চলতি বছরের ৪ জুন সীতাকুন্ডের বিএম কনটেইনার ডিপোতে ভয়াবহ বিস্ফোরনে নিখোঁজ হওয়া ফেনীর ফুলগাজীর ইয়াসিনের লাশ এখনো পায়নি তার পরিবার। নিখোঁজের ৩ মাস ১১ দিন অতিবাহিত হলেও পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম এয়াসিনের লাশ না পাওয়ায় তারা হতাশায় রয়েছেন। স্বজনরা লাশের অপেক্ষায় দিন গুণছে। ছেলের সন্ধানে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গের সামনে গিয়ে শুধু অবাক তাকিয়ে থাকেন এয়াসিনের বাবা বদিউল আলম খোকা মিয়া। ৭ সন্তানের মধ্যে এয়াসিন ছেলের মধ্যে দ্বিতীয়। ১২ বছর আগে সীতাকুন্ড বিএম কন্টেইনার ডিপোতে গাড়ি চালকের দায়িত্বে নিয়োজিত ছিলেন এয়াসিন। ফেনীর ফুলগাজী উপজেলার সদর ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ড ঘোসাইপুর গ্রামের উত্তর বড় বাড়ির বদিউল আলমের ছেলে মোহাম্মদ এয়াসিন।
ইয়াসিনের বড় ভাই আবদুল মোতালেব বলেন, আমার ভাই এয়াসিনের লাশের খোঁজে চট্টগ্রাম মেডিকেলের মর্গে বারবার গিয়েছি কিন্তু আজও তার কোনো সন্ধান পাইনি। মেডিকেল কর্তৃপক্ষকে জিজ্ঞেস করলে তারা বলে আপনারা ঢাকায় যোগাযোগ করেন। এখানে কোনো খবর নেই। তিনি আরও বলেন, আমার ভাই বিএম কনটেইনার ডিপোতে গাড়ির ড্রাইভার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। আমরা ক্ষতিপূরণের আশায় সেখানে গিয়ে কোম্পানির লোকজনের সাথে যোগাযোগ করলে তারা আমার ভাইকে চিনেনা এবং আমাদেরকে চিনতেও রাজি না, তারা আমাদেরকে বলে এ ব্যাপারে আমরা কিছুই জানি না। একদিকে আমার ভাইয়ের লাশের খোঁজ পাচ্ছিনা, আরেকদিকে আমাদের পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম সদস্যকে হারিয়ে আমরা খুবই দুর্বল হয়ে পড়েছি, মানবেতর জীবন যাপন করছি। আমাদের খোঁজ খবর কেউ রাখছেনা। আমরা এখনও পর্যন্ত কোম্পানি এবং সরকারের কাছ থেকে কোনো ধরনের সাহায্য সহযোগিতা পাইনি।
এদিকে বিএম কনটেইনার ডিপোর একজন নির্বাহী পরিচালক গত দুইদিন আগে একটি মিডিয়ায় বক্তব্যে বলেন, হতাহত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ক্ষতিপূরণ বাবদ ইতোমধ্যে ১৮ কোটি টাকা পরিশোধ করা হয়েছে। আহত অনেককে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানো হয়েছে। কর্তৃপক্ষের ঘোষণা অনুযায়ী দুর্ঘটনায় নিহত শ্রমিকদের পরিবারের সদস্যদের কাছে বেতন সমপরিমাণ অর্থ পৌঁছে দেয়া হচ্ছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন