তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা একটি বিতর্ক, ন্যায় এবং জ্ঞানভিত্তিক সমাজ গঠন করতে চান। ন্যায়, জ্ঞান এবং যুক্তিভিত্তিক সমাজ গঠন করতে হলে সমাজে বিতর্ক থাকতে হয়। বিতর্ক না থাকলে ন্যায়ভিত্তিক গণতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থা গঠন সহজ হয় না। তিনি গতকাল বাংলাদেশ টেলিভিশন চট্টগ্রাম কেন্দ্র আয়োজিত স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ে প্রথম জাতীয় টেলিভিশন বিতর্ক প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
সারাদেশ থেকে ১০৪টি দল এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে। বাংলাদেশ টেলিভিশনের মহাপরিচালক সোহরাব হোসেনের সভাপতিত্বে চট্টগ্রাম কেন্দ্রের স্টুডিওতে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন একুশে পদকপ্রাপ্ত সাংবাদিক দৈনিক আজাদী সম্পাদক এমএ মালেক, চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাবেক সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন, চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার আশরাফ উদ্দিন, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার কৃষ্ণ পদ রায়। স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিটিভি চট্টগ্রাম কেন্দ্রের জেনারেল ম্যানেজার মাহফুজা আক্তার।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বাংলাদেশ টেলিভিশন অনেকদিন বিতর্ক প্রতিযোগিতার আয়োজন করেনি। প্রধানমন্ত্রী আমাকে এই মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীর দায়িত্ব দেয়ার পর জিজ্ঞেস করলাম কেন বিতর্ক প্রতিযোগিতা বন্ধ করে দেয়া হলো। তখন আমাকে টেলিভিশনের কর্মকর্তারা বললেন, সরকারেরও অনেক সমালোচনা হয়, সেজন্য বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। আমি বললাম, সমালোচনা তো হতে হবে। সরকারেরও সমালোচনা হতে হবে।
তিনি বলেন, সমালোচনাবিহীন সমাজ হতে পারে না। সমাজে সমালোচনা থাকতে হবে, দায়িত্বে যারা থাকবে তাদের সমালোচনা অবশ্যই হবে। দায়িত্বে না থাকলে তো সমালোচনা নাই। বিতর্ক হতে হবে, তাহলেই সমাজ এগিয়ে যাবে। ফাইনাল রাউন্ডের বিষয় ছিল ‘শুদ্ধাচার ও নৈতিকতা গঠনে পরিবারের চেয়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ভূমিকাই বেশি।’ এরকম একটা বিষয়কে পছন্দ করার জন্য আয়োজকদের ধন্যবাদ জানিয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, আসলে নৈতিকতা এবং শুদ্ধাচার সুুষ্ঠু সমাজ ও রাষ্ট্র গঠনের ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বাস্তবিক অর্থে সমগ্র বিশ্বব্যাপী মানুষ প্রচণ্ডভাবে যান্ত্রিক হয়ে যাচ্ছে। যন্ত্রের ব্যবহারের সাথে সাথে মানুষও যন্ত্রের মত জড় পদার্থ হয়ে যাচ্ছে- সেটির সাথে নৈতিকতা এবং মানবিকতাও লোপ পাচ্ছে। এটি সমগ্র বিশব্যাপী একটি সমস্যা। মানবজাতিকে যদি টিকিয়ে রাখতে হয় তাহলে এই সমস্যা থেকে উত্তরণ প্রয়োজন।
অনুষ্ঠান শেষে বিতর্ক প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত পর্বের বিজয়ী দল বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয় ও রানার-আপ দল জাহাঙ্গীনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুুজিব হলের প্রতিযোগীদের হাতে ট্রফি ও সম্মাননার চেক তুলে দেন মন্ত্রী। পরে বিটিভি চট্টগ্রাম কেন্দ্রের কর্মকর্তা-কর্মচারী, শিল্পী ও কলাকুশলীদের সুবিধার্থে পূনসংস্কার শেষে বিটিভি ক্যাফেটেরিয়ার উদ্বোধন করেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন