খোলাবাজারে ডলারের সঙ্কট। গ্রাহকের চাহিদা অনুযায়ী নগদ ডলার দিতে পারছে না মানি এক্সচেঞ্জগুলো। তাই ব্যাংকগুলোর মতো এক্সচেঞ্জ প্রতিষ্ঠানও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রিজার্ভ থেকে ডলার সহায়তা চায়। তবে একই সময়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভের পরিমাণও কমছে। তাই এ মুহূর্তে মানি এক্সচেঞ্জগুলোকে রিজার্ভ থেকে সরাসরি কোনো সহায়তা দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। গতকাল সোমবার গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক (মুখপাত্র) সিরাজুল ইসলাম। বাংলাদেশ ব্যাংকের এই ঘোষণার দিনে গতকাল খোলাবাজারে ১১২ টাকা থেকে ১১৩ টাকার মধ্যে বিক্রি হয়েছে মার্কিন ডলার। গত রোববারও যা সর্বোচ্চ বিক্রি হয়েছে ১১২ টাকা পয়সায়। মাঝে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কঠোর অবস্থানের কারণে অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে ছিল বাজারটি। তবে গত দুই সপ্তাহে ফের দরবৃদ্ধির দিকেই যাচ্ছে বিদেশি মুদ্রাটি।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র বলেন, বৈদেশিক মুদ্রার বাজার স্থিতিশীল রাখতে আমরা ডলার সহায়তা দিয়ে যাচ্ছি, ভবিষ্যতে এই ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকবে। তবে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পক্ষ থেকে সরকারি পেমেন্ট বা বিভিন্ন প্রকল্পের আমদানি দায় মেটানোর জন্যই এই সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। ডলার সঙ্কট মোকাবিলায় এই মুহূর্তে মানি এক্সচেঞ্জগুলোকে ডলার সহায়তার কথা ভাবছে না বাংলাদেশ ব্যাংক।
মুখপাত্র আরও বলেন, মুদ্রাবাজার স্বাভাবিক রাখতে ৩০ জুন শেষ হওয়া ২০২১-২২ অর্থবছরে রিজার্ভ থেকে ৭৬২ কোটি (৭ দশমিক ৬২ বিলিয়ন) ডলার বিক্রি করেছিল কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
তথ্যমতে, গত বৃহস্পতিবারও কয়েকটি ব্যাংকের কাছে ৭ কোটি ৬০ লাখ ডলার বিক্রি করা হয়েছে। সব মিলিয়ে চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরের দুই মাস ১ দিনে রিজার্ভ থেকে ২৫৬ কোটি ৯০ লাখ ডলার বিক্রি করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
এদিকে, ডলার বিক্রির চাপে গত রোববার দিন শেষে বাংলাদেশের রিজার্ভ ৩৮ দশমিক ৯১ বিলিয়ন ডলারে নেমে এসেছে। গত ১২ জুলাই এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) প্রায় ২ বিলিয়ন ডলার আমদানি বিল পরিশোধের পর রিজার্ভ ৪০ বিলিয়ন ডলারের নিচে নেমে আসে। এরপর ২০ জুলাই পর্যন্ত রিজার্ভ ৩৯ দশমিক ৮০ থেকে ৪০ বিলিয়ন ডলারের মধ্যে ওঠানামা করে। জুলাইয়ের শেষে তা কমে ৩৯ দশমিক ৫০ বিলিয়ন ডলারের নিচে নেমে আসে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন