বরগুনা-২ আসনে বিএনপি'র সাবেক এমপি আলহাজ্ব নুরুল ইসলাম মনিসহ ৪০০ জন নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন কাকচিড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলাউদ্দিন পল্টু। ইতোমধ্যেই পুলিশ পাঁচজনকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছে।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- বরগুনা জেলা ছাত্রদলের সভাপতি ফায়জুল মালেক সজিব, পাথরঘাটা পৌর ছাত্রদলের সদস্য সচিব খায়রুল ইসলাম শরীফ, রায়হানপুর ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক তসলিম হোসেন, ছাত্রদলের কর্মী হাসিব ও শাওন। বরগুনার পুলিশ সুপার মো. আবদুল ছালাম সোমবার দুপুরে মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
বরগুনা-২ আসনের বিএনপি সমর্থিত সাবেক জাতীয় সংসদ সদস্য আলহাজ্ব নুরুল ইসলাম মনি রোববার বিকেলে মোটরসাইকেল বহর নিয়ে পাথরঘাটায় পৌঁছলে নাচনাপাড়া ইউনিয়নের সিএন্ডবি এলাকায় নুরুল ইসলাম মনির সাথে থাকা লোকজনকে সংরক্ষিত নারী সংসদ সদস্য সুলতানা নাদিরার নির্দেশে প্রতিরোধ করলে ছাত্রলীগ-যুবলীগ কর্মীদের ওপর হামলা চালানোর অভিযোগ ওঠে। কাকচিড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান আলাউদ্দিন পল্টুর সাথে থাকা লোকজনও এ সময় পাল্টা হামলা চালায়। হামলায় নুরুল ইসলাম মনিসহ শতাধিক নেতাকর্মী আহত হন। এ সময় অগ্নিসংযোগসহ অর্ধশতাধিক মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়।
দীর্ঘ ১৬ বছর পর নিজ এলাকায় এসেছিলেন বরগুনা জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও বরগুনা-২ আসনের সাবেক তিনবারের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব নুরুল ইসলাম মনি। জ্বালানি তেলসহ নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে বিক্ষোভ ও সমাবেশ করার কথা ছিল।
পাথরঘাটা উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক চৌধুরী মোহাম্মদ ফারুক জানান, আমরা কেন্দ্র ঘোষিত তেল গ্যাস ও নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে সোমবার শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করতে চেয়েছিলাম। পাথরঘাটা থানায় লিখিত অনুমতি চেয়েছিলাম। অনুমতি পাওয়ার আগেই গতকাল নুরুল ইসলাম মনির ওপরে হামলা হয়েছে। নুরুল ইসলাম মনি গতকালই বরিশালে চিকিৎসা শেষে ঢাকায় চলে গিয়েছেন।
বরগুনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এসএম তারেক রহমান জানিয়েছেন, এখন পর্যন্ত ৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকি আসামিদেরও গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন