শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

জিম্মি করে অর্থ আদায় করতেন ৩ পুলিশ সদস্য

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৬ সেপ্টেম্বর, ২০২২, ১২:০০ এএম

সাময়িক বরখাস্ত হওয়া তিন পুলিশ সদস্য হাসান আল বান্না, নাসিদুল ইসলাম ও বেলাল হোসেন। সাধারণ মানুষকে গাড়িতে তুলে জিম্মি করে অর্থ আদায় ও ডাকাতির অভিযোগে এক বছর আগে তাঁরা সাময়িক বরখাস্ত হন। এসব অভিযোগে তাঁদের বিরুদ্ধে ঢাকার শাহজাহানপুর ও যাত্রাবাড়ী থানায় মামলাও রয়েছে। এই অবস্থায়ও তারা এবার একটি বাসায় ঢুকে গৃহকর্তাকে মাদকসেবী বলে এক লাখ টাকা চাঁদা আদায়ের চেষ্টা করে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তারা গ্রেপ্তার হয় ঢাকার মুগদা থানার পুলিশের কাছে। গ্রেপ্তারকৃতরা ডিএমপির রিজার্ভ ও কল্যাণ ফোর্সে কনস্টেবল হিসেবে কর্মরত, থাকতেন রাজারবাগ পুলিশ লাইনসের রিজার্ভ ও কল্যাণ ফোর্সের ব্যারাকে।
পুলিশ জানায়, গত শনিবার রাতে ৯৯৯-এ ফোন পেয়ে মুগদার উত্তর মানিকনগরের একটি বাসা থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। পরদিন রোববার তিনজনকে আসামি করে মুগদা থানায় মামলা করেন গৃহকর্ত্রী ইতি আক্তার সাফিয়া। ওই দিনই গ্রেপ্তার তিনজনকে আদালতে হাজির করা হয়। তারা এখন কারাগারে।
ইতি আক্তারের ভাষ্য, গত শনিবার রাত সোয়া আটটায় সাদা পোশাকে তিন পুলিশ সদস্য বাসার গেটে এসে তার স্বামী শহিদুল ইসলামের খোঁজ করেন। বাসায় ঢুকে তারা পুলিশ পরিচয়ে শহিদুলকে মাদক সেবনের অভিযোগ তুলে থানায় নিয়ে যেতে চান। অন্যথায় এক লাখ টাকা দাবি করেন।
তারা কোন থানা থেকে এসেছেন জানাতে অস্বীকৃতি করলে ৯৯৯-এ ফোন করা হয়। পরে মুগদা থানা থেকে পুলিশ এসে তাদের আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
মুগদা থানার ওসি জামাল উদ্দিন মীর বলেন, গ্রেপ্তারকৃতদের পূর্বের ইতিহাস ভালো নয়। তাঁদের মধ্যে বান্নার বিরুদ্ধে যাত্রাবাড়ী থানায় ডাকাতির প্রস্তুতির এবং অপর দু’জনের বিরুদ্ধে শাহজাহানপুর থানায় গাড়িতে তুলে অর্থ আদায়ের অভিযোগে মামলা রয়েছে।
ডিএমপির রিজার্ভ ও কল্যাণ ফোর্স সূত্র জানায়, সাময়িক বরখাস্ত হলেও তারা এখনো পুলিশ সদস্য। থাকেন রাজারবাগ পুলিশ লাইনসের ব্যারাকে। সন্ধ্যা সাতটার পর তাঁদের অনুমতি ছাড়া বাইরে যাওয়ার সুযোগ নেই। কেউ অনুমতি ছাড়া বাইরে গেলে রোল কলে ধরা পড়ে। শনিবার এই তিনজনের অনুপস্থিতির বিষয়টি সন্ধ্যা সাতটার সময়ই ধরা পড়ে। রাতে মুগদা থানা-পুলিশ তাঁদের গ্রেপ্তারের কথা জানায়।
ডিএমপির গণমাধ্যম শাখার উপকমিশনার (ডিসি) ফারুক হোসেন বলেন, গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি অপরাধের তদন্তের পাশাপাশি বিভাগীয় মামলার তদন্ত চলবে। তদন্তে দোষী প্রমাণিত হলে তাঁদের চাকরিচ্যুত করা হতে পারে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন