বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

খেলাধুলা

তারপরও আফসোস নেই মাশরাফির

| প্রকাশের সময় : ৫ ডিসেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

বিশেষ সংবাদদাতা : বিপিএলের ট্রফি মানেই, তাতে মাশরাফির হাত। সেই ঢাকা গøাডিয়ের্সকে প্রথম ট্রফি জিতিয়ে শুরু, দ্বিতীয় আসরেও ট্রফি জয়ী অধিনায়ক যথারীতি মাশরাফি। বিপিএলে নিজের হ্যাটট্রিক ট্রফিতে হাত পড়েছে তার সর্বশেষ আসরে। বিপিএলের প্রথম তিনটি আসরের ট্রফি জয়ী অধিনায়ক মাশরাফিকে এবার ফাইনাল দেখতে হবে দর্শকের কাতারে। গতবার মিডিওকার দলটির অসাধ্য সাধনের নায়ককে এবার ৬ষ্ঠ হয়ে শেষ করতে হয়েছে টুর্নামেন্ট। আর মাত্র ১টি ম্যাচ জিততে পারলেই প্লে অফে থাকতে পারতো তার দল। তবে তা নিয়ে আফসোস নেই মাশরাফির। বরং প্রথম ৫ ম্যাচ হেরে শেষ ৪ ম্যাচ একটানা জয়ে সান্ত¦নার ভাষা খুঁজছেন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স অধিনায়কÑ ‘আমরা পাঁচ-ছয়টা ম্যাচের পর সবার নিচে ছিলাম। ১০ পয়েন্ট নিয়ে ৬-এ থেকে শেষ করতে পেরেছি, টিম হিসেবে আমরা শেষ চারটা ম্যাচে কামব্যাক করেছি। তাতেই খেলোয়াড়দেরও সবার খুব ভালো লাগছে। আফসোস করে কোনো লাভ নেই। পারিনি, তা অবশ্যই হতাশার। যতটুকু পেরেছি, তা অবশ্যই ভালো। এবার ফাইনাল দেখে শান্তি পাবো। কারণ, এবার আমাদেরই সতীর্থ কেউ চ্যাম্পিয়ন হবে।’
আসরে ঢাকাকেই ফেবারিট বলছেন মাশরাফি। ট্রফি জয়ের সম্ভাবনা ঢাকা ডায়নামাইটসের মধ্যে দেখতে পারছেন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স অধিনায়কÑ ‘পারফরমেন্সের দিক থেকে ঢাকা অনেকটা এগিয়ে। ভারসাম্যপূর্ণ টিমের কথা চিন্তা করলে ওরা এগিয়ে থাকবে। বোলিংয়ে ওদের অনেক বিকল্প। ব্যাটিংয়ে এগিয়ে। আট-নয় নম্বর পর্যন্ত ব্যাটসম্যান আছে ওদের। একটা স্টেজে চিটাগং কিছুটা ভালো করছে। চ্যাম্পিয়ন হওয়ার সম্ভাবনা এই দু’টি দলের মধ্যে আছে বেশি। তবে এ ধরনের টুর্নামেন্টে যাদেরকে কেউ গোনায় ধরে না, তারাই সাধারণত: চ্যাম্পিয়ন হয়।’
নিউজিল্যান্ড সফর নিয়ে উদ্বেগের কিছুই দেখছেন না মাশরাফি। বরং বিপিএল খেলে নিউজিল্যান্ড সফরের প্রাক প্রস্তুতি হয়ে গেছে বাংলাদেশ ক্রিকেটারদের। বিপিএল থেকে আত্মবিশ্বাস অর্জন করে নিউজিল্যান্ড সফরে ক্রিকেটাররা মেলে ধরতে পারবেন বলে মনে করছেন মাশরাফিÑ ‘আমার কাছে মনে হয় এখন সেখানকার উইকেটগুলো আর ওইরকম নেই। বরং বাংলাদেশের উইকেটে রান করা এখন অনেক কঠিন। নিউজিল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকার কথা শুনলেই আমরা ভাবি যে সিমিং কন্ডিশন। আসলে ওই রকম কিছুই থাকে না। বরং ওখানকার উইকেটে সাড়ে তিনশ’ থেকে ৪শ’ রানের ইনিংস হচ্ছে। শটস খেলতে ব্যাটসম্যানদের সুবিধা সেখানে অনেক বেশি। ওয়ানডেতে হয়তো পাঁচ-সাত ওভার দুই পাশে দু’টি বল নতুন থাকে। টেস্টে হয়তো একটা আলাদা হবে এটা খুবই স্বাভাবিক। মানসিক প্রস্তুতি ঠিক থাকলে এখান ওখানে রান করতে ব্যাটসম্যানদের জন্য সুবিধা হবে। ওখানে প্রথমত কন্ডিশন ভিন্ন, উইকেট ভিন্ন, তা ঠিক। তবে যারা রান করেছে তারা আত্মবিশ্বাসী থাকতে পারে। বোলিংয়ে এখানে যেমন করেছে ওখানে আরও কঠিন হবে। তাই বোলারদের আরও কাজ করতে হবে। তারপরও যারা উইকেট পেয়েছে, যারা রান পেয়েছে তারা আত্মবিশ্বাস নিয়ে যেতে পারবে।’
বিপিএল সংক্ষিপ্ত স্কোর
ঢাকা ডায়নামাইটস-খুলনা টাইটান্স
ঢাকা ডায়নামাইটস : ২০ ওভারে ১৫৮/৭ (মারুফ ১৬, সাঙ্গাকারা ৫৯, নাসির ১৯, সাকিব ১১, প্রসন্ন ১৪, মোসাদ্দেক ২০, বোপারা ৬, আলাউদ্দিন ১*, তানভীর ২*; মাহমুদউল্লাহ ০/২৭, শুভাগত ০/২১, শফিউল ১/২৯, জুনায়েদ ৩/২২, মোশাররফ ০/৩৫, হাওয়েল ১/১৪)।
খুলনা টাইটান্স : ১৮ ওভারে ১৫৯/৪ (ফ্লেচার ৯, হাসান ৪০, মজিদ ২১, মাহমুদউল্লাহ ৫০, হাওয়েল ২৬*, পুরান ১*; জায়েদ ০/০, আলাউদ্দিন ০/২৯, সাকিব ১/৪০, বিটন ০/৩৫, বোপারা ২/১৭, প্রসন্ন ০/২২, তানভীর ১/১৪)।
ফল : খুলনা টাইটানস ৬ উইকেটে জয়ী।
ম্যাচ সেরা : মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।

কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স-রংপুর রাইডার্স
কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স : ২০ ওভারে ১৭০/৬ (ইমরুল ৫২, লতিফ ৪৩, স্যামুয়েলস ৩০, মাশরাফি ৭, জাইদি ১৭, লিটন ৬, রশিদ ১১*; আনোয়ার ০/৩২, সোহাগ ০/১৭, সানি ২/২৯, রুবেল ২/৩০, ডসন ০/১৯, আফ্রিদি ১/৩০, সৌম্য ০/১১)।
রংপুর রাইডার্স : ২০ ওভারে ১৬২/৮ (শাহজাদ ৪৫, সৌম্য ৫, মিঠুন ২, ডসন ৩, আফ্রিদি ৩৮, নাঈম ১৪, জিয়াউর ৩৮*, আনোয়ার ১, সোহাগ ৭, সানি ৪*; শরিফ ০/৫১, সাইফুদ্দিন ১/৩৪, মাশরাফি ২/২৭, নাবিল ২/৩৫, রশিদ ৩/১৩)।
ফল : কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স ৮ রানে জয়ী।
ম্যান অব দ্য ম্যাচ : রশিদ খান।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (1)
monir islam ৫ ডিসেম্বর, ২০১৬, ১১:০৩ পিএম says : 0
তবে আমার আফসোস আছে কারন, শেষের দিকে যেভাবে খেলছে তা যদি ১টি অথবা ২টি ম্যাচ আগে খেলতে পারতো তাহলে আমারা এবারও কুমিল্লাকে চ্যামপিয়ান দেখতে পেতাম।
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন