বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

খালি হাতে মাঠে আসেন, যুদ্ধ হবে ইনশায়াল্লাহ : মির্জা আব্বাস

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৫ সেপ্টেম্বর, ২০২২, ৮:০৭ পিএম

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, ভয় পাবেন না, যারা গুলি করছে তারা অবৈধ সরকারের অধীনে চাকরি করছে। এ সরকার বৈধ সরকার নয়। তাই তাদের ভেতরে ভয় আছে- যদি এই সরকার চলে যায়, তাহলে তাদের অবৈধ চাকরিও থাকবে না। তাই সবাইকে সাবধান করে দিতে চাই।

তিনি বলেন, আমাদের কর্মী ভাইদেরকে বলব- ধৈর্য সহকারে পরিস্থিতি মোকাবিলা করবেন। আওয়ামী লীগের পেটোয়া বাহিনীকে বলব- দয়া করে দা-কুড়াল বন্ধ রাখেন। আপনারা খালি হাতে মাঠে আসেন, যুদ্ধ হবে ইনশাআল্লাহ। সোমবার (৫ সেপ্টেম্বর) বিকেলে কিশোরগঞ্জ শহরে জেলা বিএনপির কর্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।

মির্জা আব্বাস আরও বলেন, শনিবারের ঘটনায় বিদেশে থাকে এমন লোকজনের নামেও মামলা হয়েছে। এই সরকার যাকে পাচ্ছে তাকেই মামলা দিচ্ছে। তাদের ভাবটা এ রকম যদি মামলা দিয়ে জেলে ভরে দেওয়া যায়, তাহলে আগামী দিনে আমাদের ভোট দেওয়ার লোক থাকবে না। কথাটা স্পষ্ট, বাংলাদেশের প্রতিটি জনগণ আজ আওয়ামী বিরোধী। নিরপেক্ষ নির্বাচন যখন হবে, তখন সকলেই আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে ভোট দেবে। আমাদের কর্মীদের আটকে রেখে কোনো লাভ হবে না।

তিনি বলেন, কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ায় বিএনপির নেতাকর্মীদের ওপর পুলিশ হাজার হাজার গুলি করেছে। মামলার ভয়ে পাকুন্দিয়া এখন জনশূন্য, তবে কিছু কসাইরা সেখানে বসবাস করছে। সেখানে এখন শিশুরা থাকতে পারছে না মামলার ভয়ে। ওই দিন পাকুন্দিয়া ছাত্রদলের কর্মী শ্রাবণের ওপরে এত গুলি করা হয়েছে যে তার শরীরের সামনের অংশের এক ইঞ্চি জায়গাও বাকি নেই, যেখানে গুলি লাগেনি।

তিনি বলেন, আমি ভাবতে পারছি না এ রকম একটি শিশু বাচ্চার ওপরে কীভাবে এত গুলি করে। তার লিভারে গুলি লেগেছে। কিডনিতে গুলি লেগেছে। রানে গুলি লেগেছে। তার মা হাসপাতালে সামনে অসহায় আবস্থায় ঘোরাঘুরি করছে, ডিবি পুলিশ গিয়ে তার মাকে থ্রেট করছে। গুলি করে আন্দোলন থামানো যাবে না। এখনোতো আন্দোলন শুরুই হয়নি। এখনই যদি গুলি শেষ হয়ে যায়, তাহলে সামনের আন্দোলন সামলাবেন কেমনে?

গত শনিবার (৩ সেপ্টেম্বর) কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ায় পুলিশ ও আওয়ামী লীগের সঙ্গে বিএনপির সংঘর্ষের ঘটনায় আহত নেতা-কর্মীদের খোঁজ নিতে কিশোরগঞ্জে আসেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। এ সময় ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আবদুস সালামসহ জেলা বিএনপির নেতাকর্মীরা তার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন। ওই ঘটনায় ১৩৯ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত দেড় হাজার জনকে আসামি করে মামলা করা হয়েছে। মামলায় ইতোমধ্যে ২৩ জনকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন