টঙ্গীর তুরাগ নদীর তীরে জোর ইজতেমা ফেরত মুসল্লিদের ঢল নেমেছে। ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকা থেকে শত শত গাড়ি আসছে টঙ্গীর দিকে। এতে করে ঢাকার প্রবেশ পথে ভয়াবহ যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। আগে থেকে ট্রাফিক পুলিশের কোনো প্রস্তুতি না থাকায় আজ দুপুরের পর এই যানজট ভয়াবহ আকার ধারণ করে। রাজধানীর বনানী থেকে বিমান বন্দর হয়ে উত্তরা পর্যন্ত রাস্তায় হাজার হাজার গাড়ি আটকে থাকে। অন্যদিকে, ঢাকার বাইরে থেকে আসা দূরপাল্লার যানবাহনগুলোও ঘণ্টার পর ঘণ্টা আটকে থাকে।
জানতে চাইলে ডিএমপির ট্রাফিক কন্ট্রোল থেকে জানানো হয়, উত্তরা থেকে মহাখালী পর্যন্ত রাস্তার একদিক খালি থাকলেও অন্যদিকে যানজট লেগে আছে। খিলক্ষেত থানার ওসি শহীদুল ইসলাম জানান, বেশ কিছুক্ষণ ধরে ভিআইপি রোডে যানজট দূর করার জন্য ট্রাফিক পুলিশের পাশাপাশি থানা পুলিশও চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
বিমান বন্দরের একজন যাত্রী জানান, বেলা আড়াইটার দিকে হঠাৎ করে রাস্তার উপর সব ধরণের যান চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় যাত্রীরা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন। কি কারণে গাড়ি নড়ছে না তা জানার জন্য যাত্রীরা গাড়ি থেকে নেমে যান। ওই যাত্রী বলেন, পুলিশের তৎপরতা চোখে পড়লেও যানজটের উন্নতি না হওয়ায় অনেক যাত্রী পায়ে হেঁটে রওনা করেন।
জানতে চাইলে ট্রাফিক বিভাগের একজন কর্মকর্তা বলেন, জোর ইজতেমা উপলক্ষে দুপুরের আগে থেকে শত শত গাড়ি আসা শুরু করে টঙ্গীর দিকে। হঠাৎ করে গাড়ির চাপ বেড়ে যাওয়ায় যানজটের সৃষ্টি হয়।
গত ২ ডিসেম্বর থেকে টঙ্গীতে শুরু হয়েছে ৫ দিনব্যাপী জোর ইজতেমা। আজ এই ইজতেমার শেষ দিন। প্রতি বছরই বিশ্ব ইজতেমার প্রস্তুতিমূলক জোর ইজতেমায় কয়েক লাখ মুসল্লির সমাগম ঘটে। সে জন্য ট্রাফিক পুলিশের আগে থেকেই প্রস্তুতি থাকে। এবার তার ব্যতিক্রম। এবার জোর ইজতেমাকে কেন্দ্র করে ট্রাফিক পুলিশের কোনো প্রকার পূর্ব প্রস্তুতি না থাকায় ভয়াবহ যানজটের সৃষ্টি হয়েছে বলে ভুক্তভোগীদের ধারনা।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন