আর্মেনিয়া এবং আজারবাইজান আন্তর্জাতিক প্রচেষ্টার জন্য ১৪ সেপ্টেম্বর স্থানীয় সময় রাত ৮টা থেকে যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে। আর্মেনিয়ান নিরাপত্তা পরিষদের সেক্রেটারি আর্মেন গ্রিগরিয়ান বৃহস্পতিবার এ তথ্য জানিয়েছেন। ‘আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের অংশগ্রহণের জন্য ধন্যবাদ, আমরা ১৪ সেপ্টেম্বর রাত ৮টা থেকে আজারবাইজানের সাথে যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছি,’ তিনি আর্মেনিয়ান পাবলিক টেলিভিশনের সাথে একটি সাক্ষাতকারে বলেছিলেন।
আর্মেনিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় মঙ্গলবার বলেছে যে, মধ্যরাতের কিছুক্ষণ পরেই আজারবাইজানীয় সেনারা গোরিস, সোটক এবং জেমরুকের বসতিতে আর্টিলারি সিস্টেম, ভারী মেশিনগান এবং আগ্নেয়াস্ত্র থেকে তীব্র গুলি চালায়। আর্মেনিয়ার নিরাপত্তা পরিষদ একটি জরুরী বৈঠক করেছে এবং বন্ধুত্ব, সহযোগিতা ও পারস্পরিক সহায়তার চুক্তির পাশাপাশি যৌথ নিরাপত্তা চুক্তি সংস্থা (সিএসটিও) এবং জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ ও রাশিয়ার কাছ থেকে সহায়তা চাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আর্মেনিয়ার প্রধানমন্ত্রী নিকোল পাশিনিয়ানের মতে, সংঘর্ষে ১০৫ জন আর্মেনীয় সেনা নিহত হয়েছে।
এদিকে, আজারবাইজানীয় রাষ্ট্রপতি ইলহাম আলিয়েভ বর্তমান উত্তেজনার জন্য আর্মেনিয়ার সামরিক রাজনৈতিক নেতৃত্বকে দায়ী করেছেন এবং বলেছেন যে, তার দেশের সশস্ত্র বাহিনী প্রতিশোধমূলক ব্যবস্থা নিচ্ছে। আজারবাইজানীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মতে, ৫০ জন আজারবাইজানীয় সেনা নিহত হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, রাশিয়ার মধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতি হয়েছে। তবে গত মঙ্গলবারও মস্কো দুই দেশের মধ্যে সমঝোতা চুক্তি করানোর চেষ্টা করেছিল। কিন্তু ওইদিন তা ব্যর্থ হয়।
১৯৮০-এর দশকে সোভিয়েত ইউনিয়নের অন্তর্ভুক্ত থাকার সময় নাগোরনো-কারাবাখ নিয়ে প্রথম দেশ দুটির মধ্যে সংঘাতের সূত্রপাত হয়। এরপর কয়েক যুগ ধরে লড়ছে আর্মেনিয়া এবং আজারবাইজান। দীর্ঘ এ সংঘাতে প্রাণ হারিয়েছেন হাজারো মানুষ। সবশেষ ২০২০ সালে সামরিক অভিযানের মাধ্যমে বিরোধপূর্ণ নাগোরনো-কারাবাখের নিয়ন্ত্রণ নেয় আজারবাইজান। সে সময় রাশিয়ার মধ্যস্থতায় শেষ হয় ওই যুদ্ধ। প্রতিবেশী দুটি দেশ এখন পর্যন্ত তিনবার পুরোদমে যুদ্ধে জড়িয়েছে। পাশাপাশি তিন দশক ধরে নিয়মিত বিরতিতে ছোটখাটো সংঘর্ষে জড়িয়েছেন দুই দেশের সেনারা। সূত্র: তাস।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন