ঝিনাইদহ কালীগঞ্জ উপজেলার কোলা ইউনিয়নের গাজীর বাজারে অবস্থিত অন্তর ফার্মেসীতে চেম্বার করে চোখের রোগী দেখছেন একজন পল্লী চিকিৎসক। রাজশাহী থেকে আসা এই চিকিৎসকের নাম মোস্তফা কামাল। তিনি নিজেকে একজন চক্ষু চিকিৎসক এবং অপ্টোম ডাক্তার বলে দাবি করেন। নামের শেষে হরেক রকম ডিগ্রী লাগালেও একজন চোখের চিকিৎসক হওয়ার জন্য যে যে প্রাতিষ্ঠানিক যোগ্যতার প্রয়োজন হয় তার কিছুই নেই তার। তবুও তিনি বড় চোখের ডাক্তার সেজে চমকপ্রদ প্রচার প্রচারণা চালিয়ে দিঘারপাড়া বাজারের সিদ্দিক ড্রাগ হাউস, গাজির বাজারে অন্তর ফার্মেসী ও চতুর বাড়িয়া বাজারের জামান মেডিসিন কর্ণার এ ১(এক) শত টাকা ফিতে রোগী দেখছেন যথাক্রমে শনিবার, রবিবার ও সোমবার। এই ভুয়া ডাক্তার রোগীর ব্যবস্থাপত্রে লিখছেন এন্টিবায়োটিক ঔষধ, দিচ্ছেন চোখের নানা পরীক্ষা নিরীক্ষা, একই সাথে বিক্রি করছেন চশমা। গ্রামাঞ্চলের সাধারণ রোগীদের সাথে প্রতারণা করে সব মিলিয়ে মোটা অংকের একটা বাণিজ্য করে যাচ্ছেন তথাকথিত এই চক্ষু ডাক্তারসহ ফার্মেসী মালিকরা ।
ডাক্তারের নিকট চোখ দেখাতে আসা ৭০ বছর বয়সী নুরুল হুদার সাথে কথা হলে তিনি জানান, আমার চোখে সমস্যা, কালীগঞ্জে যেয়ে ডাক্তার দেখাবো সে উপায় তো নেই। কারণ কালীগঞ্জে কোনো চোখের ডাক্তার বসে না। আমাগের এখানে এই ডাক্তার বসছে তাই তারেই চোখ দেখাতে আসলাম। চোখ দেখাতে আমাদের যশোর ঝিনাইদহ যাওয়া লাগে। কালীগঞ্জ হাসপাতালে একজন চোখের ডাক্তার হলে ভালো হতো।
চিকিৎসক মোস্তফা কামাল বলেন, আমি চোখের প্রাথমিক চিকিৎসা করি। আমি অল্প টাকায় মানুষকে সেবা দিই। নিয়ম মেনেই আমি চেম্বার করছি। আমার চিকিৎসার ব্যাপারে কিছু জানার থাকলে আপনি সিভিল সার্জনের সাথে কথা বলেন।
কালীগঞ্জ স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ আলমগীর হোসেনের সাথে কথা হলে তিনি জানান, ডিএমএফ ডিগ্রিধারী কেউ ডাক্তার পরিচয়ে চেম্বার করে রোগী দেখতে পারবেন না। আর গাজীর বাজারে যিনি চোখের ডাক্তার পরিচয়ে রোগী দেখছেন তার যোগ্যতা যাচাই না করে তার ব্যাপারে কিছু বলতে পারব না। তবে আমি সেখানে গিয়ে খোঁজ খবর নিয়ে অনিয়ম পেলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেব।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন