কর্পোরেট রিপোর্ট : তৈরি পোশাক মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ সংস্কারে গতি আনতে ৫০০ কারখানার সঙ্গে শিগগিরই বৈঠকে বসছে। এসব অ্যাকর্ডের তালিকাভুক্ত কারখানা। বৈঠকে কারখানাগুলোর সংস্কারে পিছিয়ে থাকার কারণ জানতে চাওয়া হবে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, কারখানার মালিকদের কাছে বৈঠকে উপস্থিত হওয়ার জন্য চিঠি পাঠানো শুরু হচ্ছে। অ্যাকর্ডের এই প্রতিবেদনের সঙ্গে তাদের কোনো দ্বিমত রয়েছে কিনা, কিংবা সংস্কারে গতি আনতে তাদের কী ধরনের সহায়তা প্রয়োজন হতে পারে সেটিও কারখানা মালিকদের কাছে জানতে চাওয়া হবে। ইউরোপীয় ক্রেতাদের সমন্বয়ে গঠিত কারখানা পরিদর্শন জোট অ্যাকর্ড ১২ শতাধিক কারখানা পরিদর্শন শেষে সংস্কারের জন্য সময়সীমা বেঁধে দিয়েছে। কিন্তু কারখানা সংস্কার ধীরগতিতে এগোচ্ছে। দুই বছর পার হলেও ৫২২টি কারখানা এখনো ৪০ শতাংশ সংস্কার কাজও সম্পন্ন করতে পারেনি। এর মধ্যে ২০০ কারখানা রয়েছে যাদের সংস্কারের অগ্রগতি হতাশাজনক। এসব কারখানা ১০ শতাংশ সংস্কারও করতে পারেনি। ৯৮টি কারখানার সংস্কার অগ্রগতি ২০ শতাংশের নিচে এবং বাকি কারখানাগুলো ২০ শতাংশের উপরে কিন্তু ৪০ শতাংশের নিচে। প্রসঙ্গত, রানা প্লাজা ধসের পর কারখানার নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরীক্ষার লক্ষ্যে দুই শতাধিক ব্র্যান্ডের সমন্বয়ে বাংলাদেশের কারখানা পরিদর্শনের উদ্যোগ নেয় অ্যাকর্ড। এর বাইরে উত্তর আমেরিকার ক্রেতাদের জোট অ্যালায়েন্স এবং আইএলও ও সরকারের সমন্বয়ে গঠিত ত্রিপক্ষীয় জোটের (এনটিপিএ) সমন্বয়ে প্রায় আড়াই হাজারসহ মোট ৩ হাজার ৬০০ কারখানা সংস্কার তদারক করা হচ্ছে। এখন পর্যন্ত পূর্ণাঙ্গ সংস্কার সম্পন্ন হয়েছে ২ থেকে ৩ শতাংশ কারখানা। সম্প্রতি বিজিএমইএর সঙ্গে বৈঠকে এ তালিকা বিজিএমইএর হাতে তুলে দেয় অ্যাকর্ড। বিজিএমইএর একজন নেতা জানান, তালিকায় থাকা ৫২২টি কারখানার মধ্যে ২৯টি বিজিএমইএর সদস্য নয়। বাকি কারখানার সঙ্গে বসবে বিজিএমইএ। এর মধ্যে যাদের অগ্রগতি ১০ শতাংশের নিচে ওইসব কারখানার প্রতিনিধিদের সঙ্গে আগামী ২৪ ফেব্রæয়ারি থেকে বৈঠক শুরু করব। পাঁচ ধাপে এ বৈঠক হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন