মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

খরায় জেগে উঠল কয়েক দশক পানির নিচে থাকা মসজিদ

বিংশ শতাব্দীর শুরুর দিকে নির্মিত বলে ধারণা

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৯ সেপ্টেম্বর, ২০২২, ১২:০৩ এএম

ভারতের বিহার রাজ্যের নওয়াদা জেলায় খরার প্রভাবে ফুলওয়ারিয়া বাঁধের পানিতে নিমজ্জিত একটি মসজিদ তিন দশক পানির নীচে থাকার পর বেরিয়ে এসেছে। ফুলওয়ারিয়া বাঁধ সংলগ্ন খালের দক্ষিণ প্রান্তের পানি শুকিয়ে যাওয়ায় রাজৌলি বøকের চিরাইলা গ্রামের একটি নিমজ্জিত মসজিদ দৃশ্যমান হয়েছে।

প্রবীনরা মসজিদটির নাম নূরী মসজিদ হিসেবে স্মরণ করেন, যেটি ১৯৮৫ সালে ফুলওয়ারিয়া বাঁধ নির্মাণের পর নিমজ্জিত হয়ে গিয়েছিল। পানির নিচ থেকে মসজিদটি জেগে ওঠায় স্থানীয় লোকজনের মধ্যে কৌত‚হল সৃষ্টি হয়েছে এবং অনেক যুবককে সেখানে ভিড় জমাতে দেখা গেছে। সবসময় যেখানে পানি দেখে এসেছেন সেখানে একটি মসজিদ দেখে বেশ অবাক তারা।
অনেক যুবককে কাদা-মাটি ভেদ করে মসজিদের দিকে ছুটে আসতে দেখা যায়। অনেক পরিবারকেও মসজিদ দেখতে ভিড় করতে দেখা গেছে। সেখানে অনেকেই মসজিদের ভেতরে প্রবেশ করলেও ভবনটি সম্পূর্ণ অক্ষত দেখে অবাক। এটি ছিল মসজিদের সবচেয়ে আকর্ষণীয় বিষয় যে, কয়েক দশক ধরে নিমজ্জিত থাকার পরেও কাঠামোর সামান্যতম ক্ষতিও হয়নি।
আগে যখন পানির স্তর কমে যেত, তখন মসজিদের গম্বুজের একটা অংশই দেখা যেত এবং মানুষ তা ঠিক করতে পারত না। আশপাশের পানি শুকিয়ে যাওয়ায় এখন যখন তারা মসজিদটিকে খোলা অবস্থায় দেখেন তখন তাদের কৌত‚হল প্রশমিত হয়। এখন তারা সহজেই হেঁটে মসজিদটি দেখতে এবং এ ভবনের স্থাপত্যের স্বাদ নিতে পারেন। মাটি থেকে ওপরের গম্বুজ পর্যন্ত মসজিদের উচ্চতা প্রায় ৩০ ফুট।

নিমজ্জিত এ মসজিদটির পটভ‚মি হল, এটি ১৯৭৯ সালে ফুলওয়ারিয়া বাঁধ নির্মাণের কাজ শুরু হওয়ার আগে বিদ্যমান ছিল। এ জায়গায় একটি বিশাল জনবসতি ছিল যা বাঁধ নির্মাণের জন্য উচ্ছেদ করা হয়। পুরো এলাকা সরকার অধিগ্রহণ করে এবং সেখানে বসবাসকারী লোকজনকে নওয়াদা জেলার রাজৌলি বøকের হারদিয়া গ্রামে স্থানান্তরিত করা হয়। ফুলওয়ারিয়া বাঁধের নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার পরও মসজিদটি অক্ষত ছিল। বাঁধের পার্শ্ববর্তী খালে মসজিদসহ পুরো জায়গা তলিয়ে যায়। খরাকে ধন্যবাদ, মসজিদটি জনসাধারণের দৃষ্টিতে ফিরে এসেছে।
মসজিদটি উঠে আসায় কথা উঠছে এর বয়স নিয়ে। অনেকে বলছেন, মসজিদটি ২০ শতকের প্রথম দিকে নির্মিত হয়েছিল এবং সর্বোতভাবে এটি প্রায় ১২০ বছর পুরানো হতে পারে। মসজিদের গম্বুজের স্থাপত্য দেখে এমন সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়া যায় যে, এটি মুঘলদের পরবর্তী সময়ে নির্মিত।

সবাই ভাবছেন মসজিদের অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ নিয়ে। পানি বৃদ্ধির সাথে সাথে স্থানটি আবার পানিতে তলিয়ে গেলে মসজিদের কী হবে? মসজিদকে কি আবার মানুষের দৃষ্টিশক্তি থেকে হারিয়ে যেতে দেওয়া হবে, নাকি ইটের পর ইট গেঁথে এটি অন্যত্র স্থানান্তরের চেষ্টা করা হবে? সূত্র : সিয়াসাত ডেইলি।

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন