কুমিল্লার মেঘনা থানার ওসি ছমির উদ্দিন ও একই থানার এসআই মো. মোশাররফ হোসেনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন এক ভুক্তভোগী নারী। গতকাল রোববার কুমিল্লার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৩ আদালতে মামলাটি দায়ের করেন মেঘনা উপজেলার শিকিরগাও এলাকার প্রবাসী মাহমুদুল হাসানের স্ত্রী। আদালতের বিচারক মোয়াজ্জেম হোসেন মামলাটি আমলে নিয়ে সহকারী পুলিশ সুপার পদ মর্যাদার একজন কর্মকর্তাকে ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দেন।
মামলায় ভুক্তভোগী নারী অভিযোগ করেন, তাদের পারিবারিক ও আত্মীয়-স্বজনের জমি বিরোধের মামলা সংক্রান্ত বিষয়ে বেশ কয়েকবার থানায় আসা যাওয়া করেন। সেই সুবাদে ওসি ছমির ও এসআই মোশাররফ তাকে প্রায়ই ফোন করতো। এক পর্যায়ে ওসি তাকে মেঘনা রিসোর্টে সময় কাটাতে যাওয়ার প্রস্তাব দেয় এবং এসআই প্রায়ই ফোন করে তাকে অশোভন প্রস্তাব দিত। তাদের প্রস্তাব প্রত্যাখান করায় দু’জনেই ভুক্তভোগীর ওপর ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেন।
গত ২৬ আগস্ট এক ঘটনাক্রমে ভুক্তভোগীর বোনের জামাইকে গ্রেফতার করতে যায় ওসি ছমির ও এসআই মোশাররফ। ভুক্তভোগী ওয়ারেন্ট চাওয়াতে এসআই তাকে থানায় নিয়ে আসে। পরে রাত সাড়ে ৯টার দিকে তাকে ওসির রুমে নিয়ে যায়। এসময় ওসি তার সাথে অশোভন আচরণ করেন এবং ভুক্তভোগীর মুখ চেপে ধরে শ্লীলতাহানির চেষ্টা করেন। পরে ভুক্তভোগীর বিরুদ্ধে সরকারি কাজে বাধা দেয়ার অভিযোগের মামলায় তাকে আদালতে প্রেরণ করে।
৮ দিন জেলে থাকার পর ভুক্তভোগী জামিনে এসে মেঘনা থানার ওসি ও এসআইয়ের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন