? মতিঝিলে হেফাজতের প্রোগ্রামে নাকি তিন হাজার লোক মারা গেছে। পরে আমরা তাদের জিজ্ঞাস করলাম যারা মারা গেছে তাদের নাম, ঠিকানা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নাম দেন। তারা দিতে পারলো না। আমাদের দেশের এই অধিকার, স্বাধিকার, প্রাধিকার নামের কিছু এনজিও এগুলো করেছে। এই তথ্য সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে দাঁড়ান। সামনে কিন্তু আরও সমস্যা আসতে পারে।

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (1)
jack ali ২ সেপ্টেম্বর, ২০২২, ১০:৪৩ পিএম says : 0
দোযখ তোমাদের জন্য অপেক্ষা করছে মিথ্যাবাদী, গণহত্যাকারী, গুম কারি, আমাদের সম্পদ লুণ্ঠনকারী
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন